ছুঁয়ে থাক হেমন্তের বেলা/অলকপর্ণা সেনগুপ্ত ব্যানার্জী
ছুঁয়ে থাক হেমন্তের বেলা
অলকপর্ণা সেনগুপ্ত ব্যানার্জী
সাদা কালো মেঝের বারান্দাটা একটু একটু করে আপন হয়ে উঠেছে যেন, এই হেমন্তের বিকেলগুলো কেমন নরম সোনা রঙের, কিন্তু বড্ড ছোট্ট!! ঠিক যেন আমার শৈশব, ভালবাসার সোনা রঙে মোড়া কিন্তু বড়ই অল্প সময় তা,তারপর এক ক্লান্তিকর দীর্ঘ জীবন পথ,আর একটু একটু করে একা হয়ে যাওয়া।
সদা ব্যস্ত রাস্তার অদূরে আমার ছোট্ট বারান্দায় বসে আমি সূর্যের ঢলে পড়া দেখি, সোনা রঙের রোদের চাদর বিছিয়ে থাকে সাদা কালো বারান্দায়, অপরাজিতার নীল ফুলে উড়ে বেড়ায় ছোট্ট সাদা প্রজাপতি,আমার কোলের ওপর খোলা পড়ে থাকে পুজো সংখ্যা, হেমন্তের মহার্ঘ্য বিকেল ছোঁয়ার এক ছেলেমানুষী আনন্দ পেয়ে বসে আমাকে। মনখারাপি মেঘ পার করে ঝকঝকে নীল আকাশে আমি গুম্ফার সোনালী চূড়া দেখতে পাই !! মনে হয়, ভালো আছি, ভাল আছি…শেষবেলায় খুঁটে খেতে খেতে শালিখগুলো যেন ঘাড় বেঁকিয়ে তেমনি কিছু বলে আমায়। দারচিনি গাছের পাতা ঝরে পড়ে একটা-দুটো, বলে, ভালো থেকো, ভালো থেকো।
কখন যেন দূরে গাছপালার আড়ালে সূর্য টা টুপ করে ডুবে যায়। সানসেট অরেঞ্জ ফিকে হতে থাকে, পাহাড়ের বাঁকে ধ্যানমগ্ন বুদ্ধমূর্তি তে হেমন্তের শেষ বিকেলের আলো প্রণত হয়। বাতাসে হিমেল স্পর্শ লাগে। সোনালী বিকেল আমার হাত ছাড়িয়ে সন্ধ্যায় মিশে যায়। না, মনখারাপ নয়, আবার কোনো উচ্ছ্বাসও নয়, এক অপার শান্তির প্রলেপ পড়ে মনে, হেমন্তের এক সোনালী বিকেলের সাথে ভালো থাকাকেও ছুঁয়ে ফেলি আমি।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴