পঁচিশ বছর আগের বন্ধুরা/চন্দন খাঁ
পঁচিশ বছর আগের বন্ধুরা
চন্দন খাঁ
পঁচিশ বছর আগেকার বন্ধুদের মনে পড়ে --
শ্যামল - সুবীর - রতন - রমজানদের ---
মনে পড়ে --- শ্রাবণী - সুস্মিতা - তনুশ্রী - শ্রীতমাদের কথা।
শ্যামল কতবার কত ভাবে শ্রাবণীকে বলেছে ---
তোকে না পেলে আমি বাঁচবো না শ্রাবণী!
প্রতিবারই মৃদু হেসে শ্রাবণী বলেছে ---
পাগলামি করিস না, পাগলদের আমি ভালোবাসি না।
শ্যামল এখন মুম্বাইয়ে নামকরা ইন্টেরিয়ার ডিজাইনার
বিয়ে করেছে মাধুরী দীক্ষিতের মতো দেখতে
এক মারাঠি মহিলাকে।
ওদের এক মেয়ে,নাম রেখেছে -- শ্রাবণী।
আমাদের বান্ধবী শ্রাবণী পালিয়ে বিয়ে করেছিল
ওদের বাড়ির ড্রাইভার কালুদাকে।
সুবীর আর সুস্মিতা ইলেভেন থেকে এম এ পর্যন্ত ছিল পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা
যেন কৃষ্ণচূড়া আর রাধাচূড়া গাছ
প্রথমবারেই চাকরি পেল সুস্মিতা
তিনবার এসএসসি দিয়েও সুবীর কিছুই করতে পারল না।
সুস্মিতা শেষমেষ বিয়ে করল আমাদেরই বন্ধু রমজানকে। বিধর্মীকে বিয়ে করার জন্য সুস্মিতার মা সুইসাইড করলেন।
রতন ছিল ধরিবাজ ছেলে।
একই সঙ্গে ডুবে ডুবে জল খেত
তনুশ্রী ও শ্রীতমা নামের দুটি নদীতে
তনুশ্রী ও শ্রীতমা সবকিছু জেনেও রতনকে ছাড়তে পারেনি,
রতন কিন্তু অবলীলায় দুজনকে ছেড়ে
টুক করে বিয়ে করে নিল দাদার শ্যালিকা মনামীকে। কেননা মনামী প্রেগন্যান্ট হয়ে গিয়েছিল।
রতনের কিছুই করার ছিল না।
আকাশ থেকে নেমে আসতে হয়েছিল মাটিতে।
কিন্তু পঁচিশ বছর পরেও
রতন আজও ক্ষয়ে যাওয়া বিকেলে
স্নান করে
তনুশ্রী ও শ্রীতমা নামের
দুটি নস্টালজিক নদীতে!
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴