উত্তর প্রজন্মের চিঠি/নীপা ঘোষ ভট্টাচার্য
উত্তর প্রজন্মের চিঠি
নীপা ঘোষ ভট্টাচার্য
--------------------------
শ্রদ্ধেয় রবি ঠাকুর,
আমায় তুমি চিনবে না। আমি একজন N.R.I । এখানে সবাই তোমাকে চেনে । আমি ভারত থেকে এসেছি বল্লেই উত্তর আসে Oh! From Tagore’s Country? বলত generation এর পর generation তোমায় এক ডাকে চেনে কিভাবে? মাঝে মাঝে একটু complex হয় বৈকি? আসলে তোমাকে যতটা জানা উচিত ছিল ততটা জানা হয়ে ওঠেনি, actually জানতে চাইনি। আমাদের বাড়ির আনাচে কানাচে তুমি নানা ভাবে জড়িয়ে আছো, তাই হয়তো আলাদা করে তোমায় গভীরভাবে জানার urge feel করিনি। মায়ের দিন শুরু হ’ত তোমার গান দিয়ে। আমি কখনো গাইনি তবে শুনতে ভালো লাগে। মা বলে যে কোন subject, emotional state এ তোমার লেখা গান পাওয়া যায়। বলতে দ্বিধা নেই আমিও তোমার লেখা গান শুনি রোজ। মা যখন কাছে থাকেন গানের অর্থ, কোন সময়ে লেখা, কিভাবে গানকে আরো meaningful করে গাওয়া যায় বলতে থাকেন। কখনো bore লাগে কিন্তু এইভাবে কখন যেন তোমায় একটু একটু জেনে ফেলেছি। Honestly speaking উপন্যাস, ছোট গল্প, নাটক এগুলো সব পড়িনি অথচ কিছু কিছু শোনা কথা, শোনা গল্প, অনুবাদ কখন যেন নিজের অজান্তেই একটু একটু করে পড়ে ফেলেছি। তুমি বড্ড modern. শেষের কবিতা পড়ে মনে হয় আমাদের generation মানুষ তুমি। হ্যাঁ একটু মন দিয়ে বুঝতে হয়। তোমায় বুঝতে গেলে একটু educated হয় ঠিকই তবে বুঝে পড়লে আরো আরো গভীরে যেতে ইচ্ছে করে। এদেশে এসেই গীতাঞ্জলী পড়লাম ভালো করে। খুব proud মনে হ’ল নিজেকে, তোমার লেখা সেই গানটা ‘ সীমার মাঝে অসীম তুমি’ মনে পড়ে গেল। তুমি কি জানো না! Every field এ successful তুমি। মা, বাবার সাথে শান্তিনিকেতন ঘুরতে গিয়ে তোমার aesthetic sense দেখে আমি পুরো bold out. সেখানে গিয়ে আরো অনেককে জানলাম, নন্দলাল বোস, রামকিঙ্কর বেইজ আরো অনেকের কাজ দেখলাম। তুমি একটা গোটা university তৈরী করেছ। কত subject , কত সুযোগ! কি modern চিন্তাভাবনা তোমার! কত দেশ ঘুরেছ, কত কিছু এদেশে introduce করেছ তুমি। Nature কে তুমি বিশেষভাবে দেখতে শিখিয়েছ। Nature এর নানা রূপ তোমার বর্ণনায়। কোন season এ কোন ফুল ফোটে তা পাওয়া যায় তোমার গান ও কবিতায়। আচ্ছা rhododendron এর নাম তুমিই দিয়েছ ‘রক্তদ্রোণ’? তোমার নামকরণের ঝুলিও তো কম নয়— আকাশবানী, দূরভাষ etcetra, etcetra.
তোমার উপন্যাসের মহিলারা অসম্ভব strong personality hold করেন, তোমার তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা, appreciation, chivalry দেখে respect বেড়ে যায়।
আমাদের generation তোমায় ঠিক যেভাবে জানে তা হয়তো সবার পছন্দ নয়। কিন্তু আমরা আমাদের মতো করে ছুঁয়ে থাকি তোমায়। তুমি নিজেই আমাদের কাছের মানুষ হ’য়ে যাও।
দেশে থাকতে তোমায় খুঁজিনি কখনো। বিদেশে তুমি গোটা ভারতবর্ষকে represent করেছ। কখন যে নিজের অজান্তে তোমায় একটু একটু করে চেনবার চেষ্টা করেছি বুঝতে পারিনি। Thank you so much, আমাদের গর্ব তুমি। এবার থামতে হবে। আমার computer keyboard-এ রাখা আঙুলগুলো তোমার Organ keyboard-এর আঙুলগুলো ছুঁয়ে থাক। যেখানে আছো ভালো থেকো, আর হ্যাঁ Please ‘ বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’।
ইতি
তোমাতে মুগ্ধ এই প্রজন্মের একজন
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴