সহজ উঠোন

রেজিস্টার / লগইন করুন।

সব কিছু পড়তে, দেখতে অথবা শুনতে লগইন করুন।

Sahaj Uthon
31-March,2024 - Sunday ✍️ By- অমিতাভ গোস্বামী 395

রেখো মা দাসেরে মনে/অমিতাভ গোস্বামী

রেখো মা দাসেরে মনে
অমিতাভ গোস্বামী 
---------------------------

নীরদ চন্দ্র চৌধুরী লিখেছিলেন আত্মঘাতী বাঙালি। বাঙালি শুধু আত্মঘাতীই নয় আত্মবিস্মৃত জাতি ও বটে। নইলে মধু কবি তথা মাইকেল মধুসূদন দত্ত যার হাত ধরে বাংলা কাব্য সাহিত্যে আধুনিকতার সূচনা হয়েছিল তাঁর দ্বিশত জন্মবার্ষিকী এতটা নিরবে অনাড়ম্বরভাবে অতিবাহিত হোত না। মুষ্টিমেয় কিছু সাহিত্য পিপাসু, গবেষক, সমালোচক, লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের বাদ দিলে আপামর বাঙালির কাছে বিশেষত আজকের যুব সমাজের কাছে কাব্য সাহিত্যে মধুসূদনের বিপুল কীর্তি অনেকটাই অনাবিষ্কৃত এবং অনালোকিত। 'বঙ্গভূমির প্রতি' কবিতায় মধুসূদন যে আশঙ্কায় প্রার্থনা করেছিলেন "রেখো মা দাসেরে মনে, এ মিনতি করি পদে/ সাধিতে মনের সাধ / ঘটে যদি পরমাদ / মধুহীন করো না গো তব মন:কোকনদে" তাই যেন আজ সত্য হতে বসেছে।আজ বুঝি তিনি বিস্মৃতপ্রায়।

এক যুগসন্ধিক্ষণে 1824 খ্রিস্টাব্দের 25 শে জানুয়ারি অধুনা বাংলাদেশের যশোহর জেলার কপোতাক্ষ নদ তীরবর্তী সাগরদাঁড়ি গ্রামে সম্পন্ন পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। ছেলেবেলা থেকেই তার চরিত্রের দুটি গুণ লক্ষ্য করা যায় একটি প্রবল অধ্যয়ন স্পৃহা এবং অপরটি কাব্য প্রীতি। ছেলেবেলা মায়ের মুখে শোনা রামায়ণ মহাভারত ছিল তাঁর কবি জীবনের ভিত্তি স্বরূপ। গ্রাম্য পাঠশালায় জুনিয়র স্কুলের পাঠ শেষ করে মধুসূদন 1833 খ্রিস্টাব্দে মাত্র নয় বছর বয়সে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। সেই সময় বাংলাদেশে নবজাগরণের যে তিনটি ধারা ছিল তার মধ্যে প্রথমটি এসেছিল রাজা রামমোহন রায়ের হাত ধরে, দ্বিতীয়টি ছিল হিন্দু কলেজের ধারা এবং তৃতীয়টি ছিল নব্য হিন্দুত্বের শ্রীরামকৃষ্ণের ধারা। হিন্দু কলেজের শিক্ষা মধুসূদনের জীবনে সুদূরপ্রসারী পরিবর্তনের সূচনা করে। হেনরি লুই ডিরোজিওর ভাবাদর্শ এবং প্রত্যক্ষভাবে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক রিচার্ডসন হয়ে ওঠেন মধুসূদনের কল্পনার জগতের পথপ্রদর্শক। ইংরেজিতে কাব্য রচনা করে হোমার, মিল্টন প্রভৃতির সমপর্যায়ভুক্ত হওয়ার আশায় তিনি অনুশীলন শুরু করেন। চিন্তায় ভাবনায় আচার-আচরণে পুরোপুরি ইংরেজ হয়ে উঠবার অসাধ্য এক চেষ্টায় তিনি আত্মসমর্পণ করেন।

1843 খ্রিস্টাব্দে 19 বছর বয়সে তাঁর জীবনে ঝড় নেমে এলো। পিতা রাজ নারায়ণ দত্তের ঠিক করা কোন এক জমিদারের বালিকা কন্যার সঙ্গে বিবাহে অসম্মত হয়ে মধুসূদন খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করলেন এবং তাঁর নাম হলো মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনি হিন্দু কলেজ থেকে বিতাড়িত হলেন এবং ভর্তি হলেন শিবপুরের বিশপস কলেজে। কিছুদিন পরে পিতা অর্থ পাঠানো বন্ধ করে দিলে ভাগ্য অন্বেষণে মধুসূদন মাদ্রাজে চলে যান। প্রথমে শিক্ষকতা করেন ।কিছুদিন পরে সেসময়ের বিখ্যাত স্পেক্টেটর পত্রিকার সহ সম্পাদক হন। এ সময় তিনি ইংরেজি ভাষায় 'ক্যাপটিভ লেডি 'রচনা করেন। স্থানীয় কিছু পত্রপত্রিকা প্রশংসা করলেও স্বয়ং ভারতদরদী বেথুন সাহেব মধুসূদন কে জানালেন যে ইংরেজি সাহিত্যে শেক্সপিয়ার ,মিল্টন ,বায়রন, শেলী ইত্যাদি বহু বড় কবি লিখে গেছেন কিন্তু বাংলা ভাষায় সেই অর্থে বড় কোন কবি নেই তাই মধুসূদন যেন বাংলা ভাষাতেই লেখনি ধারণ করেন। বেথুন সাহেবের এই পত্র মধুসূদনের সাহিত্যচর্চায় নতুন দিক নির্দেশ করে এবং সেজন্যই হয়তো বোধোদয় হয়ে পরবর্তীতে তিনি লেখেন-"হে বঙ্গ, ভান্ডারে তব বিবিধ রতন ; -তা সবে (অবোধ আমি!) অবহেলা করি ,পর-ধন-লোভে মত্ত করিনু ভ্রমণ....."  অবশেষে পিতার মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি 1856 খ্রিস্টাব্দে  কলকাতা ফিরে আসেন।ইতিমধ্যেই তাঁর  ইংরেজ নারী সুন্দরী রেবেকা ম্যাক্টিভিস এর সঙ্গে আট বছরের দাম্পত্য জীবনের শেষে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে এবং তিনি ফরাসি তরুণী এমিলিয়া হেনরিয়েটা সোফিয়াকে বিবাহ করেছেন।

যদিও হিন্দু কলেজে পড়াকালীন কলেজ পত্রিকায় তাঁর লেখা একটি বাংলা কবিতা 'বর্ষাকাল' এর সন্ধান পাওয়া যায় তবে প্রকৃতপক্ষে মধুসূদনের বাংলা সাহিত্য চর্চার সূচনা হয় 1858 খ্রিস্টাব্দে বেলগাছিয়া রাজ পরিবারের রঙ্গমঞ্চে অভিনয়ের জন্য লিখিত 'শর্মিষ্ঠা' নাটকের মধ্য দিয়ে।

এরপর তিনি পরপর কতগুলি নাটক ও প্রহসন লিখে যান যথা পদ্মাবতী, একেই কি বলে সভ্যতা, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো (1859), কৃষ্ণকুমারী (1860) প্রভৃতি। এই নাটক গুলির প্রতিটি ই মধুসূদনের সৃজনী প্রতিভার উজ্জ্বল স্বাক্ষর বহন করে এবং পথিকৃৎ এর গৌরব দাবি করে। তাঁর লেখা প্রহসন দুখানি যে ধারার উৎস মুখ খুলে দেয় তা বিচিত্র স্রোতে বাংলা নাট্য সাহিত্য কে সমৃদ্ধ করেছে আর বাংলা নাট্য সাহিত্যের প্রথম সার্থক ঐতিহাসিক ট্রাজেডি হলো 'কৃষ্ণকুমারী'।

নাটক রচনার পরেই বলা যেতে পারে মধুসূদনের কবি প্রতিভার পূর্ণ জাগরণ ঘটে এবং 1860 খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দে 'তিলোত্তমাসম্ভব' নামে একটি আখ্যান কাব্য রচনা করেন। এই কাব্যের কাহিনী যদিও তিনি মহাভারত ও ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ থেকে সংগ্রহ করেন কিন্তু গতানুগতিক দৈব মহিমার পথ পরিহার করে এই কাব্যে তিনি মানব মহিমার জয়গান করেন।

1861 খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হলো অমিত্রাক্ষর ছন্দে লেখা তার যুগান্তকারী রচনা 'মেঘনাদবধ কাব্য' যা অচিরেই মহাকাব্যের স্বীকৃতি পেয়ে বাংলার শিক্ষিত সমাজে মধুসূদন মহাকবি বলে স্বীকৃত হলেন।

অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন বাংলা কাব্য সাহিত্যের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী, বৈপ্লবিক এবং চিরস্মরণীয় ঘটনা। এমনকি মাইকেলের সমালোচক এ যুগের অন্যতম কবি বুদ্ধদেব বসুও লিখেছেন,'মাইকেলের যতি স্থাপনের বৈচিত্র্যই বাংলা ছন্দের ভূত-ঝাড়ানো যাদু মন্ত্র। কি অসহ্য ছিল পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল-র একঘেয়েমি, আর তার পাশে কি আশ্চর্য মাইকেলের যথেচ্ছ যতির উর্মিলতা।' স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ যিনি প্রথম জীবনে মধুসূদনের সমালোচনা করেছিলেন তিনিও পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে এই নতুন ছন্দকে স্বাগত জানিয়ে লেখেন,'সংস্কৃত ছন্দে যে বিচিত্র সংগীত তরঙ্গিত হইতে থাকে তাহার প্রধান কারণ স্বরের দীর্ঘহ্রস্বতা এবং যুক্ত অক্ষরের বাহুল্য। মাইকেল মধুসূদন ছন্দের এই নিগূঢ় তত্ত্বটি অবগত ছিলেন। সেই জন্য তাহার অমিত্রাক্ষরে এমন পরিপূর্ণ ধ্বনি এবং তরঙ্গিত গতি অনুভব করা যায়।'
"সন্মুখ সমরে পড়ি, বীর চূড়ামনি
বীরবাহু , চলি যবে গেলা যমপুরে
অকালে......"

রামায়ণের যুদ্ধের সময়কালীন তিন দিনের ঘটনা অবলম্বনে নয় সর্গে মধুসূদন মেঘনাদবধ কাব্য রচনা করেন।এর বৈশিষ্ট্য হল মধুসূদন তার লেখনীর মধ্য দিয়ে রামচন্দ্রের প্রতি সহানুভূতি আদায় করার চিরাচরিত পদ্ধতি ত্যাগ করে রাক্ষসদের মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছেন। এখানে রাম -লক্ষণ এর চেয়ে রাবণ, মেঘনাদ চরিত্র অধিকতর উজ্জ্বল। মধুসূদন খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করে ইংরেজি আদব কায়দায় অভ্যস্ত হলেও মনে প্রাণে ছিলেন দেশপ্রেমী। রাম রাবণের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন যে একজন বিদেশী সসৈন্যে অপরের দেশ আক্রমণ করেছে এবং আক্রান্ত লঙ্কার স্বাধীনতা বিপন্ন। আক্রান্ত দেশের রাজা স্বাধীনতা রক্ষার্থে যুদ্ধে প্রাণাধিক পুত্রকে হারিয়েও অদম্য তেজে লড়াই করে যাচ্ছেন। সিপাহী বিদ্রোহের মাত্র চার বছর পরে লিখিত এই মহাকাব্যের মধ্য দিয়ে মধুসূদন যেন ভারতবর্ষের চিত্রই তুলে ধরতে চেয়েছেন।

এই সময় পরপর আরো দুটি কাব্যগ্রন্থ তিনি প্রকাশ করলেন যথাক্রমে 'ব্রজাঙ্গনা' (1861) ও 'বীরাঙ্গনা' (1862).

প্রখ্যাত রোমান কবি ওভিদের আদর্শে মধুসূদন বীরাঙ্গনা কাব্য রচনা করেন । বাংলা ভাষায় এটি প্রথম পত্র কাব্য। ভারতীয় পুরাণ ও মহাকাব্য থেকে কতগুলি পরিচিত স্ত্রী চরিত্র নিয়ে তাদের লেখা কল্পিত চিঠি র মধ্য দিয়ে সেই সব নারীর জীবন্ত মূর্তি আঁকার চেষ্টা করেছেন মধুসূদন যার মধ্যে আধুনিকমনস্ক স্বাধীন নারী জীবনের চিত্রই ফুটে উঠেছে।

মধুসূদন ছিলেন অস্থির মতি। বিপুল খ্যাতি লাভ করা ঠিক পরেই 1862 খ্রিস্টাব্দের 9ই জুন তিনি ব্যারিস্টারি পড়বার জন্য ইউরোপ যাত্রা করলেন। সেখানে চরম অর্থ সংকটের মধ্যে পড়ে তিনি বিদ্যাসাগরের শরণাপন্ন হন এবং বিদ্যাসাগরের আর্থিক সাহায্যে তিনি 1866 খ্রিস্টাব্দে ব্যারিস্টারি পাস করেন। এই সময়ে বিলেতে থাকাকালীনই তিনি লিখে ফেলেন 'চতুর্দশপদী পদাবলী'। এই সৃষ্টির মধ্য দিয়েই তিনি বাংলা সাহিত্যে প্রথম সনেট নিয়ে আসেন।

1867 খ্রিস্টাব্দে তিনি দেশে ফিরে এসে ব্যারিস্টারি শুরু করেন কিন্তু পসার জমাতে না পেরে অবশেষে মাসিক হাজার টাকা বেতনে হাইকোর্টে অনুবাদ বিভাগের পরীক্ষকের চাকুরি গ্রহণ করেন। দুই বছর পর চাকুরি ছেড়ে তিনি পুনরায় ব্যারিস্টারি পেশা অবলম্বন করেন। কিন্তু আর্থিক দুরবস্থা তাঁর আর কাটে না। আসলে যে বেহিসাবি জীবন যাপন এবং মদ্যপানে তিনি অভ্যস্ত ছিলেন সেজন্য জলের মতো তাঁর অর্থ ব্যয় হতো। তবে হাজার কষ্টের মধ্যেও তিনি লেখার চেষ্টা করতে থাকেন। 1871 খ্রিস্টাব্দের শেষ দিকে তিনি মহাকবি হোমারের ইলিয়াড মহাকাব্যের উপাখ্যান অবলম্বনে 'হেক্টর বধ ' লেখেন।

তবে স্বাচ্ছন্দের মুখ আর কবি দেখতে পাননি। বেহিসাবি জীবন যাপনের জন্য তার স্বাস্থ্য ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ে। শেষ দিকে বিদ্যাসাগরের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তিনিও অর্থ সাহায্য করতে অস্বীকার করেন। শেষ পর্যন্ত মাইকেল সপরিবারে উত্তর পাড়ায় লাইব্রেরীর উপর তলায় বসবাস শুরু করেন। 1873 খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে মধুসূদনের শেষ সময়ে কলেজ জীবনের বন্ধু গৌর দাস এসে দেখতে পান তাঁর মুখ দিয়ে রক্ত চুইয়ে পড়ছে এবং স্ত্রী হেনরিয়েটা বেহুশ হয়ে মেঝেতে পড়ে আছেন। তিনি মধুসূদন ও তাঁর স্ত্রীকে আলিপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। মধুসূদনের লিভার সিরোসিস ধরা পরে।  26 শে জুন হেনরিয়েটা মারা যান। তার তিনদিন পর 29 শে জুন মারা যান মধুসূদন। দুর্ভাগ্যের বিষয় হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে যে খ্রিস্ট ধর্ম তিনি গ্রহণ করেছিলেন সেই খ্রিস্টান সমাজ হতভাগ্য কবিকে সমাহিত করার জন্য মাত্র ছয় ফুট জায়গা দিতেও অস্বীকার করে। অবশেষে রেভারেন্ড পিটার জন জার্বো বিশপের অনুমতি ছাড়াই নিজ দায়িত্বে মৃত্যুর 24 ঘন্টা পরে 30 শে জুন মাইকেলকে লোয়ার সার্কুলার রোডের সমাধিস্থলে স্ত্রী হেনরিয়েটার পাশে সমাহিত করেন।

যে বিপুল সম্ভাবনা নিয়ে মাইকেল আবির্ভূত হয়েছিলেন তাঁর যে অসাধারণ কবিত্ব শক্তি ,ভাষা জ্ঞান ছিল, তিনি যেভাবে বাংলা সাহিত্যে নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন, নিজের অদূরদর্শীতা,  বেহিসাবি জীবন যাপন এবং মদ্যপানের ফলে মাত্র 49 বছর বয়সেই তাতে যবনিকাপাত ঘটে।

বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী মধুসূদন মাত্র সাত বছরের বাংলা সাহিত্য চর্চার মধ্য দিয়ে অমিত্রাক্ষর ছন্দ,মহাকাব্য, আখ্যান কাব্য, পত্র কাব্য, গীতি কাব্য, সনেট, নাটক প্রভৃতি ক্ষেত্রে যে পদচিহ্ন রেখে গেছেন তাতে বাংলা ভাষা বহু বহু বছর এগিয়ে গেছে। বাঙালি হিসাবে তাই আমরা মধু কবির কাছে চিরঋণী। আজ যদি কেউ কলকাতার মল্লিক বাজারে ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সের পাশের খ্রিস্টানদের সমাধি ক্ষেত্রে যান দেখতে পাবেন স্ত্রী হেনরিয়েটার পাশে মহাকবি মধুসূদন সমাধিতে শায়িত আছেন আর তার সামনে প্রস্থরখন্ডে লেখা আছে 'দাড়াও পথিকবর, জন্ম যদি তব বঙ্গে ! তিষ্ঠ ক্ষণকাল ! ........  '
আসুন এই দ্বিশত জন্মবর্ষে আমরা সেই যুগান্তকারী এবং  যন্ত্রণাবিধুর অকালে প্রয়াত মহাকবিকে স্মরণ করি। কবির আকাঙ্ক্ষাকে মর্যাদা দিয়ে আমাদের মন যেন মধু শূন্য না হয়!

           ------------০-----------

আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴
software development company in siliguri,best
                          software development company in siliguri,no 1 software
                          development company in siliguri,website designing company
                          in Siliguri, website designing in Siliguri, website design
                          in Siliguri website design company in Siliguri, web
                          development company in Siliguri