মিথ্যেরা বুজকুড়ি কাটে/সুকান্ত নাহা
মিথ্যেরা বুজকুড়ি কাটে
সুকান্ত নাহা
-“ হ্যালো, অর্ক কদ্দূর এলি ?
সৌম্যর বডিটা নিয়ে
আমরা যে সেই কখন থেকে তোদের জন্য... “
-“ এই তো এসে গেছি...আর বড়জোর মিনিট দশেক। ”
কথাটা শুনে হো হো করে হেসে ওঠা ব্রিজের ধুলো
রোড সাইড ধাবায় বন্ধুবিয়োগের দুঃখমোচন করে উঠে আসা
এস ইউ ভি টার দিকে একরাশ ধিক্কার ছুঁড়ে দেয়।
কেননা চিতাকাঠ ছুঁয়ে থাকা মেঘলা আকাশ জানে
সৌম্য অপেক্ষায় থাকবে আরও বহুক্ষণ।
-“ হ্যালো, বাবা… শুনতে পাচ্ছিস?”
-“হ্যাঁ, কী বলবে...তাড়াতাড়ি বলো।“
-“ বলছিলাম, কিছু খেয়েছিস ?
সাত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেলি...”
“ ফোনটা রাখো তো মা, ব্যস্ত আছি। ” কল কেটে যায়।
উদ্বিগ্ন জানালায় দুশ্চিন্তার কাটাকুটি খেলে মায়ের বুকে
আর-
রুফটপ কফিশপে মুখোমুখি বসে থাকা দুটি নিস্পলক চোখ
অন্তরঙ্গ কথামালায় গড়ে তোলে মিথ্যের পাহাড়।
এভাবেই নিরন্তর আমাদের চারপাশে
মিথ্যেরা বুজকুড়ি কাটে।
বুদ্বুদে বিচ্ছুরিত আলোয় চোখ ঝলসে যাওয়া মানুষ
সত্যের গল্প শুনে আলোড়িত হয়।
আর-
মিথ্যের সাথে তাদের তুমুল গেরস্থালি
এই সমকালে।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴