প্রস্তর/রাজর্ষি দত্ত
প্রস্তর
রাজর্ষি দত্ত
খাদের ধারে একটি পাথর স্থানুর মতো বসে,
উদাসীন, ভাবালু ও আত্মকেন্দ্রিকতার খোলসে।
কবে বসেছিল কে জানে! বা কিভাবে?
তবে সামান্য ঠেলায় সে অতলে গড়িয়ে যাবে।
এপাশে খাদের অপার শূন্যতা, ওপাশে গভীর অরণ্য-আবাস;
তারই মাঝখানে বসে, সে শুষে নেয় জ্যোৎস্নার নির্যাস।
সূর্যের বদলি অভিমানী রঙে কাটে তার প্রতিদিন,
হরিদ্রাভ উপত্যকায় ইতিহাসের নদী-ধারা যে ক্রমশঃ ক্ষীণ!
বসার গালিচায় কখন ফোটে শুকনো রঙিন ফুল -
গোড়ালি ঢেকেছে সোহাগী শ্যাওলায়-শরীরে পরত ধুল।
পাথর-তবু পাথরের মতো শক্ত নয় অন্তঃস্থল!
বৃষ্টি থামলে তারও কপোল চুঁইয়ে নামে জল।
তখন ছিন্ন জিমুতের ফাঁকে পেলব অলীক রোদ্দুরে,
কান্নার জলে লাগে রামধনুর রং-নতুন সৃষ্টির তরে।
প্রশস্ত বুকে কতজন লিখেছে প্রেমিক প্রেমিকার নাম,
বোকার হদ্দ পাথরের আশা, ছেড়ে কুল ধাম!
নিটোল ভাস্কর্য বানাবে কেউ, একদিন তাকে গড়িয়ে -
আকাশে তাই প্রতীক্ষার মেঘ সততই ছড়িয়ে।
পাথরটি যে বসে আছে খাদের খুব পাশটায়!
জেনো, একটু ঠেলায় হারিয়ে যাবে সমাবৃত শূন্যতায়।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴