চেনা প্রান্ত থেকে অচেনা অন্ধকারে/সুনীতা দত্ত
চেনা প্রান্ত থেকে অচেনা অন্ধকারে
সুনীতা দত্ত
হাত ধরাধরি করে স্বপ্নেরা প্রহর গোনে
যন্ত্রণার প্রহর প্রতি মিনিট, সেকেন্ড
আরো ক্ষুদ্রতর হতে হতে মিলিয়ে যায়
যন্ত্রণার রাত কি শেষ হয়?
আকাশে টক গন্ধ ভরে ওঠে
বিকোয় শরীর, আবর্জনায় ভরে শহরের অলিগলি নিশ্চিহ্ন হয় মায়া নগরীর অক্সিজেন জ্বর
গড়ে ওঠে বিবর্তনের ইতিহাস।
কাঠফাটা রোদের পরে ঘর্মাক্ত জ্বর
যাপন করে মাটি, নিঃশ্বাসে বিষ বাষ্প
ভরে যায় সমুদ্র, নদী
সবুরে মেওয়া তো আর ফলে না
বিধান দেয় অচিন্ত্য নগরী
সূর্য কিরণে অশান্ত বাতাস পথ ভোলে।
তোমার শরীরের উন্মত্ব রং
বাকি সব রংকে ফিঁকে করে
রামধনুর প্রবল ছটা মনে করায়
সবুজ বসন্তে মাতাল হৃদয় বেসামাল হয়।
ফুটিফাটা পথের প্রান্তে তীর্থ কোথায়
শব্দ রাশি জুড়ে ইতিহাস
ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় চিত্র পথ আবছা
অসময়ের সব উচ্চারণ, নজরকাড়া সাফল্য
তবুও তীব্র দহন, পৃথিবীময় কর্কট রোগের জালচক্র জাপটে রাখে, শুধু ক্ষয় আর ধ্বংস
জীবন জুড়ে পৃথিবীর ছায়া
নিত্য যাপনে একমাত্র বাসস্থান
অন্য গ্রহের দ্বারস্থ ,ভিক্ষায় ঝুলিতে
এক ফালি শান্তি আর দীর্ঘায়ু।
উষ্ণতম দিনের কঠোর কঠিন কর্ম মুখরতা
নির্জনতার দুপুরে শুধুই মৃত্যু কামনা
কামনায় স্বর্গ রথ , রথে সারথি
নিশ্চিহ্ন বনানী কাতরায় যন্ত্রণায়
সমুদ্রের গর্ব প্রায় খর্ব, জলোচ্ছ্বাসের রুদ্র রূপ ঘন কালো ছায়া নিমেষে আধার
গলি পথের পাশে ঝুপড়িরা চিৎকার করে ওঠে
এক টুকরো মাটি চাই!
সুখ , বসন্ত, প্রেম সব ধুলিস্যাৎ
ধুলিময় মনের আনাচ -কানাচ
তীব্র কাঁপুনিতে শরীরের কলা কোষ ভগ্ন
রাজার হস্তক্ষেপেও রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থ
কেউ আবার বলে 'রাজার অসুখ'
হয়তো তাই, যুদ্ধের দামামা বাজলে
সৈন্যরা কি চুপ থাকে ?
পৃথিবীময় উলুখাগড়ার দল
প্রাণ হারায়, রন্ধ্রে রন্ধ্রে শুধু চাওনি
আমি আর আমি।
এত সাবধানতার পরও মরীচিকার মতো বাসনা শরীরের উপশিরায় বারুদের গন্ধ
নিজের ঘর দূষণ তো নৈমিত্তিক
গ্রাম, শহর, নগর জুড়ে অতীত বাস করে
সারা বর্তমান জুড়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন অজানা রোগের সংকেতে জ্বরে পুড়ে যাওয়া শরীর।
চিতার আগুন তবু নিশ্চিত শান্তি
গজিয়ে ওঠা আগাছা গুলোও
জেহাদ তোলে, অক্সিজেন তো ওরাও দেয়!
গগনচুম্বি প্রাসাদ কানে কানে জানায়
নগরবাসীর দেনা পাওনা জুড়ে জুড়ে
পৃথিবী নাকি একদিন শান্ত হবে
শূন্যতার লাগাতার দামামায়
জানান দেবে নিশ্চিহ্নতার পূর্বাভাস।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴