নিভৃতে প্রাণের দেবতা/ভাস্বতী রায়
নিভৃতে প্রাণের দেবতা
ভাস্বতী রায়
--------------------------
" ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে
আমার নামটি লিখো তোমার মনের মন্দিরে..."
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিটি বাঙালির জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছেন। একজন বাঙালি সন্তান হিসেবে আমারও "আতাগাছে তোতাপাখি" দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল।তারপর পেলাম "সহজপাঠের" রবীন্দ্রনাথকে।তখন রবিঠাকুর বলতে বুঝতাম দেবতা ঠাকুর। ছোটবেলায় পড়া মানেই মনে হত বন্দিদশা। তখন রবিঠাকুরের "প্রশ্ন" "ছুটি", "রবিবার" এই কবিতাগুলো ভালো লাগত।
বড় হয়ে জানতে পারলাম প্রেম, দুঃখ, আবেগ, রোমান্টিকতা - মানব জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের ছোঁয়া লেগে আছে। তার কবিতা, গান, ছোটগল্প, উপন্যাস যুগে যুগে পাঠককে আলোড়িত করেছে। কবির লেখায় রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া।একশো বাষট্টি বছর আগে জন্মগ্রহণ করেও কবির লেখায়,গানে ছিল নারী মুক্তির ভাবনার ছাপ ।তার ছোটগল্প- কাবুলিওয়ালা, হৈমন্তী, দেনাপাওনা র মধ্যে কত সুন্দর ভাবে তিনি অন্দরমহলের নারী চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন। আবার "সুভাতে" তুলে ধরেছেন মূক সুভাষিনী আর প্রতাপের সখ্যতা। শেষের কবিতার "যেখানে ভালোবাসা আছে সেখানে সৃষ্টি সহজ" উক্তিটি ব্যক্তি জীবনে ভীষণভাবে অনুপ্রেরণা যোগায়।
আনন্দে - বেদনায়, একাকীত্বে, বিষণ্নতায় রবীন্দ্রনাথ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে জীবনের সঙ্গে। বিস্মিত হই একই মানুষকে কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রবন্ধকার, সংগীতশ্রষ্ঠা, চিত্রকার এতগুলো রূপে দেখে। পাঠক হিসেবে আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে একটা রবীন্দ্রনাথকে জানা অজানাই থাকবে ।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴