উপলব্ধি/স্বর্ণজিৎ ভদ্র
উপলব্ধি
স্বর্ণজিৎ ভদ্র
একদিন নিজের মুখোশটা হারিয়ে ফেললাম,
চেনা মুখোশের আড়ালে অজ্ঞাত মুখের ভিড়ে
কেমন অচেনা ঠেকল সব।
পরিচিত সম্পর্কগুলি দূর্ভেদ্য দেয়াল গাঁথল স্বার্থের,
অন্তরাল।
অনাদৃত অভিলাষের স্তুপ জমে ঠান্ডা ঘরে,
স্বপ্ন বিক্রি হয় মর্গের চোরাপথে
বিনিদ্র রাত কাটে কাঙ্খিত অপেক্ষায়-
নক্ষত্ররা বিদায় নেয় রাতজাগা ক্লান্ত ভোরে।
মৃতকল্প।
পসরা সাজায় শিক্ষার সস্তা ব্যাপারি,
শৈশব রং বদলায় চাপা পড়া ঘাসের মতো-
বুকের মাঝে হাজারো জমানো গল্প পথ হারায়
বিষণ্ণ অঘ্রানের সন্ধ্যায়
শহরের কোনো অভিজাত দরবারে,
অহর্নিশ।
শেষ রাতের মরা চাঁদের আলোতে
তাল কেটে যায় অভিমানী সুরে।
ঘুপচি গলির থেকে বাড়ানো শীর্ণ হাত
তৃতীয়ার চাঁদে খোঁজে কোজাগরীর ঘ্রাণ।
ক্রেডিট কার্ডের ডানায় পাখা মেলে অপূর্ণ প্রেম,
মন খারাপের জানলা সাজে দামি পর্দায়,
ছদ্মবেশ।
এখন বুঝেছি কিছু কথা মনে রাখতে হয়,
মাঝে মাঝে মনেরও তো মন রাখতে হয়।
সময় জরিপ করে হৃদয়ের আস্ফালন, স্তিমিত হয় ক্রমে।
অনেকদিন আগে দেয়ালে কান পেতে ছিলাম
এখন কানের পাশেই দেয়াল তুলেছি উঁচু।
সংকীর্ণ পথ হৃদ্যতা গড়ে এক চিলতে আকাশে।
নিরন্তরাল।
ইদানিং নোঙর ফেলি অচেনা দ্বীপে অনায়াস,
সময়ের জালে আটকে রাখা অতীত আস্বাদন,
জট পাকানো কৃত্রিম সম্পর্কসূত্র গুলি রাখি সরিয়ে।
অদৃশ্য রজ্জুতে সাজাই স্বার্থহীন সংযোগ।
প্রাচীন সভ্যতার অলিন্দ ঘুরে বেড়াই উদ্দেশ্যহীন ভাবে
দলছুট।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴