নিভৃত শ্রাবণ/অর্পিতা মুখার্জী চক্রবর্তী
নিভৃত শ্রাবণ
অর্পিতা মুখার্জী চক্রবর্তী
শ্রাবণ সাজে সাজলো দিন এক
অঝোরধারায় ভিজে,
মনে শ্রাবণ, বাইরে শ্রাবণ
বিষন্ন বীণ বাজে।
তোমার কাঁচের শ্রাবণ আকাশ
তারও কী মুখভার?
মনকেমনের কালো তাঁতে
জড়ানো বুক তার?
মেঘমুলুকের আগল ভেঙে
শ্রাবণ গেছে চলে,
মেঘবালিকা অশ্রুসজল
স্মৃতির শতদলে।
তোমার ভেজা কান্না নিয়ে
বাতাসও আজ ভারি?
বৃষ্টিচিঠির কোন ঠিকানায়
কোন সুদূরে পাড়ি?
বৃষ্টিমেয়ে নৌকো হলো
মাথায় শালুক ফুল,
রিমঝিম ঝিম নূপুর পায়ে
ভাসলো সে কোন কূল।
তোমার মনও বৃষ্টি ঝরায়
কারো বসত চালে?
কারো নামের নৌকো ভাসাও
ময়ূরপঙ্খী পালে?
শ্রাবণ বুকে অজস্র ফুল
ভালোবাসায় ফোটে,
শ্রাবণ ঠোঁটে গল্পকথার
জলতরঙ্গ ওঠে।
তোমার বুকের দুন্দুভিতেও
মেঘের গুরুগুরু?
গহীন কোন এক শ্রাবণবেলার
ভালোবাসার শুরু?
ছন্দে, গানে, গল্পে, তানে,
দুঃখ সুখের মাঝে,
নৌকো জুড়ে শ্রাবণ আমার
একটি নামেই সাজে।
একটি নামই অঝোর ধারায়
বৃষ্টি নামায় মনে,
সৃষ্টিসুধারসের ধারায়
নিবিড় আলাপনে।
প্রশ্ন রাখি নিজের কাছেই
সবার কথা জুড়ে,
তিনিই সবার গভীর শ্রাবণ
খুঁজে নিই উত্তরে।
তাঁর বিরহে বাতাস ভারি
ফুলের পাপড়ি ম্লান,
চিরসখা তাঁরই নামে
পুণ্য শ্রাবণ স্নান।
মৃত্যু যখন বন্ধুসম
তাঁর সৃজনের মাঝে,
দূর আকাশে হারিয়ে যাওয়া
সেই দেবতার সাজে?
তোমার আমার সবার শ্রাবণ
তাঁরই রঙিন ফুলে,
অঞ্জলিতে সাজিয়ে দিলাম
প্রাণের কথা বলে।
দূরে ভোরের প্রথম রবি
শ্রাবণ মেঘের বাঁকে,
ফুলের দলে বিষাদ মেদুর
বাইশে শ্রাবণ আঁকে।।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴