জাল/সুদীপা দেব
জাল
সুদীপা দেব
দোয়েল পাখির কন্ঠে গান শুনতে শুনতে
নিকষ ডার্করুমে ঢুকে পড়ছি ক্রমশ
আলোর চাষ হবে অন্ধকারের ওই পাশে
হাতে আমাদের উন্নয়ন বীজ।
বীজতলা করতে গর্ত খুঁড়ে যাচ্ছি দিনরাত
যত বড় গর্ত তত আলোর প্রক্ষেপন।
দোয়েল পাখিকে উড়িয়ে দিয়ে
সব গাছ বলি দিলাম।
ডার্করুমে তখন আরো গভীর অন্ধকার
এত অন্ধকারে কিচ্ছু দেখতে পাই না
মাঝে মাঝে আমার ভয় করে
আবার আলোর চারার দিকে তাকাই,
আলোর গাছের স্বপ্ন বুনি দু'চোখ ভরে।
দোয়েল পাখিটা খড়কুটোর বাসা খোঁজে
আমরা ওকে আর্টিফিসিয়াল গাছ উপহার দিই।
ও জানে না সেখানে কিভাবে বাসা বুনতে হয়
ওর পেটে প্রচন্ড ব্যথা,
পেটের ডিম আর ধরে রাখতে পারে না
গড়িয়ে পড়ে, থেতলে যায় ডার্করুমের টেবিলে।
ও চিৎকার করে কাঁদে,
ঘনলাল তরলে ঠোঁট ভিজে যায়
নিশ্চল হয়ে যায় দুটি চোখ।
আমাদের দৃষ্টির কোণে ভীষণ নিষ্ঠুর অবহেলা
অন্তর্জাল খবর করে
চিরতরে হারিয়ে গেল
পৃথিবীর শেষ স্ত্রী দোয়েল পাখি।
গ্লেসিয়ার ভাঙছে
তবু ডার্করুমের সুইচ বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে
নদী চলবে নদী মরবে
আমরা ছবি আঁকছি,
কবিতা লিখছি গান শুনছি
তার নাম রেখেছি–
এ আই, ওরফে সমকাল।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴