আমার প্রাণপুরুষ : রবীন্দ্রনাথ/কাকলি মুখার্জি
আমার প্রাণপুরুষ : রবীন্দ্রনাথ
কাকলি মুখার্জি
'সহজপাঠ'--এ শুরু। তবে কি 'শেষের কবিতা'য় শেষ? না, তা কি করে হয়? ভুবনজোড়া এ সাহিত্যের ভান্ডার তো আমার প্রাণের মানুষের।তাই তো আমি সর্বক্ষণ গুনগুনিয়ে উঠি 'আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে.........।' সে তো আর কেউ নয় গো, আমার রবীন্দ্রনাথ।
অতীতের কথা ভুলে না যাওয়ার ইঙ্গিত তো তাঁরই সুরে। তাই তো অতীত চারণে গেয়ে উঠি,পুরানো সেই দিনের কথা.......। সেই দিনের কথা স্মরণ করান যিনি তিনি আমার গুরুদেব, রবীন্দ্রনাথ যখন হৃদয়ের একূল ওকূল ভালোবাসার জোয়ারে পূর্ণ হয়,তখন তা পরিষ্ফূরণের দায়িত্ব যার কলমের কারুকাজে, সুরের বন্ধনীতে তিনিও তো আমারই রবীন্দ্রনাথ।আমি নিভৃতে, নিরালায় বসে আওড়াই যে সুর, ভালোবাসি,ভালোবাসি.......।
এ সুর আমাকে স্মৃতি মেদুরতায় ভোগায়।
যে ভালোবাসা শুধুই হৃদয়ের অন্তঃস্থলে ঠাঁই করে নেয়,যা কেবল অনুভূতি দিয়ে , উপলব্ধি দিয়ে প্রগাঢ় হয়ে ওঠে সেও আমার প্রাণপুরুষের গানের কলিতেই কালজয়ী হয়ে উঠেছে, তুমি রবে নীরবে.....।
সে যে সর্বদা তার অমৃত রসধারা নিয়ে আমার গানের ওপারে বিরাজিত।
আমার মনের মলিনতা দূর করে, নির্মল করার, মঙ্গল করার প্রার্থনা, সেও আমার প্রাণের ঠাকুরেরই কাছে।দুঃখ, বেদনা, দ্বিধা, দ্বন্দ্ব, গ্লানি-- সবের নিষ্কৃতি তার সেই সুরে, শ্রাবণের ধারার মতো ..... পড়ুক ঝরে।
আমার জীবন দীপ নির্বাপিত হওয়ার আগে পর্যন্ত আমার কন্ঠে রবীন্দ্রনাথের সুরেই সেই নির্মম সত্য বারংবার ধ্বনিত হবে, যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে.....।
জীবনের প্রতিটি পর্বে যার সুর,যার কথা,যার ছন্দ আমাকে বাঁচার মন্ত্রে দীক্ষিত করে চলেছে --- সে তো আমার বড় প্রিয়জন, আমার রবীন্দ্রনাথ। আমি তাকে এভাবেই পাই, এভাবেই চাই প্রতিনিয়ত। গঙ্গাজলেই গঙ্গা পুজো সেরে চলেছি নিত্যদিন।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴