বৃষ্টিমেদুর /সুকান্ত নাহা
বৃষ্টিমেদুর
সুকান্ত নাহা
বৃষ্টিমাদল পাগল হ’লে তুমুল ভেজে অরণ্য,
কেউ ভিজে যায় গোপন ছাঁটে
আদর লুকোয় ভেজা ঠোঁটে
আমি ভিজি সন্তুরে, ধুন টিনের চালে অনন্য।
আহা, আজ বৃষ্টিমেদুর অরণ্য।
ভিজলে শাড়ি দিচ্ছ আড়ি ফিচেল মেঘের সঙ্গে-তে
একটু যখন ভিজলে আরও
বাদলা তখন হল গাঢ় -
মল্লারে তার বাজল ঝালায় মেঘ গুরগুর সঙ্গতে।
আহা, সেই ব্যাকুল প্রণয় তোর সাথে।
বাদলা দুপুর রাস্তা-পুকুর জল থৈ থৈ জলবাহার,
ত্রস্ত মেয়ে সামলে চলে
গ্রস্ত কাপড় গুটিয়ে তুলে
হতচ্ছাড়া বাইকারোহী জল ছিটিয়ে পগার পার।
মেয়ে তোর ভেজা গায়েই দিন কাবার।
দামাল আষাঢ় কামাল তুমি করতেই পার চুটকিতে,
অভিমানী মেঘ সরিয়ে
দূরত্ব যেই দাও ঘুচিয়ে -
আধাআধি ছাতার তলে ভিজবে ওরা মস্তিতে ।
ক্ষতি কী, ভিজুক নাহয় ফূর্তিতে।
মুষল ধারায় ভিজছে উঠোন টইটম্বুর একরাতে,
বাবার দিস্তে খাতা ছিঁড়ে
নৌকো, ডিঙি দিতাম ছেড়ে
চুপি চুপি বলে দিতাম, " যা ভেসে যা তিস্তাতে।"
ওরে, আজ শ্রাবণ বড় পাগলাটে।
অঝোর ধারায় ভিজতে থাকে ঝুপ্পুস-কাক যানবাহন,
ভিজছে উঠোন, কুয়োতলা
স্কুল ফেরতা ছেলেবেলা -
মুষল ধারায় ভিজতে থাকে বাদলা স্মৃতির সাতকাহন।
আহা সেই, বর্ষামুখর দিনযাপন।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴