সহজ উঠোন

রেজিস্টার / লগইন করুন।

সব কিছু পড়তে, দেখতে অথবা শুনতে লগইন করুন।

Sahaj Uthon
14-January,2024 - Sunday ✍️ By- মাল্যবান মিত্র 317

ভ্লগের ভোগান্তি/মাল‍্যবান মিত্র

ভ্লগের ভোগান্তি 
মাল‍্যবান মিত্র


হাতির সাথে হাতাহাতি বা ঘোড়ার সাথে ঘোড়াঘুড়ি যতটানা সত‍্য ভ্লগের জন‍্য ভোগান্তি তার চাইতে বেশি  সত‍্যি রামরতন বিশ্বাসের জীবনে। ভ্লগের জন‍্য গতপরশু তিনি খেতে গিয়েছিলেন হ‍্যংলা রেস্তোরাঁয় যেখানে রেস্তোরাঁর মালিক মানিক গড়াই অতিকায়  আস্ত একটা ছাগলের রান্নাকরা রোস্ট মাথার ওপর বিশ্বকাপের মতো তুলে চিৎকার করে কোমর দুলিয়ে বলতে থাকেন “আপন করে নিন খাসি, আমি ছাগল কে ভালোবাসি!" আর সেই রোস্টেড খাসি  তুলোর মতো তুলতুলে,  ঘি আর মাখনে জবজবে দারুণ  স্বাদের। রামরতনবাবু  নিজের ভ্লগের জন‍্য এমন রেস্তোরাই চান যেখানে খাবার  ছাড়াও ফ্রি হিসেবে এক্সট্রা কিছু পাওয়া যায় এবং এই এক্সট্রাই যে একটা ভ্লগকে ভাইরাল করে দিতে  পারে সেটাও তিনি  ভালো করেই বোঝেন। 

এই উদ্দেশ্যে রামরতনবাবু গতপরশু সকাল সকাল নেবুতলার বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন মেমারির বিখ‍্যাত রেস্তোরাঁ  “হ‍্যংলার”  উদ্দেশ্য।  শিয়ালদা পৌঁছে সবে নিজের মোবাইলটা সেলফি স্টিকে লাগিয়ে বলতে শুরু করেছেন “হাই গাইস…..” তখনই পেছন থেকে এক বেরসিক হকার চিৎকার করে বলে উঠল “ কই কই এসোওও….” বিরক্তমুখে রামরতনবাবু পিছনে ফিরে দেখলেন এ হচ্ছে সেই ভাইরাল ডিম বিক্রেতা মন্টু দলুই, কিছুদিন  আগে এর দোকানে এসে নিজের ভ্লগে মন্টুর ভাইরাল  ডিমভাজা খেয়ে তিনি বলেছিলেন “ ভালো,  তবে  একটু কম ভাজা হলে আরো ভালো লাগতো….” সেই থেকে এই ভাইরাল ডিম বিক্রতা মন্টু দলুই এর রাগ রামরতন বাবুর উপর এবং  এই জন‍্যই এই বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা। এসব ছোটখাটো বাধাবিঘ্ন নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে রামরতন বাবু এগিয়ে গেলেন টিকিট কাউন্টারের দিকে ভাবলেন ট্রেনে উঠেই শুরু করবেন ভ্লগটা। কাউন্টারে পৌছে যেই বলেছেন  ‘ মেমারির টিকিট দেবেন একটা…” অমনি টিকিট কাউন্টারের কর্মরত ভদ্রমহিলা হাসিমুখে বলে উঠলেন "আপনি রামখাদক না? ... আমি আপনার বিরাট ফ‍্যন….আপনিই তো খাসি কিঙ! ওই যে ওইদিন আপনি যে  'লাল-লাল খাসির ঝোল উইথ ধামসা আলু' খেলেন আপনার সেই আলুটা নিশ্চয়ই চন্দ্রমুখী?  আমার বোনের সাথে বাজি হয়েছে, আপনার কমেন্ট সেকসনে আপনাকে জিজ্ঞেসও করলাম উত্তর দিলেন না তো ; যদিও  আপনি যা ব‍্যস্ত! যাক, আপনি  আমাকে বলে দিন আপনার আলুটা চন্দ্রমুখী তো?  আর একটা সেলফি দেবেন প্লিজ, এই কাউন্টারের জানলাতে মুখটা রাখুন আমি তুলে নিচ্ছি।“ এই আনন্দদায়ক কথার ঝোড়ো হাওয়ায় ভেসে রামরতনবাবু হাসিহাসি মুখে যেই সেলফি তুলতে যাবেন ওমনি টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ডেলি প‍্যসেন্জার চিৎকার করে বললেন “  হচ্ছেটা কি? ভারতীয় রেল আলুটা চন্দ্রমুখী কিনা জানবার জন‍্য কি লেট করবে ? বেরসিক ; একজন কৃতি কে মর্যাদা করতে জানেনা, যেদিন দশ লাখ সাবস্ক্রাইবার হবে সেদিন দেখিস এইভেবে কথা আর এগোতে না দিয়ে ভদ্রমহিলার কাছ থেকে মেমারির টিকিট নিয়ে  ও আলুটা চন্দ্রমুখীই ছিলো জানিয়ে রামরতনবাবু এগিয়ে গেলেন সাত নম্বর প্ল‍্যটফর্মের দিকে। 

৮.১৩-এর মেমারি লোকাল বেশ ফাকাই ছিল, আয়েশ করে জানালার পাশে জুতসই একটা সিট দখল করে বসলেন রামরতন বাবু। ট্রেন নড়ে উঠলে রামরতন বাবু ভাবলেন ভ্লগটা এবার শুরু করা যাক। সেলফি স্টিক এ মোবাইল টা লাগিয়ে যেই বলতে শুরু করেছেন “হাই গাইস আমরা…” পাশ থেকে এক বৃদ্ধ মহিলা বলে উঠলেন “আমার হার্টের অসুখ, এত জোরে চিৎকার কোরো না…”। মোবাইলের ক‍্যমেরা থেকে মুখ সরিয়ে রামরতনবাবু দেখলেন চশমা পরা এক বৃদ্ধ মহিলা একমুখ বিরক্তি নিয়ে  তাকিয়ে  আছেন তার দিকে। রামরতন বাবু মহিলার দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলেন আপনার কি অসুবিধা হচ্ছে? মহিলা বেশ রেগেই বললেন “তাই তো তো বলছি, তুমি  ওই রামখাদক চ‍্যনেলের মোটা লোকটা না? আচ্ছা তোমার কি পেটখারাপ হয় না? প্রতিদিনই তো দেখছি গুচ্ছের খাবার খাচ্ছ এখানে সেখানে? এরকম  একটা প্রশ্নের কি উত্তর দেবেন ভেবে পেলেন না রামরতন বাবু। শুধু হেসে মোবাইল টা বন্ধ করে বসে পরলেন নিজের জানালার পাশের সিটে। পুরোনো মানসিকতার লোক, কি বোঝাবো?আবার বডিশেমিঙ করছে ,  সময়ের সাথে এগিয়ে যেতে পারেননি, এদের ক্ষমা করাই শ্রেয়।  এই সব ভেবে রামরতন বাবু ভাবলেন থাক মেমারি স্টেশান থেকে ভ্লগটা শুরু করব।

মেমারি স্টেসনে যখন নামলেন ঘড়িতে ১১টা বাজে, দৃঢ়চেতা হয়ে রামরতনবাবু সেলফি স্টিকে লাগানো মোবাইলের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করলেন : ‘ হাইই গাইস আজকে বুধবার, শীতের সকাল, আর আমি এসেগেছি মেমারিতে। হাহ্ হা আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি  কোথায় যাচ্ছি…. আর তখনি কে যেনো এসে সরে যান সরে যান বলে ধাক্কা মারলো তাকে। রামরতনবাবু সরে গিয়ে ব‍্যপার কি দেখতে গিয়ে দেখলেন একটা  বিরাট ভেটকিমাছ   নিয়ে প্রসেসন করে চলেছেন হ‍্যংলা রেস্তোরার মালিক ভাইরাল মানিকদা। আর চিৎকার করে নিজের সিগনেচার স্টাইলে বিশ্বকাপের মতো করে ১৫কেজির বিরাট ভেটকিমাছ টাকে মাথার উপর তুলে নেচে নেচে বলছে “ হ‍্যংলার ভেট-কি, আপনার চাই কি, হ‍্যংলার ভেট-কি, আপনার চাই কি? যদিও  এখানে  আসার আগে মানিকদাকে ফোন করেছিলেন রামরতন বাবু, তবু তখনই তার দিকে এগিয়ে না গিয়ে ভাবলেন, থাক, হ‍্যংলা রেস্তোরাঁতে গিয়েই শুরু করবেন ভ্লগটা। মোবাইলটা সেলফি স্টিক থেকে খুলে পকেটে ভরে স্টেসনের বাইরে এসে রামরতন বাবু ভাবলেন একটু ব্রেকফাস্ট করে নেওয়া যাক জলদি জলদি, হ‍্যংলায় ভ্লগ করতে আসতে হবে বলে বাড়ি থেকে শুধু চা খেয়েই বেরোতে হয়েছে, ভাইরাল মানিকবাবু দুপুর বারোটার মধ‍্যে পৌছতে বলেছিলেন হ‍্যংলায়। সে জন‍্য তারাহুরো করে বেরিয়ে  প্রথমে ভাইরাল মন্টু ডিমভাজা তারপর ঐ বেরসিক ডেলি প‍্যসেনজার  ও শেষে ঐ বৃদ্ধ মহিলার জন‍্য মুড টা এতো খারাপ হয়ে গেছিলো রামরতনবাবুর যে ভুলেই গিয়েছিলেন ব্রেকফাস্ট -এর কথা। 

মেমারি স্টেসনের টোটোস্ট‍্যন্ডের উল্টো দিকের মিষ্টির দোকানে কচুরি ভাজতে দেখে এগিয়ে গেলেন রামরতন বাবু। মিষ্টির দোকানটার পুরোনো সাইনবোর্ডে লেখা ‘ ভজহরি মিষ্টান্ন ভান্ডার, প্রতিষ্ঠাতা ভজহরি মুখুজ্জে, প্রতিষ্ঠিত ১৯৬০ সাল, মেমরি বাজার ‘। দোকানের কাউন্টারে বসে থাকা  মাঝবয়সী লোকটিকে এক প্লেট কচুরি তরকারির অর্ডার যেই দিতে গেছেন অমনি পাশ থেকে একজন তার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে বলে উঠলো “ আরেএএ,  এ যে রামখাদক! আপনি  এতো খান কি করে, আপনি  তো আমার ইন্সপিরেসন “। রামরতন বাবু ভদ্রলোক কে কিছু বলার আগেই দোকানের কাউন্টারে বসে থাকা লোকটা বেশ জোরগলায় বলে উঠলো “  আপনি কি ভিডিও করবেন? যদি করেন তবে রবিবার  আসবেন, আজকে হবেনা।” রামরতনবাবু কে চুপ করে যেতে দেখে, রামরতনবাবুকে ইন্সপিরেসন ভাবা লোকটি বলে উঠলো “ কি করছ ভজাদা, কাকে কি বলছ, ইনি রামখাদক  এনাকে তুমি  চিনতে পারছ না, তোমাকে  ইনি রাম-ভাইরাল করে দেবেন ভজাদা।" ভজা নামের দোকানের কাউন্টারে বসে থাকা লোকটা বিরক্ত হয়ে বললেন “রাখ তোর রামখাদক, ৫০ বছর ধরে কচুরি বেচছি, এই ভিডিও করার চক্করে প্রতিদিন  আমি  দশ প্লেট কচুরি ফ্রিতে খাওয়াতে পারব না, আর এরা হোলো বিয়েবাড়িতে দশপিস মালাইকারি খাওয়ার পর মাছটা বরফের বলা লোকগুলোর মতো, একে তো ফ্রিতে খাবে - ভিডিও করতে গিয়ে আমার রোজের কাস্টমারদের অসুবিধা করবে তারপর বলবে কচুরিটা আরেকটু খাস্তা হলে ভালো হোতো, আমার চাই না এই রোজের ঝামেলা। নেহাত  আমার দয়ার শরীর - কম্পিটিসানের মার্কেট  তাই ঐ রবিবারের ব‍্যবস্থা, আমার এখানে ভিডিও করতে হলে আগে থেকে নাম লেখাতে হবে আর কি বলবে ভিডিওতে সেটাও খসড়া করে দিতে হবে  আমাকে,  তারপর পারমিসান পাবে, আমি তো আর মানিকের মতো ভুঁইফোড় না,  আমার একটা স্ট‍্যন্ডার্ড আছে।“ এইসব কথায় বিরক্ত হয়ে  ভজহরি মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে কাউকে কোনো কিছু না বলে  বেরিয়ে এসে মনে মনে যেই রামরতনবাবু ভাবতে শুরু করেছেন দশলাখ সাবস্ক্রাইবার হলে দেখিস…তখনি তাকে ইন্সপিরেসান বলা লোকটা “রামখাদকবাবু, রামখাদকবাবু একটা সেলফি নেবো প্লিজ?”  বলে চিৎকার করতে করতে এগিয়ে  এসে জরিয়ে ধরলেন তাকে। ভালোবাসার অত‍্যাচার উপভোগ করতে করতে ক্ষনিকের অপমান  অগ্রাহ্য করে সেলফি দিলেন -  লোকটার সাথে হাত মেলালেন রামরতন বাবু। লোকটা বললো হ‍্যংলাতে যাবেন নিশ্চয়ই,  এই তো কিজুক্ষন আগে মানিকদা প্রসেসন করে ভেটকি মাছ নিয়ে গেলো, সাইজটা দেখেছেন? হেসে হ‍্যা বলে, হ‍্যংলাতে যাবার রাস্তাটা কোনদিকে জিজ্ঞেস করলেন রামরতন বাবু। লোকটা একটা টোটো ডেকে দিয়ে টোটোওয়ালাকে কোথায় নিয়ে যেতে হবে বলে দিয়ে, প্রশ্ন করলো “সেদিন আপনার আলুটা চন্দ্রমুখী ছিল নিশ্চয়ই।” রামরতনবাবু হেসে সম্মতি জানিয়ে, ধন্যবাদ ও ভিডিও দেখবেন বলে, টোটো করে এগিয়ে গেলেন বিখ্যাত রেস্তেরাঁ  হ্যংলার দিকে।

হ‍্যংলাতে পৌছে দেখলেন গলায় মাইকের মালা পরে মানিকবাবু সুর করে নেচে নেচে বলছেন নিজের সিগনেচার ডায়লগ “আপন করে নিন খাসি ,  আমি ছাগলকে ভালোবাসি!" আর প্রায় দশজন ভ্লগার নিজেদের  ক‍্যমেরা- মোবাইল তাক করে ঘিরে ধরেছে আস্ত একটা ছাগলের রান্নাকরা রোস্ট মাথার ওপর বিশ্বকাপের মতো তুলে নাচতে থাকা মানিকবাবুকে। ভ্লগের আসল কন্টেন্ট হারানো যাবে না ভেবে পড়িমরি করে ভিড়ের মধ‍্যে ঢুকতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন খাসি সহ মানিকবাবুর উপর! ‘এই যা, পড়ে যাবে - পড়ে যাবে, আস্তে - আস্তে, করছেনটা কি‘ এই সব মন্তব্যের মধ‍্যে ‘ পপাত চরনতল’  রামরতন বাবু যখন উঠে দাঁড়ালেন দেখলেন বিশ্বকাপ খাসি, তুলোর মতো ঝরে পড়েছে হ‍্যংলার মেঝেতে আর তারপাশে দুটো খুলে যাওয়া হাড্ডি হাতে শুয়ে আছেন ভাইরাল মানিকবাবু  আর ব‍্যথা অগ্রাহ্য একমুখ হাসি সঙ্গী করে তখনও সুর করে তিনি বলছেন “ আপন করে নিন খাসি ,  আমি ছাগল কে ভালোবাসি “। জামায় লাল লাল খাসির ঝোল লেগেছে, সাধের রিমলেস চশমাটাও ভেঙ্গেছে তবু মোবাইল টাকে সেলফি স্টিকে লাগালেন রামরতন বাবু, তাক করলেন শুয়ে শুয়ে খাসির দুই পায়ের দুটো নল্লী নাচিয়ে চলা ভাইরাল মানিকবাবুর দিকে। এবার মানিকবাবু বলতে শুরু করেছেন “ আহা কালো ছাগলের রান, হাতে করে আন, খেতে হলে এই বেলা, আসতে হবে মেমারির হ‍্যংলাআআ…আহাআআআ…..! “ গুনী মানুষটার ডেডিকেসান দেখে অবাক রামরতন বাবু, হাড্ডি দুটোর দিকে ক‍্যমেরা জুম করতেই মানিকবাবুর পান্চলাইন “তুলতুলে খাসিইইই, খেতে ভালোবাসিইইইই…‘! রামরতনবাবু প্রশ্ন করলেন আপনার খাসির বিশেষত্ব কি? জোর গলায় মানিকবাবুর সুরেলা উত্তর “আমাদের দেশি খাসি, মাখনে ঠাসাঠাসি…আর তার লাল ঝোল, বলো বলো হরিবোল।” অন‍্য একজন ভ্লগার ক‍্যমেরাটা এগিয়ে জিজ্ঞেস করলো কত কেজির খাসি? আবার  মানিকবাবুর সুরেলা উত্তর “খাসি আমার দশকেজি, ভেবো নাকো হেজিপেজি….”। হ‍্যংলা লেখা গেন্জিপরা দুটো ছেলে এইসময় এসে হাড্ডি হাতেকরে শুয়ে শুয়ে নিজের সিগনেচার স্টাইলে বক্তব‍্য দিতে থাকা মানিকবাবুকে ধরে তুললো আর কটমট করে দেখতে থাকলো রামরতনবাবুকে। ডোন্টকেয়ার ভাব নিয়ে ভাইরাল মানিক এবার দাঁড়িয়ে হাড্ডি দুটোকে গুজরাটি ডান্ডিয়া নাচের মতো নাচাতে নাচাতে বলতে লাগলেন - "নাড়ালেই ঝরে পরে হ‍্যংলার খাসি, তা দেখে প্রেমে পরে আট থেকে আশিইইই’।"

এইসব ভাইরাল ভ্লগ কন্টেন্ট মনোযোগ দিয়ে মোবাইল ক‍্যমেরায় বন্দী করে রামরতন বাবু এরপর খেতে বসলেন তুলতুলে খাসি। একে সকাল থেকে খাওয়া হয়নি, তার উপর সকাল থেকে এতসব বাধা বিঘ্ন তবু যে ভিডিও করা গেছে সেটাই অনেক। ভাবলেন ও দেখলেন, মানিকবাবু লোকটা এতো ভালো যে ধাক্কা খেয়ে পরেগিয়েও কি সুন্দর সামলে নিলেন সবটা, রামরতন বাবুর সাথে হেড টু হেড কলিসনে মাটিতে ছিটকে পড়া গোটা খাসিটাকে সবকটা ভ্লগারের ক‍্যমেরাকে দারুণভাবে এড়িয়ে শুধুমাত্র চোখের ইশারায় ঐ হ‍্যংলা লেখা গেন্জি পরা ছেলেদুটোকে দিয়ে উঠিয়ে টেবিলের ঠিক জায়গায় এমনভাবে প্লেস করিয়ে দিলেন যে, ভিডিও এডিটিং এর ঝামেলাও বিশেষ পোহাতে হবেনা কাউকে। শুধু তাই নয় এরপর নিজে একথালা ভাত আর খাসির ঝোল এনে জিজ্ঞেস করলেন “রামখাদকবাবু আপনার লাগেনি তো?” তারপর সবার দিকে তাকিয়ে  বললেন দেখলে তো আমার খাসি সত‍্যিই ঝরে ঝরে পরে, বিশ্বাস হোলো তো সবার।’ সমস্বরে উপস্থিত অন‍্যান‍্য সব ভ্লগার এক সাথে বলে উঠল “হ্যাঁ হ্যাঁ। তুসসি গ্রেট হো” আর  রামরতনবাবু মাথা নেড়ে  ওদের কথায় সায় দিতে দিতে নিজের মোবাইলের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন প্লিজ লাইক - কমেন্ট -শেয়ার এন্ড সাবস্ক্রাইব রামখাদক আর “আপন করে নিন খাসি ,  আমি ছাগল কে ভালোবাসি”।

আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴
software development company in siliguri,best
                          software development company in siliguri,no 1 software
                          development company in siliguri,website designing company
                          in Siliguri, website designing in Siliguri, website design
                          in Siliguri website design company in Siliguri, web
                          development company in Siliguri