উনবিংশ শতকের সাহসিনী/চিত্রা পাল
উনবিংশ শতকের সাহসিনী
চিত্রা পাল
এখনকার খবরের শিরোনাম এক তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু। যে সে মৃত্যু নয়, কি পাশবিকভাবে মর্মান্তিকভাবে তাকে চক্রান্ত করে খুন করা হয়েছে।সারা দেশের লোক স্তম্ভিত দুর্বৃত্তদের এই অস্বাভাবিক কার্যকলাপে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আজ জোর গলায় এর প্রতিবাদ করছে। একজন তরুণী ডাক্তারকে এভাবে পৃথিবী থেকে নৃশংস অন্যায়ভাবে উপড়ে ফেলা হলো কেন তার উত্তর চাইছে।।অথচ সর্বস্তরের বাধা পেরিয়ে কিভাবে যে একজন নারী পুরুষশাসিত সমাজে ডাক্তার হয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন তার জ্বাজল্যমান উদাহরণ রেখে গেছেন ডাক্তার কাদম্বিনী গাঙ্গুলি ।
কাদম্বিনী গাঙ্গুলী ঊনবিংশ শতকের একজন প্রথিতযশা নারী,যিনি সেই সময়ে ছিলেন খ্যাতনামা মহিলা ডাক্তার যে সময়ে সমাজ ছিল পুরুষ শাসিত আর মেয়েরা ছিলেন অন্তরালবর্তিনী।সময়ের, সমাজের পর্দা দুহাতে সরিয়ে তিনি পেরেছিলেন সেই মান্যতার শিখরে পৌঁছতে যেখানে ছেলেদের পৌঁছতেও অনেক কষ্ট করতে হত। এবার আসি সেসব কথায়।
বিহারের ভাগলপুর একটা ছোট শহর,আর সেখানকার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন ব্রাহ্ম সংস্কারক ব্রজকিশোর বসু। ব্রজকিশোর বাবু কিন্তু এখানকার আদি বাসিন্দা নন। তিনি এসেছিলেন বর্তমান বাংলা দেশের বরিশালের চাঁদসী থেকে। তাঁর ঘর আলো করে ১৮৬১ সালের ১৮ই জুলাই এক কন্যাসন্তান জন্ম গ্রহণ করে, তিনি কাদম্বিনী বসু গাঙ্গুলী। ছোট থেকেই বুদ্ধিমত্তার বিকাশ দেখে তার শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে খেয়াল রেখেছিলেন। সেই যুগে তিনি স্থাপন করেছিলেন মহিলাদের সংগঠন ভাগলপুর মহিলা সমিতি ১৮৬৩ সালে। আর ছিলেন ব্রাহ্ম সংস্কারক তাই আলোকপ্রাপ্ত ছিলেন। সেই পিতার সাহচর্যে আর প্রশ্রয়ে কাদম্বিনী এগিয়ে যেতে পেরেছিলেন অনেকখানি।
সেই সময়ে তাঁর পিতা ব্রজকিশোর বসু ভাগলপুর থেকে এনে কলকাতায় বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয়ে কাদম্বিনীকে ভর্তি করে দেন। এরপরে বেথুন স্কুল থেকেপ্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপরে তিনি ও চন্দ্রমুখী বসু প্রথম গ্রাজুয়েট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৮৮৩ সাল। তাঁরা ছিলেন ভারতের ও সমগ্র বৃটিশ ভারতের প্রথম মহিলা গ্রাজুয়েট।
গ্রাজুয়েট হবার পরে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি ডাক্তারি পড়বেন। ১৮৮৩ সালে মেডিকেল কলেজে ঢোকার পরেই তিনি বিয়ে করেন দ্বারকানাথ গাঙ্গুলিকে, যিনি ছিলেন তাঁর শিক্ষক, ৩৯ বছর বয়সের এক বিপত্নীক, আর কাদম্বিনীর বয়স মাত্র ২১বছর।
১৮৮৬ সালে তাঁকে জি বি এম সি (গ্রাজূয়েট অফ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ) ডিগ্রি দেওয়া হয়। তিনি ছিলেন প্রথম ভারতীয় মহিলা,যিনি পাশ্চাত্যচিকিত্সারীতিতে চিকিত্সা করবার সুযোগ পান। মেডিকেল কলেজে পড়াকালীন তিনি সরকারি বৃত্তি পেতেন মাসে কুড়ি টাকা।পাঁচ বছর মেডিকেল কলেজে পড়ার পরে ১৮৯২ খ্রীষ্টাব্দে তিনি বিলেতে যান। না বলে পারছি না,এ এক অভূতপূর্ব দোলাচলের দিন গিয়েছে তাঁর জীবনে।তখন জাহাজে বিলেত যেতে আসতে দীর্ঘ সময় লাগতো, প্রায় মাস খানেকের একটু বেশি বোধ হয়। একে এই দীর্ঘ জলপথ যাত্রা,তার ওপরে তাঁর কোলের শিশুপুত্রের বয়স মাত্র দুবছর। তাকে রেখে এই দীর্ঘ জলপথযাত্রা করে দীর্ঘ সময়ের জন্য যাওয়ার পরিকল্পনায় প্রথমে তাঁর মন সায় দিচ্ছিলো না। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে তিনি যাত্রা করেন ওএডিনবরা গ্লাসগো আর ডাবলিন থেকে ডক্তারি উপাধি নিয়ে ঘরে ফেরেন। বিলেত যাবার আগে তিনি কিছুদিন লেডি ডাফরিন মহিলা হাসপাতালে কাজ করেছিলেন ৩০০ টাকা মাহিনায়।
ধীরে ধীরে নিজেকে চিকিৎসা জগতে প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সামাজিক রাজনৈতিক সম্মান স্বীকৃতিও পেয়েছেন। ১৮৮৯ সালে কংগ্রেসের পঞ্চম অধিবেশনে বম্বে শহরে গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন ছয়জন নির্বাচিত নারী প্রতিনিধির একজন হয়ে। পরের বছর তিনি কলকাতার কংগ্রেসের ষষ্ঠ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন।কাদম্বিনী ছিলেন কংগ্রেসের প্রথম মহিলা বক্তা। ১৯০৭ সালে ট্রান্সভাল ইন্ডিয়ান এ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সভাপতিহন। ১৯১৪ সালে তিনি কলকাতায় সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এই অধিবেশন মহাত্মা গান্ধীর সম্মানে আয়োজন করা হয়েছিল ।তিনিআসামের চা বাগানের শ্রমিকদের কাজে লাগানোর পদ্ধতির তীব্র নিন্দা করেছিলেন। কেননা এখানকার শ্রমিকদের শোষনের বিষয়ে অবগত ছিলেন তাঁর স্বামী দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। তাঁর সে দৃষ্টিভঙ্গির পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন। কবি কামিনীরায়ের সঙ্গে ডঃ কাদম্বিনী গাঙ্গুলি ১৯২২ সালে বিহার এবং উড়িষ্যার নারী শ্রমিকদের অবস্থা তদন্তের জন্য সরকার দ্বারা নিযুক্ত হয়েছিলেন।
“কে এই মিসেস গাঙ্গুলি, আমায় কিছু জানাতে পারো? সে নাকি এর মধ্যেই ফার্স্ট লাইসেন্সিয়েট ইন মেডিসিন এন্ড সার্জারি পাস করে ফেলেছে আর আগামীমার্চ মাসে ফাইন্যাল পরীক্ষা দেবে।এই তরুণী বিয়ে করে ফেলেছে, ডাক্তার হবে ঠিক করবার পরে!তারপর অন্তত একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছে,যদি না দুটি জন্মে থাকে।কিন্তু ছুটি নিয়েছিলো মাত্র তের দিন,আর শুনছি নাকি একটাও লেকচার মিস করেনি!” এই কথাগুলি ১৮৮৮ সালের২০ শে ফেব্রুয়ারী লিখেছিলেন স্বয়ং ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল তাঁর এক ভারতীয় বন্ধুকে, সুদূর বিদেশে বসে। আধুনিক নার্সিং সেবার অগ্রদূত, যিনি দ্য লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প আখ্যা পেয়েছিলেন,আহতপীড়িত মানুষদের যিনি দিয়েছিলেনশুশ্রষার কালজয়ী আশ্বাস,তাঁর এই চিঠিটি এক অমূল্য দলিল। কাদম্বিনী গাঙ্গুলি বিশ্বের জ্ঞানীগুণীমহলে কি বিশাল বিস্ময় সৃষ্টি করেছিলেন ,এই চিঠিটি তারই নিদর্শন।
কাদম্বিনী গাঙ্গুলি সেই সময়ের রক্ষণশীল সমাজ দ্বারা খুব খারাপভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন। এডিনবরা থেকে ভারতে ফিরে এসে নারীর অধিকারের প্রচার চালানোর জন্য বঙ্গবাসী পত্রিকায় তাঁকে পরোক্ষে প্রচুর গালিগালাজ দেওয়া হয় ,কুত্সিত্ ভাষায় আক্রমণ করা হয়। তাঁর স্বামী দ্বারকানাথ গাঙ্গুলি সেই পত্রিকার বিপক্ষে মামলা করেন ও জয়ী হন।পত্রিকার সম্পাদকের ছয় মাসের জেল হয়।
আট সন্তানের মা হিসেবে তাঁকে ঘরের কাজেও সময় দিতে হতো। তাঁর সন্তান জ্যোতির্ময়ী ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। প্রভাত চন্দ্র ছিলেন সাংবাদিক। তাঁর সৎ কন্যা বিধুমুখীদেবী ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরির স্ত্রী।
আমেরিকান ইতিহাসবিদ ডেভিড কফ উল্লেখ করেছেন,গাংগুলি তাঁর সময়ের সবচেয়ে দক্ষ ও মুক্তমনা মহিলা ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে শুনেছি যে কোন এক গ্রামীন জমিদার বাড়িতে খুব জটিল প্রসব কেসে তিনি সাফল্য পেয়েছিলেন এবং মায়ের কোলে সন্তান তুলে দিতে পেরেছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে শ্রমের পরে পুকুরে স্নান সেরে দালানে খেতে দিয়েছিলো কলাপাতায়। উনি ও ওনার সহকারি মহিলা খাওয়া সেরে যখন উঠছেন, তখন সে বাড়ির কর্ত্রী বলে পাঠালেন, যে এঁটো পাতা ফেলে যেন জায়গাটা মুছে দিয়ে যায়। এবাড়ির কাজের লোকেরা ওসব কাজ করবে না। ঊনি তাই করেছিলেন। পরে উনি বলেছিলেন, এত জটিলতা কাটিয়ে মায়ের কোলে সন্তান দেওয়ার সাফল্য পেয়েছেন, এটাই ওনার বড় পুরস্কার।
নেপালের রাজমাতাকে চিকিত্সা করে ভাল করায় নেপালের রাজা ওনাকে অনেক কিছুর সাথে ঘোড়া উপহার দিয়েছিলেন।সেই ঘোড়ার গাড়িতে করে রুগি দেখতে বেরতেন। উনি খুব ভাল কুরুশের কাজ জানতেন। ঘোড়ার গাড়ি করে যখন যেতেন, সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে উনি সুন্দর সুন্দর কুরুশের নক্সা বুনতেন। সময়কে ভালভাবে কাজে কিভাবে লাগানো যায়,সেটাও তাঁর থেকে শিক্ষণীয় ছিল। এই মহান নারী এক অপারেশন সেরে বাড়ি ফেরবার পরে ১৯২৩ সালে ৩রা অক্টোবর হার্ট এটাকে তিনি পরলোকে পাড়ি দেন। রেখে যান এক সাহসিনী নারীর উদাহরণ যে সব বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে পারে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আজীবন কর্মরত প্রথম ভারতীয় মহিলা ডঃ কাদম্বিনী গাঙ্গুলী এক বিস্ময়কর ব্যাক্তি, যিনি এক হীরকখন্ডের দ্যুতির মতো আজও আমাদের মাঝে উজ্জ্বল তাঁর সমস্ত উপস্থিতি নিয়ে।
কাদম্বিনী বসু গাঙ্গুলি (18 জুলাই 1861 - 3 অক্টোবর 1923) ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা ডাক্তার। তিনি এবং আনন্দীবাই জোশী উভয়েই 1886 সালে পাশ্চাত্য চিকিৎসাবিদ্যায় তাদের ডিগ্রি লাভ করেন। তবে, তিনি ভারতের প্রথম অনুশীলনকারী মহিলা ডাক্তার ছিলেন কারণ আনন্দীবাই খুব শীঘ্রই মারা যান। তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি আধুনিক মেডিসিন ডিগ্রি নিয়ে অনুশীলন করেছিলেন। গাঙ্গুলি হলেন প্রথম মহিলা যিনি 1884 সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন , পরবর্তীতে স্কটল্যান্ডে প্রশিক্ষণ নেন এবং ভারতে একটি সফল চিকিৎসা অনুশীলন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম মহিলা স্পিকার ।
প্রারম্ভিক জীবন
ব্রাহ্ম সংস্কারক ব্রজকিশোর বসুর কন্যা কাদম্বিনীর জন্ম হয় ১৮ই জুলাই ১৮৬১ তে বিহারের ভাগলপুরে। তার মূল বাড়ি ছিলো বর্তমান বাংলাদেশের বরিশালের চাঁদশীতে। তার বাবা ভাগলপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ব্রজকিশোর বসু অভয়চরণ মল্লিকের সাথে ভাগলপুরে মহিলাদের অধিকারের আন্দোলন করেছিলেন। তারা মহিলাদের সংগঠন ভাগলপুর মহিলা সমিতি স্থাপন করেছিলেন ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে। এই ঘটনা ছিল ভারতে প্রথম। দ্বারকানাথ ও তার বন্ধু কাদম্বিনীর পিসতুতো দাদা মনমোহনের হাত ধরে কাদম্বিনী তার পড়াশোনা আরম্ভ করেন হিন্দু মহিলা বিদ্যালয়ে। এক কালে দ্বারকানাথের পোলিও আক্রান্ত ছেলে সতীশের জ্বরের সময়ে তার মাথা ধুইয়ে তার প্রাণরক্ষা করেছিলেন কাদম্বিনী। এর জন্য তার বুদ্ধিমত্তার প্রশংসাও করেছিলেন তৎকালীন বিখ্যাত ডাক্তার মহেন্দ্র লাল সরকার। স্কুলজীবনে পড়াশুনা ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহ ছিল কাদম্বিনীর। স্কুলে পড়ার সময়ে তিনি ১৮৭৮ সালে প্রথম মহিলা হিসাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাস করেন। তার দ্বারাই প্রভাবিত হয়ে বেথুন কলেজ প্রথম এফ.এ (ফার্স্ট আর্টস) এবং তারপর অন্যান্য স্নাতক শ্রেণি আরম্ভ করে। কাদম্বিনী এবং চন্দ্রমুখী বসু বেথুন কলেজের প্রথম গ্র্যাজুয়েট হয়েছিলেন ১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দে। তারা বি.এ পাস করেছিলেন। তারা ছিলেন ভারতে এবং সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট।
গ্র্যাজুয়েট হবার পর কাদম্বিনী দেবী সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি ডাক্তারি পড়বেন। ১৮৮৩ সালে মেডিকেল কলেজে ঢোকার পরেই তিনি তার শিক্ষক দ্বারকানাথ গাঙ্গুলীকে বিয়ে করেন। দ্বারকানাথ বিখ্যাত সমাজসংস্কারক ও মানবদরদী সাংবাদিক হিসেবে খ্যাত ছিলেন। যখন তিনি বিয়ে করে তখন ৩৯ বছর বয়েসের বিপত্নীক, কাদম্বিনীর বয়স তখন ছিল একুশ। কাদম্বিনী ফাইন্যাল পরীক্ষায় সমস্ত লিখিত বিষয়ে পাস করলেও প্র্যাকটিক্যালে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অকৃতকার্য হন। ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে তাকে জিবিএমসি (গ্র্যাজুয়েট অফ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ) ডিগ্রি দেওয়া হয়। তিনি ছিলেন প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি পাশ্চাত্য চিকিৎসা রীতিতে চিকিৎসা করবার অনুমতি পান। মেডিক্যাল কলেজে পড়াকালীন তিনি সরকারের স্কলারশিপ পান যা ছিল মাসে ২০ টাকা।
তিনি হিন্দু রক্ষণশীল সমাজের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে রক্ষণশীল বাংলা পত্রিকা বঙ্গবাসী তাকে পরোক্ষ ভাবে খারাপ ভাষায় সম্বোধন করেছিল। কাদম্বিনী এর বিরুদ্ধে মামলা করে জেতেন। বঙ্গবাসী পত্রিকার সম্পাদক মহেশ চন্দ্র পালকে ১০০ টাকা জরিমানা এবং ছয় মাসের জেল দেওয়া হয়।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴