তুমি রবে নীরবে (৩)/পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়
তুমি রবে নীরবে (৩)
পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়
অনিন্দ্যরা এমনই হয়। আমাদের সকলেরই দেখবার জন্য ঈশ্বর দুটো চোখ দিয়েছেন। সবাই দেখি কিন্তু কিছু মানুষ শুধু এই জগতের ভালো দিকটাই দেখতে পায়। কখনোই নিজেকে প্রচারের আলোতে নিজেকে আনেনি এই সম্ভাবনাময় প্রাবন্ধিক। ডুয়ার্সের সবুজ বনানী, বসন্তের নিবিড় পাতাঝরা নিসর্গের নিস্তব্ধতা তাকে আকর্ষিত করতো। নিজের ছবি অপেক্ষা ডুয়ার্সের নির্জন পথের ছবি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল তার কাছে।
তার জীবন দর্শনের মধ্যে ছিল সুদুর প্রসারী স্বচ্ছতা। অনিন্দ্য সেনগুপ্তের সব লেখাতেইব এক সুন্দর পরিচ্ছন্ন ভাবনা দেখা যায়। স্পষ্টবাদী লেখক ছিল সে। তার লেখাতে কখনোই অস্পষ্টতা ছিল না। সহজ উঠোনে তার ডিসেম্বর মাসের লেখা " লিখছি তোমায় যীশু" শিরোনামে লেখাটি এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য।
তাঁর স্বপ্ন ছিল এক সুস্থ সুন্দর পৃথিবী। অনেক লেখাতেই সমাজের সেই ছবি আমরা দেখতে পাই।
কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কবিতার কয়েকটি লাইন ছিল অনিন্দ্য 'র অতি প্রিয়।
" বয়স পাহাড়ি ঝোরা। দেখা হয়ে যায় কোনো বাঁকে....
চলমান তুমি নও। রাস্তা নিজে পেরোয় তোমাকে। "
একজন সকলের ভালোটাই দেখা এবং সেই ভালোর বার্তা বয়ে নিয়ে সকলকে সেই বিষয়ে অবগত করানোর প্রিয় মানুষটি চিরকাল আমাদের অন্তরে রয়ে যাবে। তাকে কখনোই আমরা ভুলতে পারব না।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴