যাবে নাকি?/দেবাশিস ভট্টাচার্য
যাবে নাকি?
দেবাশিস ভট্টাচার্য
প্রিয়তমাসু
দেখতে দেখতে কীভাবে দিন কেটে যায় বোঝা যায় না, শুধু মনে হয় যেন এই তো সেদিন হইহই করে কাটালে, যাবে না যাবে না বলেও তো চলে গেলে, তাও বেশ কিছুদিন হয়ে গেল, তোমার দেশে তো অন্তর্জাল নেই, মুঠোফোনে কথা বলার সুযোগ নেই। তাই ইচ্ছে হলেও কথা হয় না। তুমি তোমার শেষ চিঠিতে লিখেছিলে, ফিরে গিয়ে সময় কাটছে না, মন বসছে না কোন কাজে। বলি তোমার আর কাজ কী, সর্বক্ষণই তো জ্বালিয়ে মারো সব্বাইকে, যা হোক যে জন্যে লিখছি তা হল -
তুমি চলে যাবার পর পঙ্খীরাজের মতো একটি ঘোড়া কিনেছি বাঁকুড়ার হাট থেকে, খুব সুন্দর জড়ির ওড়না আর রেশমি সূতোয় বোনা তার পোষাক, নাকে গলায় গয়না পড়ানো। তোমাকে বলা হয়নি সে কথাও, সেই পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় চড়েই মেঘদেশে যাব আমি, জলকেলি করব মেঘনদীতে, সারাদিন মেঘেদের সাথে অবগাহন করব। মেঘবৃষ্টির জলরং তুমি দেখনি কখনও, মেঘনদীর পাড়েই বসবে বর্ষার মেঘমেলা, মেঘধুন শুনে পাখিরা উল্লাসে মেতে উঠবে, শাদা বক আর শঙ্খচিলেরাও যাবে দল বেঁধে। সুদূরের ওই মেঘদেশে তুমি যাবে নাকি? জানিও। ভালো থেকো।
ইতি
তোমার সুবর্ণ
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴