মুস্কিল আসান/ভাস্বতী রায়
মুস্কিল আসান
ভাস্বতী রায়
অমলবাবুর জীবন খুব একটা সুখের নয় বরং চরম দুঃখ দারিদ্রতার মধ্যে বড় হওয়া এবং একটা সম্মানজনক কাজ খুঁজে পাওয়া। বিয়ের তিন মাসের মাথায় স্ত্রী বিয়োগ। পাগল হওয়ার জোগাড় যখন বাড়ির লোকজন জোর করেই দ্বিতীয়বার বিয়ে দেন স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে। দুই সন্তানের দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের কিছুদিনের মধ্যেই জানতে পারলেন দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। তাঁর স্বল্প আয়ে চিকিৎসা চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছিল। বড় সন্তানের লেখাপড়া বন্ধ করতে হল।
তারপর কেটে গেছে বেশ কিছু বছর। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরও নিজে স্বাভাবিক হতে পারেননি অমলবাবু। খাওয়া ঘুম কোনোটারই ঠিক নেই। সে সময়ই বাজারে এসেছিল এন্ড্রয়েড ফোন। ছেলেমেয়েরা বাবাকে ব্যস্ত রাখতেই ওনার হাতে তুলে দিয়েছিল সেই মুঠোফোন। এই মুঠোফোনের দৌলতে কত অজানাকে জেনে নিজেকে ভুলিয়ে রেখেছেন বছর সত্তরের অমলবাবু। কম্পিউটারের কোন রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই কম্পিউটারে তাঁর দক্ষতা একজন কম্পিউটার জানা নতুন প্রজন্মের থেকে কয়েক গুণ বেশি। বন্ধুবান্ধব, ছেলেমেয়ে, পরিবারের বাকীদের যে কোনোরকম প্রযুক্তিগত সমস্যার মুস্কিল আসান অমলবাবু। আর এই সবকিছু সম্ভব হয়েছে মুঠোফোনের দৌলতে।
কষ্ট লাঘব হয়ত হয়নি, কিন্তু কষ্টগুলো নিয়ে ভাববার সময়টাতে উনি নতুন নতুন জিনিস শিখতে মুঠোফোনে ব্যস্ত থাকেন।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴