অরণ্যের হাতছানি/ভাস্বতী রায়
অরণ্যের হাতছানি
ভাস্বতী রায়
------------------------
অরণ্যের হাতছানি উপেক্ষা করতে পারি না বরাবরই।
জন্ম, বড় হওয়া সব অরণ্যের কোলে বলেই বোধহয় অরণ্যের প্রতি একটা অদ্ভুদ টান অনুভব করি ছেলেবেলা থেকেই। বাড়ি আর
জঙ্গলের মাঝের ফারাক শুধু একটা নদী। নদী পেরোলেই গভীর অরণ্য। জলপাইগুড়ির
ধূপগড়ির একটি প্রত্যন্ত গ্রাম মধ্যখট্টীমারী, নোনাই নদী আর খট্টিমারীর জঙ্গল গ্রামটিকে পরমা সুন্দরী করে তুলেছে। হিংস্র জন্তুও আছে জঙ্গলে। হাতির দেখা যখন তখন মেলে এখানে।
ছোটবেলায় , শুধু ছোটবেলা বলছি কেন - গ্রাম ছাড়ার ঊনিশ -কুড়ি বছর পরও এক অমোঘ আকর্ষণে এখনো বারবার ছুটে যাই ওখানে কাটানো
সময়গুলোর ঘ্রাণ নিতে। ছেলেবেলায় বাবা- মাকে
লুকিয়ে খেলার সাথীদের সঙ্গে কতবার জঙ্গলে চলে গিয়েছিলাম। জঙ্গলি ফুল তুলে নাকের ফুল, কানের দুল, মালা পরে সাজতাম। বাড়িতে কেউ এলে তো কথাই নেই, দেখাতে নিয়ে যেতাম নোনাই নদী আর খট্টিমারীর জঙ্গল।
খট্টিমারীর জঙ্গলের শাল, সেগুন, মেহঘনির হেলে পরা ডালের ছায়া আজও ছুঁয়ে দেয় আমার কিশোরী বেলা।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴