যীশুর মানে/পার্থ সারথি চক্রবর্তী
যীশুর মানে
পার্থ সারথি চক্রবর্তী
পুঁতিগন্ধময় বস্তিতে এক টুকরো কেকের গন্ধ পাত্তা পায় না!
আজ রনির স্কুলের দিদিমনি সবাইকে দিয়েছেন, স্কুল ছুটির সময়, আর তা নিয়ে দৌঁড়ে বাড়ি ফিরেছে রনি।
"মা মা দ্যাখো, কি সুন্দর কেক।"
মা মুচকি হেসে চুলে বিলি কেটে দিতে দিতে বলে" খা বাবা, খা"। চোখের কোণ খানিক ভিজে আসে মালতির।
কারখানা বন্ধ হওয়া থেকে রনির বাবা ঘরে বসা,
আরো তিনটে বাড়িতে কাজ নিয়েও কুলোতে পারছে না মালতি! তার ওপর মাসে মাসে ঝুপড়ির ভাড়া দিতে হয় এলাকার দাদাকে, রনির বাবার কাশিটাও আর শুধু কাশি নেই। দুপুরে কচুশাকে ভাত খেয়ে রনি মায়ের পাশে শুয়ে বলে -
" মা , ষীশু কে? রোজ কেন তিনি আসেন না?"
মালতি ভাবে, রনি কি বুঝবে ষীশুর মানে! বিঁড়ি বাঁধতে বাঁধতে অস্ফুট গলায় বলে
" যীশু ভগবান। সে আমাদের সঙ্গেই থাকেন। "
একথা সেকথায় রনি ঘুমিয়ে পড়ে!
চারদিক আলোময় হয়ে উঠেছে। কি সুন্দর গান ভেসে আসছে।
নাকে ধাক্কা খাচ্ছে কেকের সুবাস।
হঠাৎই ঘুম ভেঙে যায় কোলাহলে, রনি উঠে পড়ে ধড়ফড়িয়ে, এতক্ষণ তার শীতও বোধ হয়নি।
এ পাড়ার কিছু মাতালের রোজকার ঝগড়া তার সুন্দর স্বপ্ন ভেঙে দিল, মার পাশে গেল।
মা ব্যস্ত কাঠের খড়িগুলো কাটতে।
ভেতর থেকে বাবার কাশির আওয়াজ আসে।
রনি কি বুঝবে যীশুর মানে!
রনি কী বুঝবে যীশুর মানে?
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴