কাক-২/সুকান্ত নাহা
কাক-২
সুকান্ত নাহা
'ক' অক্ষরটি ছাড়া
আর কোনও ব্যঞ্জনবর্ণে আস্থা রাখে নি ওরা।
"ত" আর 'খণ্ড-ত' কী তাতে ওদের বয়েই গেল।
গেল ভাগ্যিস,
নইলে পাখিদের স্বর্গরাজ্যে এতদিনে
নেমে আসতো ঘোর বিপর্যয়।
"ৎ" কিংবা খণ্ডতায় শুধু
মানুষেরই একচেটিয়া অধিকার।
পূর্ণতায় একঘেয়েমি এলেই মানুষ খণ্ড খণ্ড করে।
খণ্ড করে দেশ ও সমাজ,
তরিতরকারি এবং দিব্যি মানুষও!
অতঃপর-
তন্দুরে না কুকারে, পেভমেন্টে না ফ্রিজারে
সে অবশ্য যার যেরকম আশ।
পূর্ণাঙ্গের দিব্য অহংকার
কেউ কেউ আবার কমোডেও করে ফ্লাশ...।
ণত্ব-ষত্বের ধার ধারে না ওরা।
কিন্তু দেখুন শুধুমাত্র "ক" অক্ষরে
কি গভীর আস্থা ওদের, গোমাংসেও যেমন!
অথচ মানুষ চিরটাকাল
জ্ঞানবৃদ্ধ পরভৃৎকে
নির্বোধজ্ঞানে দুচ্ছাই করে গেল।
হায় রে মানুষ, নির্বোধ তোরাই,
নইলে পরভৃৎ আর পরভৃতের মাঝখানে। কেউ চাতুর্যের পিঁড়ি পেতে রাখে?
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴