পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলোচনায় ড: অমিত কুমার দে সম্পাদিত 'ডুয়ার্সের হাজার কবিতা'
পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলোচনায় ড: অমিত কুমার দে সম্পাদিত 'ডুয়ার্সের হাজার কবিতা'
কবি সনৎ চট্টোপাধ্যায় তাঁর "চা বাগান, আমার চায়ের বাগান কবিতায় ডুয়ার্সের এক ছবি এঁকেছেন....
"অনেক চড়াই ভেঙে কোনো এক নেপালী বধু
ঘরে ফেরে পিঠে তার রুগ্ন সন্তান
আরও দূরে আদিবাসী শ্রমিকের ঘরে
মাদলের শব্দে উত্তাল
আদিবাসী যুবক যুবতী পরস্পর জড়িয়ে কোমর
মাদলের তালে তালে পায়ে পায়ে
সৃষ্টি করে নান্দনিক নাচ।"
কবি তুষার বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি বেনু দত্তরায় , কবি পূন্যশ্লোক দাশগুপ্ত , ছড়াকার ও কবি বাঁধন চৌধুরী এই মূল্যবান সংকলনটিতে তাঁদের লেখা কবিতা পাঠিয়েছেন। এই প্রাতঃস্মরণীয় কবিরা আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। এইসব না ফেরার দেশের কবিদের কবিতার পঙতিগুলো আমাদের কাছে দুস্পাপ্য হয়ে উঠত, যদি না এখন ডুয়ার্স প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধার প্রদোষ রঞ্জন সাহা, কবি অমিত কুমার দে মহাশয়কে দিয়ে এই বৃহৎ সংকলনটির সম্পাদনার দ্বায়িত্ব না দিতেন।
কবি অমিত কুমার দে সম্পাদিত ডুয়ার্সের হাজার কবিতার বইটিতে যে সকল কবিদের কবিতায় সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁরা হলেন, সর্বশ্রী অজিত অধিকারী, অমল দেব,অমর চক্রবর্তী, অমিত দে,অমিতাভ চক্রবর্তী, অনিন্দিতা গুপ্ত রায়,অনীশ দে,অঞ্জনা ভট্টাচার্য, অর্ণব সেন,অরুণাভ রাহা রায়, অসীম কুমার দাস, অসীম মজুমদার, আমিনুর রহমান, ইন্দ্রাণী সেনগুপ্ত, উত্তম চৌধুরী, উৎপল অধিকারী, কমল দাস, কমল ভট্টাচার্য, কমলেশ রাহারায়, কল্যাণ দে, কেয়া সরকার, কৃষ্ণ চন্দ্র দাস, কাজী গোলাম কিবরিয়া, গৌতম গুহ রায়, গৌর মোহন রায়, চন্দন ভৌমিক, চিত্রভানু সরকার, জগন্নাথ বিশ্বাস, জয়ন্তী রায়, জ্যোতির্ময় রায়, টিপলু বসু, তনুময় সরকার, তনুশ্রী পাল, তন্দ্রা চক্রবর্তী দাস, তন্ময় দেব, তাপস চক্রবর্তী, তাপস রায়, তীর্থঙ্কর মন্ডল, তুষার বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপঙ্কর বসাক, দীপঙ্কর লাল ঝাঁ, দীপালি ঘোষ, দেবব্রত দে সরকার, দেবযানী সেনগুপ্ত, দেবাশীষ চাকী, দেবাশীষ পাল, নিত্য মালাকার, নিঝুম ঠাকুর, নীতিশ বর্মন, নীলাদ্রি দেব, নীলাদ্রি বাগচি, পরিতোষ মন্ডল, পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়, পায়েলী ধর, পূণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত, প্রবীর রায়, প্রবীর শীল, প্রণয় দাশ, প্রশান্ত চৌধুরী, পৌলমী সরকার, বনশ্রী সরকার, বাঁধন চৌধুরী, বিকাশ পাল, বিকাশ সরকার, বিমল ভট্টাচার্য, বেনু দত্ত রায়, বেনু সরকার, ভাস্বতী রায়, মধুমিতা চক্রবর্তী, মমতা দাস ভট্টাচার্য, মণিজিঞ্জির সান্যাল, মনশ্রী হাজরা, মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস, মানস ভৌমিক, মানিক সাহা, মুনমুন ভৌমিক, মৌমিতা মিত্র, মৃত্তিকা ভট্টাচার্য, রতন বিশ্বাস, রণজিৎ দেব, রঙ্গন রায়, রানা সরকার, রুমি নাহা মজুমদার, লাভলী বসু, লুনা বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী নাথ, শাঁওলি দে, শুভময় সরকার, শুভাশিষ দাস, শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, শুক্লা রায়, শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়, শৌভিক দে সরকার, শ্যামল চৌধুরী , শ্যামল চৌধুরী, শ্যামল সিংহ, শ্যামলী দাস, শ্যামলী সেনগুপ্ত, সমর রায় চৌধুরী, সমীর ভৌমিক, সমীর চক্রবর্তী, সমীর চট্টোপাধ্যায়, সনৎ চট্টোপাধ্যায়, সঞ্চালী রায়, সঞ্জয় সাহা, সন্দীপা নন্দী, সন্তোষ সিংহ, সত্যম ভট্টাচার্য, সাগরিকা বিশ্বাস, সুবীর সরকার, সুধাংশু বিশ্বাস, সুদীপ্ত মাঝি, সুজাতা পাল, সুজিত অধিকারী, সুনীল কুমার চক্রবর্তী, সুপ্রিয় চন্দ, সুশান্ত নন্দী, সুতপা রায়, সূর্যোদয় দে,সুরজ দাশ, সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়, স্মৃতিকণা মুখোপাধ্যায়, ও হিমি মিত্র রায়।
"ডুয়ার্সের হাজার কবিতা" সংকলনটিতে সম্পাদক অমিত কুমার দে এক'শ পঁচিশ জন কবির লেখা কবিতা কে স্থান দিয়েছেন। সব কবিদের কাছেই দশটি করে কবিতা চাওয়া হয়েছিল। যে কবিতাগুলোর শর্ত ছিল, সেগুলো অবশ্যই ডুয়ার্সের কবিতা হয়ে উঠতে হবে। ২০১৬ সালে এক নি: শ্বাসে লিখে ফেলা দশটি কবিতাই এই সংকলনে সংকলিত হওয়ায় কবিতা লেখবার আগ্রহ কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিল। এই অভিজ্ঞতা কেবলমাত্র আমার নয়। অনেক কবিই সেকথা স্বীকার করেছেন। আজ এই বইটি পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষে এবং বেস্ট সেলারের তকমা পেয়ে কলেজ পাড়ায় নি:শেষিত। এটা খুবই ভালো লাগা বিষয়।
সর্বোপরি "ডুয়ার্সের হাজার কবিতা " একটি মূল্যবান সময়ের দলিল এ বিষয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴