সহজ উঠোন

রেজিস্টার / লগইন করুন।

সব কিছু পড়তে, দেখতে অথবা শুনতে লগইন করুন।

Sahaj Uthon
18-December,2022 - Sunday ✍️ By- চিত্রা পাল 251

পরিপূরক

পরিপূরক 
চিত্রা পাল 
=========

ঝমঝম করে ট্রেনটা একটা ব্রীজ পার হচ্ছে। কাঁচে ঢাকা জানলা দিয়ে তিয়াস দেখলো একটা নদী, বেশ বড় চওড়া, মানে গঙ্গা নদী। ওপাশের লোয়ার বার্থেই বাবা শুয়ে আছে। এখন শোয়া ছাড়া কি কাজ, তাই শুয়েই আছে। যতক্ষণ দিনের আলো ছিলো ততক্ষণ বাবা একমনে জানলা দিয়ে বাইরের পৃথিবীটাকে দেখেছে। তার পরেই গায়ের চাদরটাকে জড়িয়ে  শুয়ে পড়লো। তখন একবার বাবাকে জিজ্ঞেস করলো,  বাবা কিছু পড়বে,দোবো ম্যাগাজিনটা বের করে? বই? ওর বাবা শুধু ঘাড় নেড়ে অসম্মতি জানাল। হাতের পত্রিকাটা দেখিয়ে বলল, এটা? ওর বাবা দেখে নিয়ে চোখ বন্ধ করে। 

বাবা আর ছেলে দুজনে চলেছে উত্তরবঙ্গে  নিছক ভ্রমণে। অন্ততঃ ছেলে তাই বলেছে বাবাকে। কিন্তু এর ভেতরে একটা উদ্দেশ্য আছে তিয়াসের। ও বাবাকে তাঁর পুরোনো কর্মক্ষেত্রে নিয়ে যাচ্ছে, যে ক্যাম্পাসে বাবার যৌবন ওদের বাল্যকাল অতিবাহিত করেছে।এটাতে বাবার বন্ধু ডঃ চৌধুরির ও প্রবল সায় আছে।  কোন কোন ছেলে থাকে যারা মা বাবার ভালো লাগার  জন্যে কিছু করতে চায়, তা করে  দিতে পারলে  তার নিজেরও ভালো লাগে এই ভেবে যে, বাবা মার জন্য কিছু করছি। তিয়াস আসলে এই ভাগে পড়ে। তাই এবার বলে বলে বাবাকে রাজি করিয়েছে  আসতে। ছেলে তিয়াস থাকে সিঙ্গাপুরে। অনেকদিন থাকে সেখানে, সেখানেই সেটেলড  একপ্রকার বলা যায়। ওর দাদা তর্পণ থাকে সেই মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইতে।
  
তিয়াসই বাবার কাছে মাঝে মধ্যে আসে। কোন কোন সময় একা আসে, তবে বেশির ভাগ সময় ওর বউ  লিলিও থাকে। তবে ওই আসে এপর্যন্তই। মানে ওই সল্ট লেকের বাড়িতে এসে দু এক রাত থেকেই  চলে যায় বাপের বাড়ি বর্দ্ধমানে।আবার ফেরার পথে আগের দিন এসে পরেরদিন ফ্লাইট ধরা। এভাবেই চলছে এখন। মা যতদিন ছিল, আসার পরে পরেই মা বলত এখানে কটা দিন থাকো, পরে কোথাও যেও।  সেটা ঠিক অমান্য করতে পারত না। আবার মা থাকার সময়ে বাড়িটাও জমজমাট ছিল,বেশ  হৈচৈ করে থাকা হত। এদিকে ওর ছেলে বড় হয়ে বাইরে পড়তে চলে গেলো।ছেলে সেখান থেকে ওদের কাছে এলে,ওরা ওকে নিয়ে ব্যাস্ত থাকতো, ও চলে গেলে নিজেদের কাজে মন দিতো, এই করে বাবার  কাছে আসাই হচ্ছিলো না। ওদিকে বেশ কিছুদিন ধরে ওরও শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। এটা অতিরিক্ত কাজের চাপের ক্লান্তি বোধ হয়। মাঝে মাঝে মনে হয় সব কাজ ঝেড়ে ফেলে দেবে। কার্যক্ষেত্রে তা অবশ্য হয়ে হঠেনি। শরীরে মনে ক্লান্ত ও এবার বেশ কিছুদিনের জন্য এসেছে, কাজকর্ম সব সরিয়ে দিয়ে। লিলি আসেনি সঙ্গে। পরে এসে কদিন থেকে একসঙ্গে ফিরে যাবে। এনিয়ে গতকালই লিলির সঙ্গে ফোনে বিশদে আলোচনা হয়েছে।
   
ট্রেনটা কোন বড় স্টেশনে দাঁড়াল বোধ হয়। তিয়াস দেখলো মালদা স্টেশন। বাবাকে ডাকল, ‘বাবা মালদা এসে গেছে’। ওর বাবা ঊঠে বসে বলে, ‘ও মালদা, যাই একবার নামি, এককাপ চা খেয়ে আসি’। এখন আবার চা খাবে কেন? একেবারে রাতের খাবার খেয়ে নাও’। না, যাই। বলে আড়মোড়া  ভেঙ্গে উঠে  চলে গেলেন বাইরে।একটু পরে ওর বাবা তপন ফিরে এলো সঙ্গে নিয়ে ডঃ চৌধুরিকে। এসেই বললেন, ‘দ্যাখ, কাকে নিয়ে এসেছি। ‘আরে এতো বাবার বন্ধু, ওর ফিজিশিয়ান, ডাক্তার চৌধুরি কাকা। ডঃ চৌধুরি  আর তপন সেই একেবারে স্কুল জীবনের বন্ধু। পরে দুজনের পাঠের লাইন ভিন্ন হওয়াতে কর্মক্ষেত্রও ভিন্ন  হয়েছে। একজন ইঞ্জিনিয়ারিং আর একজন ডাক্তারিতে, কিন্তু বন্ধুত্ব এখনও আছে।   তিয়াস একেবারে হতোভম্ব।দুজনের প্রফেশন তো ভিন্ন, অবশ্য দুজনেই রিটায়ার্ড। তাও উনি এখানে এলেন কোথা থেকে? কে জানে। ওকে অবাক হতে   দেখে উনি বললেন, আরে তুই অবাক হচ্ছিস তো, আমিও তোর বাবাকে দেখে কম অবাক হয়নি। একই কম্পার্টমেন্টে আছি অথচ  জানিই না, এখন তোর বাবা বেরিয়েছিল বলে দেখা হয়ে গেল। যাক্‌গে বল্‌, এখন তুই কেমন আছিস্‌? আমি তো ভালোই  আছি। বলেই তপন মানে ওর বাবা বললো, তুই বোস এখানে, আমি দুকাপ চা নিয়ে আসি’।  

ডঃ চৌধুরি তিয়াসের সঙ্গে ওর বাবার বিষয়ে অনেক কথা বললেন। তিয়াস উদ্বিগ্ন স্বরে বলে, বাবা আবার ভালো হয়ে যাবে তো? - আরে, তোর বাবাকে তার পুরনো বসবাসের জায়গায় নিয়ে যা, দেখবি, সব ঠিক মনে পড়ে যাবে। তোরও তো ছোটবেলাটা কেটেছে ওই ক্যাম্পাসে। ‘হ্যাঁ’। একেবারে আনমনে উত্তর দিলো যেন তিয়াস। ডঃ চৌধুরি বললেন কি ভাবছিস্‌? এমন সময়ে এক চা ওয়ালাকে নিয়ে কামরায় এলো তপন। চা খেতে খেতে জিজ্ঞেস করলেন, শুনলুম, তোরা সেই আগেকার কলেজ ক্যাম্পাসে যাচ্ছিস্‌? ‘হ্যাঁ।‘ ‘ক্যাম্পাসের পাশ দিয়ে করলা নদী ? তোর সব মনে আছে দেখছি। তপন বলে। ‘আরে আমিও তো এককালে  কিছুমাস এখানে কাটিয়েছি চাকরিসূত্রে। সেটা তুই ভুলে গেলি কি করে’? ‘হ্যাঁ,হ্যাঁ, সব মনে পড়ছে।  
 
ক্যাম্পাসের সেই উত্তরদিকে চা বাগানের গায়েই হেলান দেওয়া কাঞ্চনজংঘার স্নো রেঞ্জ, শীতে কেমন ধীরে  ধীরে বরফে মুড়ে যেত, মনে হয় কেউ যেন মাথার ওপরে রূপো গলিয়ে ঢেলে দিচ্ছে আর রোজ একটু  একটু করে গড়িয়ে নামছে, মনে আছে? তখন তিয়াস হঠাত্‌ বলে ওঠে, আচ্ছা, বাবা, শীতের সকালে লাল   কাঞ্চনজংঘা দেখবো বলে সোয়েটার মাংকিক্যাপ কোনরকমে গলিয়ে বাগানের গেট খুলে   দৌড়ে কটা বাড়ি পেরিয়ে  ওই পথের ধারে যেতাম না? শুধু লাল রঙটা দেখবো বলে , তাই না বাবা’? ‘তোর তো দেখি সব  মনে আছে’।‘হ্যাঁ, তারপরে কেমন সোনালি হয়ে পরে সাদা হয়ে যেতো, একেবারে  ঝকঝকে সাদা’। তিয়াসের কথার পরে তপন  বলে ‘আমার সেই বিকেলে বেড়াতে যাওয়াটাও মনে  পড়ছে’। ডঃ চৌধুরি বলল,’আর সেই কনকনে ঠান্ডায় রোজ রোড স্টেশন অবধি  হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে ফিরে এসে তোর বাড়িতে আগে এককাপ গরম চা খাওয়া’।তিনজনেই এখন স্মৃতিমেদুর।
  
ক্যাম্পাসে এসে ভালো লাগল দুজনেরই, দুজনেই সেই আগেকার থাকার সময়ের যাপন ছবি খুঁজে বেড়ায়। তবে পরিবর্তনের ছাপও রয়েছে যথেষ্ট। আরও অনেক ইঁট কাঠ পাথরের এলাহি আয়োজনে, কংক্রিটের অরণ্যে চাপা পড়ে গেছে সেই সবুজ ঘাসে ছাওয়া  নদীর ধারের তৃণভূমি। তপনের চোখে ভেসে ওঠে এক বালকের ছবি, যে তার বাবার হাত ধরে লাফাতে লাফাতে চলেছে, আর লজ্জাবতী লতায় পা ছুঁইয়ে দেখছে, কেমন করে লতার পাতাগুলো কুঁকড়ে যায়।  হালকা গোলাপি রঙের ছোট ছোট পোকা খাওয়া ঘাসফুল দেখলেই জোর গলায় বলছে, ‘বাবা ওই দ্যাখো আর একটা ডসেরা’।দুজনেরি জুতো ভিজে গেছে ঘাসের শিশিরে, মোজা ভরে গেছে চোর কাঁটায়।  
বাবাকে বেশ খুশি খুশি মনে হল তিয়াসের। এটা ডঃ চৌধুরি কাকুকে আজ রাতেই জানাতে হবে ফোনে।  ওরা এই কলেজের গেষ্টরুমে আছে। আগেই বলে ব্যবস্থা করে রেখেছিল। থাকার কোন অসুবিধে না হওয়াতে পুরোনো স্মৃতি রোমন্থনে সহায়ক হয়েছিলো খুবই। সবচেয়ে বড় কথা শুধুমাত্র বাবার সংসর্গে থেকে ও যেন আবার সেই পুরোনো দিনের ছেলেবেলায় ফিরে যেতে পারছিলো।  কতদিন হয়ে গেলো বাবার কাছ ছাড়া। আর্থিক বুনিয়াদ তৈরিতেই বেশি মনোযোগ দিয়ে ফেলেছিলো। আর মা চলে গিয়ে  বাবাও একা হয়ে গেছে।ও নিজে এতো দূরে থাকে যে  প্রায়শঃই  আসা সম্ভব হয় না।  বাবার কথায় ও এখানে আসতে রাজি হয়েছিলো।মাঝে অবশ্য ওর বাবা আসবার ব্যাপারে একটু নিমরাজি হয়েছিল, ডাক্তার কাকার চাপাচাপিতে বাবাও  শেষে আসতে রাজি হয়েছিল।  তবে এখানে এসে ওর বাবা যে এতো খুশি হয়ে যাবে সেটা তিয়াস ভাবেনি। 
    
পরেরদিন বিকেলে ওরা চলে যাবে।  সকালে  তপনের একবার নদীর ধারে আসার ইচ্ছে হল। তিয়াসও বলল, ‘চলো আমিও যাই’। ওরা নদীর ধারে আসছে, দূর থেকে কে যেন একজন এদিকে  আসছে সাদা শাড়ি পরে।  তিয়াস আপনমনে বলে উঠল,’বাবা,  বিম্বা নয়?’ তপন  বলে, ‘হ্যাঁ‌ তাই তো মনে হচ্ছে’।  তিয়াস বলছে,’ বাবা, মনে আছে, কতদিন বিম্বা আমায় খাইয়ে দিয়েছে? তপন মনে করার চেষ্টা করছে। তিয়াস বলে, দ্যাখো মনে করে, ঠিক মনে পড়বে। সেই যে একদিন মাছ খাওয়াবার সময়ে মাছের কাঁটা আমার গলায় আটকে গিয়েছিল, তখন ওই বিম্বা  শুকনো ভাত খাইয়ে জল খাইয়ে যে করেই হোক, কাঁটা থেকে মুক্তি দিল।  আমার আরাম  হল। তারপরে বিম্বা যা করেছিল না, সেটা আরও মজার। আমাকে ফুচিদের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল।  ক্যানো বলতো’?’ক্যানো’? ওর  বেড়ালের পা ধরতে। তাই নাকি? তপন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে। তিয়াস উত্তেজিত হয়ে বলে, ‘বিম্বা বলেছিল, বেড়ালের পা ধরলে নাকি মাছের কাঁটা ফোটার কষ্ট কমে যায়’।‘তোর মনে আছে এসব?’ তিয়াস বলে,’ হ্যাঁ, এই তো মনে পড়ল এখন’ । তপন বলে কি জানি বাবা, কোথা থেকে যে এসব ধারণা আসে’? ‘তখন কিন্তু বেশ মজা লেগেছিল জানো’? তিয়াসের উত্তর।   
 
সেই সাদা শাড়ি পরা মহিলা একেবারে ওদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করে, কে ,টুসু বাবা না? ওরা পিতাপুত্র অবাক হয়ে ওকে জিজ্ঞেস করে, তুমি কে?  তুমি কি বিম্বার কেউ হও? ‘আমি বিম্বার মেয়ে মেনকা’। তপন বলে তাই এতো সিমিলারিটি। তিয়াস বিম্বার হাতেই বড় হয়েছে। ওর মনে পড়ে, বাবার বদলি হয়ে যাওয়ার কারণে ওরা এখান থেকে যখন কোলকাতায় চলে যায় তখন বিম্বা খুব কেঁদেছিল। 
নদীর ধারটা আর সে নদীর ধার নেই। কতো বিল্ডিং হয়েছে। তিয়াস জিজ্ঞেস  করে,তুমি এখানেই থাকো’?মেনকা বলে,হ। তপন বলে, ‘আমরা ওই গেস্ট হাউসে আছি। বিকেলে চলে যাব। তুমি পারলে  পরে একবার এসো কেমন’? ও সম্মতি জানায়।তিয়াসের মনে পুরনো স্মৃতিগুলো যেন  ঝকঝকে হয়ে  ফিরে আসে। আসলে কলকাতা কানাডা সিঙ্গাপুর কোথাও এমনভাবে ওর ছেলেবেলাটা  জড়িয়ে নেই, এ  জায়গাটায়  যেমন  আছে। ওর মনে হচ্ছে আরও কটা দিন থেকে গেলে হতো। আরও কতকি অদেখা রয়ে গেল। সেই অশ্বথথ গাছের খোঁদলটা, মোষ চরানো কেষ্ট বলে ছেলেটা, সবই এখন মাথায় ঘোরাফেরা  করে,  চোখের সামনে সার বেঁধে দাঁড়ায়।  
  
ট্রেনে উঠে নিজেদের বার্থে বসে একবার দরজার বাইরে বেরিয়েছে দ্যাখে ডঃ চৌধুরি কাকু। তিয়াস বলেই ফেলল, মনে হচ্ছে তুমি আমাদের সঙ্গে এসে আমাদের সঙ্গেই ফিরে যাচ্ছ! 'দ্যাখ,কেমন, কোইনসিডেন্স' বলে উনি একেবারে হা হা করে হেসে উঠলেন।  যেন খুব মজার ব্যাপার মনে হল ওনার ।‘ তোর বাবাকে একবার পাঠিয়ে দে আমার কাছে, দেখি ওর কি কি  চেঞ্জেস্‌ হলো’।‘  কাকু ভালো করে দেখো, আমার মনে হচ্ছে, বাবা যেন একটু বেটার’। কম্পার্টমেন্টে এসে বাবাকে বলল, বাবা,ডাক্তার কাকুও যাচ্ছেন আমাদের সঙ্গে। উনি তোমাকে একবার যেতে বললেন।  অনেকক্ষণ পরে ওর বাবা ফিরে এলেন, মুখ দেখে মনে হলো  বেশ হাসিখুশি।     
  
তিন বছর পরের কথা।  তিয়াসদের সল্ট লেকের বাড়ি আজ জমজমাট। তিয়াস এসেছে ওর বৌ লিলি  আর ছেলে সোনুকে নিয়ে। তর্পণ এসেছে, সঙ্গে বউ মেয়ে মণি আর তিতি। সর্বোপরি তার সঙ্গে  ডঃ চৌধুরি। সবাই এখন আনন্দের মেজাজে। তিয়াসের রোগ মুক্তিতে সবাই খুবই খুশি।  ব্যাপারটা হলো, তিয়াস নার্ভের অসুখে আক্রান্ত সেটার ট্রিটমেন্টও হচ্ছিল, তার সঙ্গে  যে স্মৃতিভ্রংশ যুক্ত   হয়েছে, সেটা ডঃ চৌধুরি বুঝতে পারেন। কিন্তু তিয়াসকে জানতে দেননি। তিনি আরও বুঝতে পারেন আগের ট্রিটমেন্ট যা চলছে চলবে। এর সঙ্গে ওর কর্মভার কমানো ও স্মৃতিশক্তি বাড়ানো দুটোই একসঙ্গে করতে হলে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে যখন দুটোই একসঙ্গে কাজ করবে, তার সঙ্গে অবশ্যই থাকবে আন্তরিক  স্নেহস্পর্শ। কিন্তু ওকে বুঝতে দেওয়া যাবে না। তাই এত প্ল্যান প্রোগ্রাম।  আর বাবাকে রোগী বানিয়ে ছেলেকে দিয়ে সব কাজ করানো। তপনের অনুরোধে উনিও যেতে রাজি হয়েছিলেন, পেশেন্টকে ওয়াচ করার কাজটা চালাতে পারবেন বলে।  ওরও এতদিন পরে ছেলের সঙ্গে সেই যৌবনের দিনগুলোয় ফিরে যেতে যে ভালো লেগেছে সে কি আর বলে দিতে হবে। দুজনেই দুজনের পরিপূরক হয়ে উঠতে পেরেছিল যে, পিতাপুত্রের উজ্জ্বল মুখচ্ছবি কি  সেই কথাই বলতে চাইছে না? বোধ হয় তাইই।              
          

আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴
software development company in siliguri,best
                          software development company in siliguri,no 1 software
                          development company in siliguri,website designing company
                          in Siliguri, website designing in Siliguri, website design
                          in Siliguri website design company in Siliguri, web
                          development company in Siliguri