জলে জঙ্গলে/আশিস খাজাঞ্চি
জলে জঙ্গলে
আশিস খাজাঞ্চি
স্মৃতিতে ঘুরে বেড়ানোর বহু কথা রয়ে যায়, যা চিরতরে গাঁথা হয়ে থাকে। আজ পর্যন্ত বেশ কিছু জঙ্গল ঘুরে বেড়িয়েছি। আমার উত্তর চব্বিশ পরগনা হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের শেষ দ্বীপের দুলদুলি গ্রামের বাড়ি থেকে সুন্দরবনের জঙ্গলের দূরত্ব খুব বেশি নয়। বাইকে বেশি হলে ৪৫ মিনিট লাগে। কিন্তু সেভাবে কখনো ঘোরার সুযোগ হয়নি। সুন্দরবন একেবারেই আলাদা-- প্রকৃতিতে, রং-এ, রূপে, বিভীষিকায়, নীরবতায়, গভীরতায়, জংলিপনায়। বাঘ-কুমীরদের নিরাপদ ডেরা, খেলার মাঠ, শিকারের বাগান। বিরাট বিরাট নদী পেরিয়ে জঙ্গল থেকে জঙ্গল, কখনোবা গ্রাম বাঘের অনায়াস যাতায়াত। তার খেয়ালখুশি।
আমাদের সাফারি ছিল পাঁচ দিনের। ২০১২ সালের ২৮শে ডিসেম্বর ভ্রমণ শুরু করি। আমরা ২২ জন ছিলাম দলে। ট্যুর কন্ডাক্টর দিলীপ মন্ডল পাঁচ দিনের জন্য ভারী সুন্দর একখানা বোট দিয়েছিল। নাম তার "রূপসী বাংলা"। গাইড অচিন্ত্য মন্ডল জঙ্গলকে আতিপাতি জানে। শেষ অবধি সাথে ছিল।
আমরা প্রথমে সোনারপুর থেকে ট্রেনে এসে ক্যানিং স্টেশনে নামি। এখানে আমাদের জন্য গাড়ি রাখা ছিল। গাড়ি সোনাখালীতে নামিয়ে দেয়। আমাদের "রূপসী বাংলা" দক্ষিণ 24 পরগনার সোনাখালীর হোগলা ডুবি নদী ধরে যাত্রা শুরু করে। এরপর গোসাবা ফেলে বিদ্যা নদীর খাঁড়ি বেয়ে এগিয়ে চলে। এক সময় বালি দ্বীপ ডাইনে রেখে সোনারগাঁ রিজার্ভ ফরেস্ট এলো। প্রতি বাঁকে বাঁকে সবুঝ-সুন্দরের নিটোল বুনোট। এবার আবার বিদ্যা নদীর বিরাট বিস্তার পাড়ি দিয়ে পীরখালির জঙ্গল ১ নম্বর ব্লক। সুন্দরবনের জঙ্গলে ভেতরে না ঢুকলে বোঝা যায় না কি রহস্য এর রন্ধ্রে রন্ধ্রে জপ করে চলেছে। কোথাও কোথাও লাল কাপড় বাঁধা আছে। মালা ঝোলানো আছে। জঙ্গলের ঐ সমস্ত জায়গায় কোন না কোন হতভাগ্য বাঘের শিকার হয়েছে। কেউ মাছ ধরতে এসে, কেউবা কাকড়া ধরতে এসে আর ঘরে ফিরতে পারেনি। পীরখালির জঙ্গল ফেলে গোমর নদী ধরে জটিরামপুর বার্ড স্যাংকচুয়ারিতে এসে অসংখ্য পাখির কলকাকলিতে মিশে গেলাম। এরপর জাহাজ ফোড়ন দিয়ে পাখিরআলা গ্রামে আমাদের জন্য নির্দিষ্ট হেমন্ত লজে রাত্রি কাটাই। ওই রাতের কথা ভোলাই যায় না। আদিবাসী নাচের ব্যবস্থা ছিল। দিলিপের ভাই রাজু কয়েকটা আঞ্চলিক গানও গেয়ে শোনালো। আমার সহকর্মী রবীন্দ্র সংগীত সাধক আশুতোষদা ওই পরিবেশের উপযোগী কয়েকটি গান শোনালেন। পুরোপুরি ঘরোয়া পরিবেশে রাতের খাবার খেলাম। উপরি পাওনা মাঝরাতে নদীর ওপারের জঙ্গল থেকে আকাশ বাতাস কাঁপানো বাঘের বজ্রগম্ভীর হুংকার। সেই প্রথম কোনো বাঘের ডাক শোনা।
পরদিন সকালে আবার গোমোর নদী দিয়ে পর পর সাতজেলিয়া, দয়াপুর, জেমসপুর, লাক্সবাগান গ্রামগুলি ফেলে কুমিরমারি বাঘনা ফরেস্ট বিট অফিসে অনুমোদন পত্র সংগ্রহের জন্যে যেতে হল। গরান, গেঁওয়া, সুন্দরী, হেঁতাল , কেওড়া গাছে ভরা এক একটা জঙ্গল দেখা শুরু। এই হেঁতাল গাছের বদার মধ্যে বাঘেদের বেশিরভাগ লুকিয়ে থাকার গল্প শুনেছি। প্রথমে মরিচঝাঁপি জঙ্গল তারপর গাববনি জঙ্গলের আপাত সরলমতি চরিত্র দেখতে দেখতে ঝিলা নদী ধরে ঝিঙেখালি ফরেস্টে পৌঁছে গেলাম। মাঝে মাঝে কিছু হরিণ, নানান ধরনের পাখি, দু-একটা বুনো শুয়োর, বন মোরগ চোখে পড়তে থাকে। কিন্তু আসলে যার উদ্দেশ্যে আসা তার দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। ঝিঙেখালি ফরেস্ট দেখা শেষ হলে কালিন্দী নদী বেয়ে ওপারে বাংলাদেশের তালপাট্টি জঙ্গল ঘেঁষে আমাদের বোট এগোতে থাকে। এরপর বুড়ির ডাবরি নদী ও হরির খাল ধরে হরিখালির জঙ্গল দেখতে নেমে পড়লাম। ওয়াচ-টাওয়ার থেকে জঙ্গলের মিষ্টি ভাষায় অনেকটা সময় নিজেকে ভাসিয়ে রেখেছিলাম। পরেরটা ভোলাখালি জঙ্গল। এক একটা জঙ্গলে এক একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্যের গাছের মেলা। দুপুরের খাবার ব্যবস্থা বোটেই। অনেক রকমের পদে এলাহি খাওয়া দাওয়া। এবার ভোলাখালির জঙ্গল দেখতে দেখতে আবার ঝিলা নদী হয়ে ছেড়াদত্ত ফরেস্ট হয়ে ছেঁড়ার চরে এসে পড়লাম। যতই এগোচ্ছি দুটো চোখ শুধু যেন তাকেই খুঁজে বেড়াচ্ছে, যদিও শুনেছি তার দেখা না পাওয়াই মঙ্গল। যাহোক আবার মরিচঝাঁপি, বাঘনা জঙ্গল হয়ে এদিনেরও রাত্রি বাস পাখিরয়ালা হেমন্ত লজে।
২৮শে ডিসেম্বর পাখিরায়ালা ছেড়ে সজনেখালি ফরেস্ট অফিস পৌঁছে যাই। বোটে যেতে যেতে দিলীপের মুখে ওর দীর্ঘদিন এই জঙ্গল সাফারির লোমহর্ষক সব কাহিনী শুনছিলাম। এক সময় রাতের বেলা যখন জঙ্গলের মধ্যে কোন এক নদীতে রাত কাটাচ্ছিল বোটের ডেকের উপর ওর ভাই রাজু ঘুমিয়ে ছিল। মাঝ রাতে দিলীপের ঘুম ভেঙে যায়। চাঁদনী রাতে বোর্ডের ছাদ থেকে দেখতে পায় ওর ভাইয়ের গায়ের কাছেই দু পা তুলে বাঘটি প্রায় আগলে রেখেছে। দিলীপ অত্যন্ত সাহসী ছেলে। ও উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে ভাইকে বাঁচাতে ওই ডেকের উপরে আচমকা ঝাঁপিয়ে পড়ে। কাঠের উপর আচমকা তীব্র শব্দে বাঘটি ভয় পেয়ে লাফিয়ে নদীর সাঁতরে জঙ্গলে ঢুকে যায়। সে যাত্রায় দিলীপ ভাই রাজুকে নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাঁচায়।
সজনেখালি ওয়াচ-টাওয়ার থেকে জঙ্গলের বিরাট বিস্তার দেখে দুচোখ জুড়োল। দেখলাম ক্রোকোডাইল পন্ড, বনবিবি টেম্পল ম্যানগ্রোভ ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার।
পরপর গভীর থেকে গভীরতর জঙ্গলের দিকে আমরা এগোচ্ছি। এবার এলাম পীরখালি ব্লক, যেখানে সুধন্যখালি ওয়াচ-টাওয়ার থেকে জঙ্গলের জংলিপনায় চোখ দাঁড়িয়ে যায়। যখন বনবিবি ভারানি, গাজীখালি, চোরাগাজীখালি, সুন্দরখালি এসব জঙ্গল দেখতে দেখতে যাচ্ছি কোথাও কোথাও ওই লাল কাপড় বাঁধা মালা ঝোলানো দৃশ্য দেখে ভয়ে শিউরে উঠছি। কেউ সন্তানহারা হয়েছে, কেউ স্বামীহারা। তবুও পেটের দায়ে ছোট ছোট নৌকা নিয়ে জঙ্গলের খাড়ির মধ্যে ঢুকে যায় মাছ ধরতে, কাঁকড়া ধরতে, কেউবা মধু কাটতে। কেউ ফিরে আসে কেউ ফেরে না। এলাম দোবাঁকি ক্যাম্প। ওয়াচ-টাওয়ারে উঠে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটালাম। উদ্দেশ্য একটাই ডোরাকাটার দেখা পাওয়া। কিন্তু তাঁরা সীমাহীন জঙ্গলে কোথায় কখন ঘুরে বেড়ান কেই বা বলতে পারে। দোবাঁকি ছেড়ে আমাদের বোট এবার এসে পড়ে পঞ্চমুখানিতে। পাঁচটি নদী এসে মিশেছে, ভয়াবহ বিস্তার। এরপর কাঁটা জঙ্গল, হেঁড়োর জঙ্গল, নেতাধোপানি জঙ্গলগুলো দেখতে দেখতে বেশ সময় কেটে যাচ্ছিল। একটা অদ্ভুত অজানা গাছ ছমছমে পরিবেশ। শুধুমাত্র বোটের ইঞ্জিনের শব্দ ছাড়া চারদিক যেন মৃতের পুরি। মাঝে মাঝে দু'চারটা পাখির ডাক শুনছিলাম, কিছু হরিণ জঙ্গলের পাশে নদীর কিনারায় বেরিয়ে আসছিল। আমাদের অতি উৎসাহের কারণে জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়েও পড়ছিল। বিকেলে মাতলা নদী ধরে ঝড়খালিতে এসে পৌঁছালাম। এখানকার ব্যাঘ্র প্রকল্পে সময় পেরিয়ে যাওয়াতে আর ঢোকার অনুমতি পাইনি, তাই বাঘও দেখা হয়নি। আমার ছেলে অনীকের পরীক্ষার জন্য ওর মা আর ও আসতে পারেনি। তৃতীয় দিন ঝড়খালিতে এসে ওরা আজ আমাদের সঙ্গে যোগ দিল। ওরা আগেই পৌঁছে গিয়েছিল। তাই ব্যাঘ্র প্রকল্পে ঢুকে বাঘ দেখার সুযোগ পেয়েছিল। এদিন রাতে আমরা সবাই কৈখালীতে বোটেই কাটালাম। সন্ধ্যা থেকে খাওয়ার আগে অবধি গানে গল্পে কবিতায় আড্ডায় এক জমাটি সময় কাটলো। মাঝেমধ্যে কি রান্না হচ্ছিল সে দিকেও হানা দিচ্ছিলাম কেউ কেউ।
পরের দিন 31শে ডিসেম্বর কুয়াশা ভাঙা ভোরে নদীর উপর সূর্যোদয়ের অপরূপ দৃশ্য দেখলাম। এবার কৈখালী ছেড়ে আবার মাতলা নদী ধরে চিতুড়ি জঙ্গল দেখতে দেখতে হেড়োর জঙ্গলে পৌঁছে যাই। প্রত্যেকটা জঙ্গল বৈশিষ্ট্যে প্রায় কাছাকাছি। ঘন জঙ্গলে চোখ খুব বেশি দূর যায় না। জেটি বেয়ে জঙ্গলে নেমে পড়লাম। নির্দিষ্ট ঘেরা টোপের মধ্যে থেকে যতটা দেখা সম্ভব দেখার চেষ্টা করলাম। কোথাও কোথাও বিশাল আকারের মৌচাক চোখে পড়ছিল।
হেড়োর জঙ্গল ফেলে আসার পর অপূর্ব ছায়া দ্বীপের পাশ কাটিয়ে বনি ক্যাম্প টাইগার রিজার্ভ সেন্টার চলে এলাম, যদিও টাইগার আমাদের দর্শন দেয়নি। এবার আমরা ডলফিন পয়েন্টে এলাম। এখানে অবশ্য বহু ডলফিন দেখা দিল। ডলফিনদের বিদায় জানিয়ে হেলিফেনি নদী, লক্ষীর খাল পরপর পেরিয়ে বঙ্গোপসাগরে এসে পড়ি। সাগর তীরের কিনারা ঘেঁষে আমাদের বোট নিয়ে এলো ঝিঞ্জের বিরাট আকারের সুন্দর দর্শন বালুচরে।
এবার যাচ্ছি কলস বীচে। এটা বঙ্গোপসাগরের বীচ। কলস দ্বীপই শেষ দ্বীপ।এখানে প্রায়ই বাঘ দেখতে পাওয়া যায়। আমরাও দেখেছিলাম তবে না দেখার মতোই। ক্যামেরার লেন্সের সাহায্য নিয়ে। অনেক দূরে দুটি বাঘ পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছিল। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটার মতোই দেখা। এই দ্বীপের পাশেই বালি দ্বীপ। এখানে একদল বড় ছোট হরিণ দেখতে পেলাম। এবার বেড়োর খাল, ভাইজোড়া খাল ধরে দুপাশের জঙ্গল দেখতে দেখতে যখন এগোচ্ছি হঠাৎ চোখে পড়ে বাঘের পায়ের তাজা ছাপ। কিছুক্ষণ আগেই যে মহাশয় গেছেন তা স্পষ্ট। তখন সূর্য ডুবু ডুবু। জঙ্গলের ভেতরে ছোট্ট খালের মধ্যে ঢুকে আমাদের বোট দুদিকের জঙ্গলে আড়াআড়ি আটকে যায়। তখন কোন এক দিকে ঘোরানোই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একে সন্ধ্যে নামছে তারপর দুদিকেই জঙ্গল যেকোন মুহূর্তে আক্রান্ত হওয়ার ভয় চেপে বসতে শুরু করল। প্রথমত বাঘ, দ্বিতীয়ত জঙ্গলের ডাকাত। অতি কষ্টে বাঁশ দিয়ে এপাশ-ওপাশ ঠেলাঠেলি করে বোটটিকে লম্বালম্বি এনে খাল থেকে বেরিয়ে নদীতে আসতে পারলাম। দিলীপ অত্যন্ত সন্তর্পনে জাল ফেলে দুএকটা মাছও পেল। এখানে জাল ফেলা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। বন দপ্তরের লোকজন প্রায়ই টহল দেয়। আজকের রাত্রি বাস কলস দ্বীপের পাশে নদীতে আমাদের বোটেই। ভয়ংকর পরিবেশের মধ্যে এ রাত্রি কাটালাম যদিও তার মধ্যে এক অন্যরকম ভালোলাগা মিশে ছিল। অনেক দূরে দূরে আরো কয়েকখানি টুরিস্ট বোটও ছিল। রাতে জঙ্গলের মধ্যে বাঘের ভয় অপেক্ষা ডাকাতের ভয় বেশি।
১লা জানুয়ারি সকালে ব্রেকফাস্ট সেরে আমরা কলস ক্যাম্প ঘুরে ঘুরে দেখলাম। প্রচুর বাঁদরের উপদ্রব এখানে। এরপর কুমির খাল, ঠাকুরান নদী পরপর পেরিয়ে এসে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এলাম। এখন যে জঙ্গল দেখব সেটা অনেক বেশি আকর্ষণীয়- ত্বরাসারির জঙ্গল। এই জঙ্গলটির উপর দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা ব্রিজ বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বানানো আছে। টুরিস্টরা এর উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে জঙ্গলের অনেকটা ভেতরে যেতে পারে।ব্রিজের দুপাশে তারের জাল দিয়ে ঘেরা, যাতে জঙ্গলের মহারাজ আচমকা সুযোগ না নিতে পারে। এই সাফারি শেষ হলে ত্বরাসারির খাল ধরে এক সময় ঢুলি ভাসানি নদীতে এসে পড়ি। এতক্ষণে একটা দৈত্যাকৃতির কুমিরের দেখা পেলাম জঙ্গলের কিনারায়। যতটা কাছাকাছি পৌঁছানো যায় পৌঁছে যে যার খুশিমতো ছবি নিলাম। কিছুটা হলেও শান্তি পেলাম। অন্তত বুনো কুমির শেষ মুহূর্তে দেখা গেল।
এখন বাড়ি ফেরার পালা। পর পর ঢুলিভাসানি নদী, ছায়া দ্বীপ নর্থ-ইস্ট, আবার ঢুলিভাসানি, ঠাকুরানি, বিদ্যা নদী, হোগলাডুবি একে একে নদী পেরিয়ে গোসাবা, বাসন্তী হয়ে আমাদের "রূপসী বাংলা" যাত্রাস্থলে পৌঁছে দেয়। পাঁচ দিনের জঙ্গল জঙ্গল গন্ধ সমস্ত দেহমনে নিয়ে আবার সোনারপুরে মানুষের জঙ্গলে মিশে গেলাম।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴