কেশবতী কন্যা/শুক্লা রায়
কেশবতী কন্যা
শুক্লা রায়
খঞ্জনি বাজিয়ে চলে মেঘবতী দিন
থৈ থৈ ভরা মাঠ, দিগন্তে বিলীন।
শ্রাবণ শ্রাবণ গান নদীটির বুকে
সবটুকু আমারই -মরে এই সুখে।
আসলে কী আছে কিছু? ভাবে প্রতিদিন
কেশবতী কন্যার দৃষ্টি যে ক্ষীণ
চোখদুটো হেঁটে চলে দূর বহুদূর
যায় বুঝি দেখা কিছু! শুধু ভাঙচুর!
মাঠ ভাঙে, পাড় ভাঙে নদী ছলছল
শ্রাবণ হৃদয়ে বসে উপচিয়ে জল।
পিঁড়ি পেতে বসে আছে সেই শিশুকাল
কাগজের নৌকোয় তুলে দেয় পাল
জল কেটে ছুটে যায় তর তর তর
ভেজা পাতা নুয়ে পড়ে সর সর সর।
এখনের নৌকোটি জলকাদা মেখে
আধভাঙা দাঁড় হাতে সাঁতরানো শেখে
ফুলে ওঠা নদী বুকে জল থৈ থৈ
শুকপাখি থেকে থেকে ডাকে কৈ কৈ!
কেশবতী কন্যাটি ভারী নিশ্চুপ!
পিঠ বেয়ে জল নামে টুপ টুপ টুপ
চোখে তার জল নেই শ্রাবণের বেলা
বৃষ্টিকে ধরে রাখে বৃষ্টির খেলা।
পথ ভাসে, মাঠ ভাসে মেঘও ভাসে নিজে
ভাসানের বৃষ্টিতে চোখ ওঠে ভিজে।
কেশবতী কন্যার জানালায় মন
ঝুপ ঝুপ বৃষ্টিতে মন উচাটন।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴