মৃগতৃষা/স্বর্ণজিৎ ভদ্র
মৃগতৃষা
স্বর্ণজিৎ ভদ্র
শেষের অধ্যায় লেখা বড়ো গোলমেলে,
বহু যত্নে রাখা না মেলা পুরানো হিসাব
কোন এক সম্পর্কের মতো শামিল হয় বাতিলের দলে।
বোঝাপড়ার ক্লান্তিহীন হিসাব কিতাব
শুধু জমার ঘরে কথার অঙ্ক বাড়ে।
তৈরি হওয়া দূরত্বে, জায়গা বাড়ে মাঝে।
অনেকগুলি বিশ্বাসের বীজ থেকেই
জন্ম নেওয়া এক অবিশ্বাসের চারা-
ক্রমে মাথা তোলে রিক্ত ধূসর আকাশে
ধ্রুবতারা খোঁজে দিগ্ভ্রান্ত নাবিকের ন্যায়
প্রাচীন কোন এক বুড়ো শহরের গলিতে।
জানি বাড়ান হাতের স্পর্শ এখন অনেক দূরে,
পদাতিক সৈন্যের মতো অসংখ্য অলীক আশ্বাস-
ঝরে পড়েছে প্রতিশ্রুতির মৃত নক্ষত্ররা ।
তবু মাঝে মাঝে ছুঁতে চায় মন নবাঙ্কুরের ক্ষত
শিরা উপশিরা অন্বিত অশক্ত হাত খোঁজে নিবিড় আলিঙ্গন,
মনের গোপন স্তরে বাঁধা ক্ষয়রোগে সম্পাত হয় স্নেহ/
প্রগাঢ় অকৃত্রিম বটের ঝুরির ন্যায়।
এখনও তো ঘাসের গন্ধ পাই-
অনির্ণীত সম্পর্ক, জলরঙে অন্বেষণ শিশিরের আর্দ্রতা,
ফোঁটা শিউলির গন্ধ মেখে রাত জাগে দৃষ্টিহীন পাখি
ভোরের অপেক্ষায়।
হেমন্তর শেষে, ফসল শূন্য জমির অসরল আলপথ
জোড় বাঁধার অভিলাষে, পাড়ি দেয় অচেনা দিগন্তে।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴