তোমায় লিখছি কবি/মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস
তোমায় লিখছি কবি
মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস
--------------------------
কবি,
মেঘ জমে হঠাৎ অন্ধকার হয়ে এলে তোমাকেই কেন মনে পড়ে! গানের শব্দগুলো উজ্জ্বলতায় বুকের ভিতর বাসা বাঁধে।কেমন শূন্য শূন্য অনুভূতির মধ্যেও কত যেন তোমাকেই পাওয়া।যে সব বুকে তুমি নেই,তাদের বন্ধু বলে দু'হাত বাড়িয়ে দিতে কষ্ট হয়। অনন্তকাল প্রতীক্ষা করি সে জন্মদিনের,যে জন্মদিন জাতির মেরুদন্ড দৃঢ় করার দিন, বাংলাকে ভালোবাসার দিন, সুরে সুরে চমক আনার দিন।তোমার সৃষ্টির ষোড়শী অথবা পূর্ণা পারাবতীরা হেঁটে যায় অনন্ত পথ।শিখিয়ে দিয়ে যায়...মেরুদন্ড সোজা রাখতে হয়। হেঁটে যাও ইচ্ছেমতো ভালোবাসার পথে। যেখানে সম্মান আর শ্রদ্ধা হাত ধরাধরি, যেখানে অবজ্ঞা তুচ্ছতা নেই,উপেক্ষার বাতাস ছোটেনা...সে পথ চিনিয়েছ বার বার তুমি।অক্ষরের উৎসার থেকে নতুন করে সেজেছে তোমার নটীর পূজার শ্রীমতী, মহাভারতের চিত্রাঙ্গদা হাত বাড়িয়েছে,তৈরী করেছ মানবতার প্রতিমূর্তি আনন্দকে। হাত বাড়িয়ে আছে সে উপেক্ষিত তথাকথিত অস্পৃশ্য মানবীর দিকে।যে খুঁজে পেয়েছে আলো...চিৎকার করেছে আনন্দে"এ নতুন জন্ম, নতুন জন্ম, নতুন জন্ম আমার।"
'আলোয় আলোময় করে হে এলে আলোর আলো'....
বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি,সংঘং শরণং গচ্ছামি....এ 'বোধি'র আলো কাউকে শেখাওনি তুমি, বারংবার অক্ষরের অনুষঙ্গে,কবিতা গানে তোমার নাট্যধারায় বার বার সে শ্রদ্ধা,আত্মিক বোধ ফিরেছে... আমরা আলো ছায়ায় দুলেছি।সে কোন্ বালিকা বেলায় মনে মনে 'হারিয়ে যাওয়া'বামী ভেবেছি নিজেকে,কখনো ঘরে বাইরের বিমলা থেকে আত্মশুদ্ধিতে চিত্রাঙ্গদা এসে দাঁড়িয়েছে পাশে। জীবন জুড়ে শূন্যতা আসতে পারেনা তোমার উপস্থিতিতে।
দিন পেরিয়ে যায়,বার বার নেতি নেতি অন্ধকার জোর করে দুহাতে ঠেলে দিতে পারি তোমাকে উচ্চারণে।
আরও একবার এ পৃথিবীতে পা রেখে শান্ত দৃষ্টি মেল।পাখির মতো। ছড়িয়ে দাও শান্তি...সব কলুষ হরা।
অহরহ চলার মন্ত্র থাকুক তোমার ই সুরে।
...'আমার সকল কাঁটা ধন্য করে,ফুটবে ফুল ফুটবে/আমার সকল ব্যথা রঙিন হয়ে গোলাপ হয়ে উঠবে...'
- মণিদীপা
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴