সহজ উঠোন

রেজিস্টার / লগইন করুন।

সব কিছু পড়তে, দেখতে অথবা শুনতে লগইন করুন।

Sahaj Uthon
01-October,2023 - Sunday ✍️ By- . . . 303

কাটিং চা/সঞ্জয় ভট্টাচার্য

কাটিং চা
সঞ্জয় ভট্টাচার্য

পাহাড়ের উঁচুনিচু রাস্তা ধরে খুব ধীরে  হেঁটে চলেছিলাম। এই পাহাড়ী রাস্তায় জোরে হাঁটা যায় না, অভ্যস্ত নই একেবারেই। ধীরে ধীরে পৌঁছে গেলাম গন্তব্যস্থলে। গন্তব্যস্থল বলতে দীপকের চায়ের দোকান। 

আমি এই পাহাড়ী অঞ্চলে বেশীদিন হ'ল আসিনি। একটা সরকারি প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পেয়ে এসেছি। স্কুল থেকে হাঁটা পথে বাড়ি ফিরি। স্কুল থেকে খুব দূর নয় বাড়ি বা আস্তানা যাই বলা যাক। বাড়ি ফিরবার পথে এই দীপকের চায়ের দোকানে বিকেলের চায়ের পর্বটা  সেরে নিই যাতে বাড়ি ফিরে আর চা না বানাতে হয়। যদিও অনেকে বলে, চা বানানো নাকি পৃথিবীতে সবচেয়ে সহজ কাজ কিন্তু আমার কাছে তা জটিল রসায়নের সমীকরণের থেকেও আরো অনেক জটিল।

দীপকের চায়ের দোকান কোনও রেস্টুরেন্ট বা টি-বার নয়। তিন দিক পাহাড় আর একদিকে নদীর মাঝে একটা ছোট সমান্তরাল জমি, কিছু পাথর বসানো আছে ইতস্তত এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে। একটা পাথরে বসবার জায়গা, সামনে রাখা আরও একটা পাথর টেবিল। পাহাড়ের গায়ে কিছু ফুলের গাছ লাগিয়েছে দীপক, কিছু ফুলগাছ প্রাকৃতিক। বেশ রঙ-বেরঙের পরিবেশ। নদীর জলের শব্দ শোনা যায় কোলাহল না থাকলে। এভাবেই দীপকের চায়ের দোকান সাজানো। দোকানের মালিক, কর্মচারী সব দীপক নিজেই। সকালে এসে দোকান সাজায়, আলো কমে এলে সব গুটিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। এই ছোট্ট জায়গায় দীপকের চায়ের দোকানের বেশ নাম আছে ভালো চায়ের জন্য। মেরেকেটে ৫ ফুট লম্বা হবে, পড়নে একটা জিন্স যেটার ব্যাক পকেট কোমর আর হাঁটুর মাঝখানে থাকে। সারাদিন একটা টি-সার্ট। সকালে ও  বিকেলে দেখা যায় একটা লাল-হলুদ রঙের জ্যাকেট গায়ে।
একটা কো-এড হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল আছে এই এলাকায়। ছেলেমেয়েরা আসে এই দোকানে চা খেতে আর গল্প করতে। এখানে বসে থাকবার কোন বাধা নিষেধ নেই। যে যতক্ষণ ইচ্ছে বসে থাকতে পারে। ছেলে-মেয়েরা স্কুল ছুটি হলে এসে বসে। এই পাহাড়ী অঞ্চলে স্কুল তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে যায় কারণ প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা আসে। আমি বসে বসে এই ছেলে-মেয়েদের কথা শুনি। আমি বয়সে ওদের থেকে অনেকটা বড়ো। অনেকটা সময় পেরিয়ে এসেছি জীবনের। আধুনিক শব্দ আর কথার সুর শুনি ওদের থেকে।  কোলাহলমুখর, প্রাণোচ্ছল একটা পরিবেশ। বেশ ভালো লাগে।
আর দেখি একজনকে, এক ভদ্রমহিলাকে। 

দেখে মনে হয় ভদ্রমহিলার বয়স ৫০-৫২ হবে। পোষাক আর চেহারায় সম্ভ্রান্ত ঘরের মনে হয়। প্রতিদিন আসেন, একটা কাটিং লাল চা অর্ডার করেন। চা এলে, ব্যাগ থেকে বিস্কুটের একটা প্যাকেট বের করেন। বিস্কুট ডুবিয়ে ডুবিয়ে অনেকক্ষণ সময় নিয়ে  বসে চা খান। ব্যাগ থেকে একটা কাগজ বের করতে দেখি প্রতিদিন। মনোযোগ দিয়ে পড়েন। অনেকক্ষন ধরে সেই চা, বিস্কুট খাওয়া চলে, সাথে সেই কাগজ। তারপর উঠে চলে যান। কখন আসেন তা ঠিক আমি জানিনা, কারণ আমি কোনওদিন আসতে দেখিনি ওনাকে, কিন্তু আমি গিয়ে প্রতিদিন দেখেছি টেবিলে উনি বসে আছেন।

ছেলে-মেয়েগুলো একদিন খুব মৃদু স্বরে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিল ভদ্রমহিলাকে নিয়ে। ওদের মধ্যেও  ভীষণ একটা জিজ্ঞাসা  ছিল। একজন বলছিল, নিশ্চয় কোন লাইফ ইন্সুওরেন্স এজেন্ট হবে। দিনের শেষে  এখানে বসে সারাদিনের হিসেব মেলায় কাস্টমার মিটের।

এক মুহুর্তের জন্য মনে হয়েছিল, হয়তো ছেলেটি ঠিক বলছে। কিন্তু কোথাও যেন একটা কিন্তু থেকেই গেল। আমার মনের জিজ্ঞাসাও যেন দিন-দিন বেড়েই চলছিল।

 একদিন ভদ্রমহিলা চলে যাবার পর দীপককে ডেকে জিজ্ঞাসা করলাম “यो महिला को हो? किन उनी हरेक दिन यहाँ आउँथे?” (এই ভদ্রমহিলা কে? উনি কেন প্রতিদিন এখানে আসেন?)

দীপক খুব ব্যস্ততার মধ্যে বলে গেল , “माडम यहाँ पछिल्लो 30 वर्षको लागि हरेक दिन आउँछ। उनी 4 बजे आउँथे र 6 बजे तिर जान्थे। मलाई यो मात्र था छ”। (ম্যাডাম গত ৩০ বছর ধরে এখানে আসেন) 

খুব পরিষ্কার করে কোনও উত্তর পেলাম না দীপকের কাছ থেকে। তবে এটুকু বুঝতে পারলাম, ভদ্রমহিলার সাথে এই চায়ের দোকানের একটা পুরোনো সম্পর্ক আছে। মনের ভেতর কেমন যেন একটা অস্থিরতা কাজ করছিল। এই ভদ্রমহিলা যেন একটা জটিল ধাঁধা। আবার কখনো মনে হচ্ছিল, হয়তো কিছুই নেই, সবটাই জটিল মনের প্রশ্ন। 

ডিসেম্বরের শুরু। আমার স্কুলের শীতকালীন ছুটি শুরু হবে। যথারীতি শীতের কামড় বেশ উপলব্ধি করা যাচ্ছে। এইসময় এখানে শুধু ঠান্ডা নয়, তার সাথে আরো কিছু সমস্যা এসে দেখা দেয়। জলের সমস্যা হয় খুব। ট্যাঙ্কারে করে জল আসে, সেখান থেকে বালতি হিসেবে কিনে নিতে হয়। তাও দুই-তিন বালতির বেশী পাওয়া যায় না চাহিদা থাকে বলে। সাধারণ বাঙালির মতোই আমারও এই দু-তিন বালতি জলে দিন কাটে না। তাই, বেশ আনন্দে ছিলাম, স্কুল ছুটি হলে, বাড়ি ফিরে যাব। কিছুদিন পরিবারের সাথে একসাথে কাটানো যাবে। 

 সেদিন শুক্রবার। সকাল থেকেই একটা আনন্দ মনের মধ্যে। আজ স্কুল ছুটি হবে। কাল বাড়ি যাবো। কিছু পেপার ওয়ার্ক শেষ করতে হবে। তাই আজ যাওয়া হবেনা। আজ বেশ সকালেই ঘুম থেকে উঠেছি। আকাশও বেশ ঝকঝকে। সকালের কাজ সেরে, স্নান করে, ব্রেকফাস্ট শেষ করে রওনা দিলাম স্কুলে। স্কুল পৌঁছতেই হেডমাস্টার জানালেন আজ স্কুল তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে যাবে। 

দুপুর ২ টোর সময় স্কুল ছুটি। সবাইকে বিদায় জানিয়ে ফিরে চললাম বাড়ির দিকে। ছোট স্কুল। সবাই কাজের জন্য এখানে এসেছি বাইরে থেকে। একটা আত্মীয়তা হয়ে যায় সবার সাথে। তাই, একটা মাস হলেও, একটা কেমন মন খারাপিয়া সুর বেজেই ওঠে কিছুক্ষণের জন্য।

 ফেরবার পথে সেই দীপকের দোকানে গিয়ে বসলাম। তখন প্রায় দুপুর ৩ টে বাজে। কাটিং চা আর স্যান্ডউইচ দিতে বললাম দীপককে। চা, কফি, মোমো, ওয়াই ওয়াই ইত্যাদিতে দীপকের বেশ নাম আছে। কিন্তু স্যান্ডউইচে ওর দক্ষতা তেমন নেই। অনেক সব্জি সস লেপটে থাকে দুটো নরম পাউরুটির মাঝখানে। তবু, মাঝে মাঝে এই অত্যাশ্চর্য জিনিসটি খেতে বড্ড ইচ্ছে হয়। যেন একটা উদ্ভাবনকে সামনে থেকে দেখছি আর দুই দাঁতের মাঝে অনুভব করছি।

 এদিক ওদিক দেখলাম। না, কোথাও তো দেখা যাচ্ছে না সেই ভদ্রমহিলাকে? একটু হতাশ হলাম। দীপক এলো চা আর স্যান্ডউইচ নিয়ে। দীপককে জিজ্ঞাসা করলাম “त्यो महिला जुन रोज आउँछ त्यो आज आयो?” (যে মহিলাটি রোজ এখানে আসেন, তিনি কি আজ এসেছেন?)। দীপক খুব চট-জলদি উত্তর দিয়ে চলে গেল- “तपाईं आज  यहाँ धेरै छिटै आउनु भएको छ, त्यो महिला चार बजे तिर आउनेछ” (আপনি আজকে অনেক আগে চলে এসেছেন, উনি বিকেল ৪ টে নাগাদ আসেন)।

একটা জেদ কাজ করছিল মনের মধ্যে। আজ পরিচয় জানতেই হবে ভদ্রমহিলার। তাই বসে রইলাম। হাতে চা আর দাঁতে স্যান্ডউইচ কাটবার রক ব্যান্ড চলছে তখন।

বিকেল ৫ টা নাগাদ এলেন উনি। লাল রঙের একটা গাড়ি থেকে নেমে এলেন। গায়ে আকাশি রঙের চুড়িদার। একটা সাদা রঙের ব্যাগ ঝুলছে ঘাড় থেকে। এসে বসলেন খুব ধীর গতিতে। পায়ের গতিতে একটা সম্ভ্রান্ত চলন। এখন আর উনি অর্ডার করেন না কিছু। এলেই দীপক বুঝে যায়। সেই ভাবেই, একটা কাটিং চা চলে এলো। ব্যাগ থেকে একটা বিস্কুটের প্যাকেট বের করলেন উনি। বিস্কুট চায়ে ডুবিয়ে খেতে খেতে ব্যাগ থেকে একটা কাগজ বের করলেন। মনোযোগ দিয়ে কি যেন পড়ছিলেন। 
আমি আমার জায়গা থেকে উঠে গিয়ে ওনার সামনে গিয়ে বললাম , “ আপনার পাশে একটু বসতে পারি?”
খুব নির্লিপ্ত ভাবে উত্তর এলো – “ অবশ্যই”।

বসলাম ওনার পাশে। সময় নষ্ট করবার সামান্য ইচ্ছে ছিল না। তাই ওনার দিকে তাকিয়ে বললাম- “ আমার একটা প্রশ্ন ছিল, যদি কিছু মনে না করেন।“ 
ওনার উত্তরের অপেক্ষা না করেই প্রশ্নটা করে ফেললাম –“ আপনি এখানে রোজ কেন আসেন? আর আপনি তো ৪টেতে প্রতিদিন আসেন, আজ এতো দেরি কেন?”

ভদ্রমহিলা কাগজ থেকে মুখ তুলে চাইল আমার দিকে। দেখলাম ওনার দু-চোখের পাতা ভিজে আছে। যেন কথা জমে আছে অনেক, বাস্প হয়ে বেরিয়ে আসছে। খুব আস্তে উত্তর দিলেন- “আমার ছেলে আমেরিকায় থাকে, কাল রাতে এসেছিল, আজ চলে গেল। তাই আজ একটু দেরি হল।“
আমার প্রথম প্রশ্নটা উনি শোনেননি নাকি উত্তর দিতে চাননি, ঠিক বুঝতে পারলাম না। ভদ্রমহিলা চা-বিস্কুট শেষ করে ঝট করে উঠে পড়লেন। এবার যেন পায়ের গতি অনেকটাই বেশি। গাড়িতে উঠেই গাড়ি স্টার্ট। দীপক হঠাৎ চীৎকার করে উঠল- “तपाईंले आफ्नो कागजातहरू छोड्नुभयो” (আপনি আপনার কাগজপত্রগুলো রেখে চলে যাচ্ছেন)। আমি দীপকের মুখ চেপে ধরলাম। এক মুহুর্তে টেবিল থেকে কাগজটা তুলে নিলাম। দীপক কি বুঝল জানি না। চলে গেল আবার চা বানাতে। আমি বসে পড়লাম সেই টেবিলেই। খুলে বসলাম কাগজটা। পড়লাম কাগজটা বার কয়েক । “বেবাফা” চোখের জল বেরিয়ে এলো অজান্তেই। একটা চিঠি, অনেক দিন আগের। যত্নে রাখা আছে বোঝা যায়। লেখা আছে-

“আমার নীলম,
আজ বিকেল ৫ টায় ট্রেন শিলিগুড়ি থেকে। সকাল বেলায় বেরিয়ে যাবো। কিছু কাজ সেরে তারপর ট্রেনে উঠতে হবে। তাই কাল আর তোমার সাথে দেখা হবে না। এই চায়ের দোকানটা ছাড়া আমাদের দেখা হবার আর কোন জায়গা নেই। আর তোমার পক্ষে বিকেলের আগে বাড়ি থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। তাই আজ শেষ দেখা যাবার আগে।
তুমি কোনদিন চাওনি এই চায়ের দোকানে বসে কাটিং চায়ে বিস্কুট ডুবিয়ে খেতে। তোমার কাছে এই অর্ধেক কাটিং চা আর তাতে বিস্কুট ডুবিয়ে খাওয়া খুব মধ্যবিত্ত বিষয়। তুমি প্রতিদিন খিটখিট করতে। বিশ্বাস করো, তোমার এই খিটখিট দেখতে আমার খুব ভালো লাগত। তুমি চাইতে কোন বড় রেস্টুরেন্টে বসে কফি খেতে। আমার মধ্যবিত্ত বা তার চেয়েও নিজের পকেট সেটা সমর্থন করত না। তাই এই চায়ের দোকানেই তোমার সাথে বসে ভালোবাসার স্বাদ নিয়েছি কাটিং চা আর বিস্কুটে।
তুমি চেয়েছ আমি খুব বড় হই। সেই বড় হওয়ার বেশিরভাগটাই আর্থিক। সেই স্বপ্ন নিয়েই পাড়ি দিলাম। হয়তো আর ফিরে আসতে পারব না। আর দেখতে পারব না তোমার মুখের বিকৃতি, শুনতে পারব না তোমার খিটখিট। তবু আজীবন তোমার কথা, তোমার ভালোবাসা, তোমার খিটখিটগুলো আমার সাথে থাকবে।
তোমার বাবা-মা জানে না আমাদের সম্পর্ক। জানলেও কোনওদিন মেনে নেবে না। কারণটা তুমি ভালোই জানো।
তুমি বিয়ে করে নিও। তবে এমন কাউকে বিয়ে কোর যে তোমাকে অনেক বড় রেস্টুরেন্টে কফি খাওয়াতে পারবে। তবুও, যখন সময় পাবে, এই চায়ের দোকানটায় এসো। কাটিং চায়ে আর বিস্কুটে আমাদের সময়গুলোকে বাঁচিয়ে রেখো। আর হ্যাঁ, বিস্কুট সাথে এনো। এখানে বিস্কূট পাওয়া যায় না। এতোদিন আমি নিয়ে এসেছি। এরপর থেকে তুমি সাথে করে নিয়ে এসো মনে করে। আর আজ যে আসমানী রঙের চুড়িদার পড়ে এসেছিলে, সেটাকে একটু যত্ন করে রেখে দিও। আজকের এই দিনটায় প্রতিবছর এই চুড়িদার আর ওই সাদা ব্যাগটা নিয়ে এসো। ওই ব্যাগটায় প্রচুর কবিতা লিখে ঢুকিয়ে দিয়েছি এতদিন। যদি ওই চুড়িদার বা ব্যাগটা নষ্টও হয়ে যায়, রঙটা মনে রেখো।
আমিও যাবো সময় পেলে কোন দামি রেস্টুরেন্টে। মনে হবে তুমি পাশে আছ। কিন্তু তোমার ওই খিটখিট গুলো মিস করব। চায়ের কাপে বিস্কুট ভিজিয়ে খেতে পারব না, কিন্তু মন ঠিক ভিজবে তোমার ভালোবাসায়।
ভালো থেকো।

 ইতি
 তোমার সুবীন
                                              ১৭-০৩-১৯৯৩
                                                 রবিবার 

হঠাৎ একটা ডাকে সম্বিত ফিরে পেলাম। দীপক খুব কাছে এসে বলছে –“तिम्रो चिया चिसो भएको छ, एक अर्का लाई दिने?” (“আপনার চা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে, আর একটা এনে দেবো?”)।

না, আর চা খাবার ইচ্ছে ছিল না। দীপকের হাতে চিঠিটা দিয়ে বললাম-“भोली महिलालाई यो फिर्ता दिन बिर्सनु हुँदैन” (আগামীকাল ভদ্রমহিলাকে এটা ফেরত দিতে ভুলে যেও না)

পায়ের ওজন অনেক বেশি মনে হচ্ছিল। কিছু ভাবতে পারছিলাম না। ধীরে ধীরে ঘরে ফিরে এলাম। বারান্দায় বসে একটা কথা শুধু বেরিয়ে এলো মন থেকে “ এভাবেও ভালোবাসা যায়? যদি তাই হয়, বেঁচে থাকো প্রেম তোমার নিজের সংজ্ঞায়” ।

আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴
software development company in siliguri,best
                          software development company in siliguri,no 1 software
                          development company in siliguri,website designing company
                          in Siliguri, website designing in Siliguri, website design
                          in Siliguri website design company in Siliguri, web
                          development company in Siliguri