তালগাছ/সরস্বতী নায়েক (পাল
তালগাছ
সরস্বতী নায়েক (পাল)
সামনেই আমরা রবিঠাকুরের জন্ম জয়ন্তী উদযাপন করব। তাই রবি ঠাকুরের কবিতার লাইন দিয়েই তোমাকে নিয়ে আমার ছোট্ট প্রয়াস -
"তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে।
সব গাছ ছাড়িয়ে।"
সত্যি এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা? অনিন্দ্যকে ৫ই ফেব্রুয়ারি ২৫, এক অভিশপ্ত ঝড় তাঁরই প্রাণটি কেড়ে নিল। উত্তরণ, ডুয়ার্স হারমনি, দূর্গা বাড়ির প্রাঙ্গণ, বিশেষ করে রবিবারে সাহিত্য সভার প্রত্যেকেই অনুভব করতে পারল তাঁর প্রয়োজনীয়তা। কথিত আছে, এই গাছের ফল পরবর্তী প্রজন্মই ভোগ করে। কিন্তু এখানেই ব্যতিক্রম ঘটেছিল। তাই হয়ত ঈশ্বর তাঁকে ডেকে নিয়েছেন, তাঁর কাছেই। কারণ অনিন্দ্য ফল বিতরণ করে গিয়েছেন সমাজের মানুষের কাছে,
তালগাছ যেমন প্রতিটি পাখিকে তাদের নীড় বানিয়ে নিশ্চিন্তে বসবাস করতে সাহায্য করে। অনিন্দ্য সেটাই। অনিন্দ্য তুমি ছিলে, এটাই আমাদের গর্ব। অনিন্দ্য তুমি নেই, এটি আগুনের মতো সত্য, খুবই যন্ত্রণা ও বেদনাদায়ক।
তবুও সত্যকে স্বীকার করে নিতেই হবে।
জানো অনিন্দ্য, যখন তোমার কথা মনে পড়ে, প্রত্যেকের হৃদয়েই নাড়া দিয়ে যায়।
হৃদয়ের অশ্রুধারা কেউ কী দেখতে পায়? প্রবল অশ্রু ধারায়, বসন্তের কোনো রং মিশাতে পারিনি আমরা। বসন্ত আজ ফিকে।
অনিন্দ্য, তোমার সাথে আমার পরিচয় পর্বের ১৬টি বছরের অনেক স্মৃতি রয়েছে, আমার মনে প্রাণে গেঁথে থাকবে। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তুমি পরবর্তী জন্মে, পরবর্তী প্রজন্মের হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তোমার অকালে চলে যাওয়ার বেদনা মা ও বাবাকে, সর্বময়কর্তা ঈশ্বর সহ্য করবার শক্তি দিন। মৌসুমী সেনগুপ্ত রায়, দিদির তোমাকে নিয়ে লেখনীতে জানতে পেলাম, তুমি গান ও কবিতা খুব ভালোবাসতে।
অনেক স্মৃতি রয়েছে তোমার সাথে। আমাদের ভারাক্রান্ত হৃদয়, কী লিখি কী লিখব না, টুকরো টুকরো ঘটনাবলী উঁকি মারে আমার ভগ্নহৃদয়ে। লেখনির শেষার্ধে এসে কবির ভাষায় বলি
"আবার আসিব ফিরে।
ধানসিঁড়িটির তীরে।"
ভালো থেকো।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴