সহজ উঠোন

রেজিস্টার / লগইন করুন।

সব কিছু পড়তে, দেখতে অথবা শুনতে লগইন করুন।

Sahaj Uthon
07-July,2024 - Sunday ✍️ By- অতনু চন্দ 349

অরণ্য জন-অরণ্য/অতনু চন্দ

অরণ্য জন-অরণ্য
অতনু চন্দ

আমরা মোটামুটি ভাবে সকলেই জানি যে পৃথিবীর তিন ভাগ জল আর এক ভাগ স্থল। কিন্ত পৃথিবীতে প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য এই স্থল ভাগে কতটা অরণ্য প্রয়োজন তা জানি কি!
আমি শিলিগুড়িতে থাকি বলে এতদিন সে ব্যাপারে চিন্তার অবকাশ পাইনি। কারণ বাড়ির উঠোন থেকেই চিরহরিৎ শ্রেণির গাছ-পালা, জঙ্গল দেখে ছোট থেকে বড় হয়েছি। বাড়ির সীমানার মধ্যেই ছোট-খাট একটি ডোবা এবং নানান রকম গাছের জঙ্গল ছিল। সেখানে নিয়মিত ভাবে নানান ধরণের পাখি আসত। তাই হয়ত বন-জঙ্গলের অভাব সেভাবে অনুভব করিনি। কিন্ত এখন যে ভাবে গাছ-পালা, বন-সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে তা দেখে আমাদের মতন সুচিন্তিত সাধারণ মানুষ সত্যি সত্যিই উদ্বিগ্ন।
অথচ আমিও একদিন শিলিগুড়ির সেবক রোডে সারিবদ্ধভাবে গাছের সারি দেখেছি। যদিও তখন শিলিগুড়িতে এরকম জনসংখ্যা ছিল না। গাড়ি-ঘোড়াও অনেক কম চলত। তাই সেবক রোডে গেলেই গা ছমছম করত! আর একটু এগিয়ে গেলেই জঙ্গল পাহাড়ের দেখা পেতাম। শহর ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য গাছ কাটা শুরু হলেও সে শূন্যস্থান আজও পূরণ হয়নি! উত্তরবঙ্গের অন্যান্য শহর ও গ্রাম গুলোতে এই একই চিত্র দেখতে পাই। আর এ জন্যই হয়ত পৃথিবীর ভারসাম্য হারাচ্ছে!
আমরা ডুয়ার্স ও তরাইয়ে অধিবাসীরা এতদিন গরম কি জিনিস জানতাম না। প্রতিটা ঋতুর পরিবর্তন অনুভব করতাম। কিন্ত এখন এই চরম আবহাওয়ার জন্য দায়ী কে? দায়ী তো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমরাই, তাই নয় কি!
       
“মনে পড়ে ছোটবেলায় প্রবল বৃষ্টির মধ্যে জিপ গাড়ি করে ডুযার্সের একটি চা বাগানে অনেকবার গেছি। সেবক রোড দিয়ে কিছুটা গিয়ে একটা মিলিটারী বেস্ ক্যাম্প পার করেই একটি জঙ্গলে গিয়ে পড়তাম। বৃষ্টির জল পেয়ে জঙ্গলটা ভীষণ রকমের সবুজ হয়ে উঠত। কি যে সে অপূর্ব দৃশ্য এখন তা স্বপ্ন বা কল্পনাই মনে হয়!...তারপর রেল গেট পার হয়ে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে আঁকাবাঁকা পথে জিপ গাড়ি ছুটে চলত। একদিকে পাহাড় অন্যদিকে অনেকটা নিচে তিস্তার বীভৎস রূপ! তার মধ্যে পাহাড়ের চারিদিক থেকে মুক্তোর মালার মতন ঝরনার জল পিচ বাঁধান রাস্তার উপর আছড়ে পরে সশব্দে বইতে থাকত। আর তার উপর দিয়েই গাড়ি আমাদের গাড়ি ছুটে চলত কখনও ছোটখাট পাহাড়ি ধসে যাওয়া অংশকে আগু-পিছু করে কাটিয়ে নিপুণভাবে। এক এক সময় আমি ভয় পেয়ে যেতাম আর ভাবতাম আমাদের ছোট গাড়িকে এই ঝরনার জল ঠেলে তিস্তার জলে ফেলে দেবে না তো! এমন করেই মিলিটারীদের বানানো কাঠের পাটাতন দেওয়া লোহার ব্রীজ (সবাই বলত হারমনিয়াম ব্রীজ), একটু এগিয়েই “বাঘপুল” (Coronation Bridge) পার হয়েই এপারে ডুয়ার্সে ঢোকার পাহাড়ি রাস্তায় গিয়ে পড়তাম। বৃষ্টির জল পেয়ে নানান রকম অর্কিড ফুল মুখ বাড়িয়ে থাকত আমাদের অভ্যর্থনা করবে বলে। এ সব সুন্দর দৃশ্য দেখতে দেখতেই কখন যে ওয়াসাবাড়ি,ওদলাবাড়ি, তারঘেড়া পার করে আপালচাঁদ জঙ্গলে গিয়ে পড়তাম তা ভাবলেই আজ অবাক হই। আপালচাঁদ জঙ্গলে এসে বেশ সজাগ হয়ে বসতাম কারণ এখানে নানান বন্য প্রাণীর দেখা মিলত। তাছাড়া অন্যান্য ভয়ও ছিল!
বর্ষার জল পেয়ে জঙ্গলের পর্ণমোচী শ্রেনীর গাছে কচি  নতুন সবুজ পাতা গজিয়ে ওঠে। জঙ্গল তখন নিজেকে যেন সবুজের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে রাখে! আপালচাঁদের ঘন জঙ্গলে কিছুটা এগিয়েই ‘চিড়াভিজা’ অঞ্চল। শুনেছি ওটা নাকি হাতিদের যাতায়াতের করিডোর। চিড়াভেজা এলাকা দিয়ে আসা যাওয়ার পথে অনেকবার হাতির দলকে বিক্ষিপ্ত ভাবে দাঁড়িয়েও থাকতে দেখেছি সাধারণত বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে। এও দেখেছি, হাতিরা মহানন্দে জঙ্গলের লতাপাতা খাচ্ছে আর বাচ্চারা দুষ্টুমি করে বেড়াচ্ছে। আমাদের সেখানে কখনো গাড়ির ভেতরে ঘন্টা খানেকও অপেক্ষা করতে হয়েছে। কিন্ত কি আশ্চর্য, ওরা কখনো আমাদের গাড়িকে আক্রমণ করেনি! কিছুক্ষন ওরা হুটোপুটি করে এক সময় মহাকালের দল ধীরে-সুস্থে মেচবস্তির রাস্তা ধরে অদৃশ্য হয়ে গেছে! সে দৃশ্য যে কি সাংঘাতিক ভয়ের এবং রোমাঞ্চকর তা প্রত্যক্ষদর্শী মাত্রই জানে। এভাবেই আপালচাঁদ দীর্ঘ জঙ্গল পেরিয়ে কাঠামবাড়িতে গিয়ে উঠেছি। আপালচাঁদের অন্যদিকটা বৈকুন্ঠপুর জঙ্গল। তখন সব জঙ্গলেই গাছের খুব গভীরতা ছিল তাই ঠিক করে সূর্যের আলোও পৌঁছত না বলে মনে পড়ে। জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হেঁটে বা সাইকেল নিয়ে একা যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ছিল না! তাছাড়া জঙ্গলের ভেতরের ‘জঙ্গলের নিজস্ব’ অনেক গল্প ছিল! সে দেবী চৌধুরানীর/ভবানী পাঠকের গল্প হোক, ঠ্যাঙ্গারে ডাকাত বা বিদ্রোহী অথবা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথাই হোক - সেসব ছোট থেকে পড়ে-শুনেই বড় হয়েছি। হয়ত এ সব ভয়ের কারণেও জঙ্গল লাগোয়া এত মানুষের বাস ছিল না। যদিও বাস করার মতন উপযুক্ত পরিকাঠামো তখন ছিল না ওখানে। স্বাভাবিক কারণেই বনের পশু-পাখি অনেকটা নির্ভয়ে চলাফেরা করত। শখের শিকারি বা চোরা শিকারিদেরও এত বাড়বাড়ন্ত ছিল না। তাই মাঝে মাঝেই হরিণ, গন্ধগোকুল, বুনো শুয়োর, সাপ, বেজি ইত্যাদি পথে মাঝে অনেকবার দেখেছি কিন্তু চিতা বাঘকে রাস্তায় সে ভাবে কখনো দেখিনি। তবে বানর ও পাখিদের ছোটাছুটি-ডাকাডাকি দেখে-শুনে বেশ বুঝতে পারতাম, মহারাজ কাছাকাছিই আছেন!”... এ তো গেল ছোট বেলার কথা…!” তবে এখন সপরিবারে গজলডোবা-আপালচাঁদ-সেবক হয়ে ঘুরে আসি পুরানো কথা মনে করে। (আগে অবশ্য এসব রাস্তা ছিল না)। এখন খুব হতাশ হই, জঙ্গল ও তার সংলগ্ন এলাকায় সে পরিবেশ খুঁজে না পেয়ে…!

তারপর একদিন দমকল বিভাগে আমার চাকরি হল। কর্মসুত্রে মালবাজারে বেশ কিছুদিন ছিলাম। সে সময় অনেক জরুরী পরিসেবা কাজের প্রয়োজনে (দিনে ও রাতে) গরুমারা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া আসার সময় হাতি ছাড়াও, গৌড়/বাইসনের দলকে রাস্তা পার হতে দেখেছি। বীরপাড়ার একটি fire থেকে ভোর রাতে মালবাজরে ফেরার সময় হরিণের দল আমাদের গাড়ির সামনে দিয়ে লাফিয়ে রাস্তা পার হওয়ার দৃশ্য দেখে আমাদের সকলের সারা রাতের পরিশ্রম ও ক্লান্তি যেন এক নিমেষে দূর হয়েছে, সে কথাও এখন মনে পড়ে! আমরা যখন রাতে ও ভোরে এই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গেছি তখন জঙ্গলের রাস্তায় অন্য গাড়ির যাতায়াত বন্ধ থাকে ‘জঙ্গলের নিয়ম অনুসারে’, স্বাভাবিক কারণেই তখন বন্য প্রানীরা নির্ভয়ে ঐ সময়ে রাস্তার উপরে চলাফেরা করে, রাস্তা পারাপার হয়। সে যে কি অপূর্ব জঙ্গলের বন্যরূপ তা বর্ণনা করার ভাষা আমার জানা নেই! 
অবশ্য এক একটা জঙ্গলের গাছ-পালার ধরন-ধারণ কিছুটা হলেও আলাদা মনে হয়। আর তাই খাদ্যের জোগানের উপর নির্ভর করেই হয়ত সেখানে বিশেষ বিশেষ শ্রেণীর জীব-জন্তুদের বাস বলে আমার ধারনা। কারন নেওরাভ্যালি (এখানে ভালুক ও লাল পান্ডার দেখা পাওয়া যায়), জলদাপাড়া অভয়ারণ্য বা চাপড়ামাড়িতে গিয়েও সেটা লক্ষ্য করেছি।জলদাপাড়ায় বা আশেপাশে শুনেছি গন্ডারের পছন্দের বিশেষ ধরণের লম্বা ঘাস আছে। তাই ওখানে থাকতেই গন্ডাররা বেশি পছন্দ করে। আসামের ব্রহ্মপুত্র নদের পাশে কাজিরাঙ্গা জঙ্গলে আমার এখনও যাওয়া হয়ে ওঠেনি। জঙ্গল আমার খুব ভাল লাগলেও জঙ্গলের খুটিনাটি ব্যাপারে আমি তেমন ভাবে কিছু জানি না। আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বা ধারণা থেকে এ সব কথা বলছি।                 
অনেকবার জঙ্গলের আগুন নেভাতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আমরা জঙ্গলের মধ্যে থেকে কাজ করেছি। কিন্ত তার মধ্যেও যখন দেখেছি পশু-পাখি আহত হয়েছে, বা অনেক পুরানো মূল্যবান গাছ পুড়ে গেছে, তখন মনটা খুব খারাপ হয়েছে। আমরা অগ্নিযোদ্ধারা যতই চেষ্টা ও পরিশ্রম করি না কেন, একবার কোথাও আগুন লেগে গেলে কিছুতেই 100% রক্ষা করা যায় না। আগুনে কিছু না কিছু ক্ষতি হয়েই যায়। তাই আমাদের প্রত্যেকের এ কথাটা মনে রেখে খুব সাবধান ও সচেতনভাবে চলতে হবে, যাতে অসাবধানতা বসত কোথাও আগুন না লাগে। ‘একটি আগুনের ফুলকি’ জঙ্গলকে ছারখার করে দিতে পারে। জঙ্গলে সাধারণত শীতকালের শেষের দিকে শুকনো ঘাসে, ঝরা পাতায় ‘chemical reaction’-এর কারণে আগুন লাগে এবং তা চোখের নিমেষে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও জঙ্গলে বেশির ভাগ আগুন লাগে মানুষের অসাবধানতার কারণে।বিড়ি, সিগারেট, দেশলাইয়ের জ্বলন্ত কাঠি অনেক ক্ষেত্রেই এর জন্য দায়ী। জঙ্গলের পাশের ফাঁকা জমিতে বনভোজন বা “ঝুম পদ্ধতিতে” চাষ করলেও বিপদের ঝুঁকি থাকে।
থাক সে সব কথা।….একবার কর্ণাটকের ‘বন্দিপুর’ জঙ্গলের খুব কাছ দিয়ে বিকেলের দিকে গাড়িতে যাচ্ছিলাম। ওখানেও গাছের প্রকারটা একটু ভিন্ন রকম মনে হয়েছিল। তখন ওদিকটায় বন্য জন্তুর ভয় থেকেও চন্দনদস্যুদের ভয় বেশি ছিল। তাই একটা গা ছমছমে ভাব লক্ষ্য করেছিলাম জঙ্গলের ভেতরটায়-যতদূর চোখ গেছে। মনের মধ্যে ভয়ও ছিল যথেষ্ট, তাই ওখানে যে একটু দাঁড়িয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করব সে ইচ্ছে থাকলেও পূরণ ওঠেনি! তবে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যেতে গিয়ে একটা সুন্দর গন্ধ পেয়েছি। জানি না সেটা মনের ভুল কিনা!

এমন করেই একবার আমরা উত্তরাখন্ডের চোপতা ভ্যালি থেকে বদ্রীনাথ ধামে যেতে গিয়েও ওখানকার জঙ্গলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করেছি।সমুদ্রতল থেকে অনেক উঁচুতে পাহাড়ের কোলে ‘আস্কোট’ জঙ্গল অবস্থিত। তাই ওখানকার আবহাওয়া, গাছ-পালার ধরণধারণও অনেকটাই আলাদা এবং বৈচিত্র্যময় বলে মনে হয়েছে। আমরা আমাদের গাড়ির চালকের সাহায্য নিয়ে জঙ্গলের ভেতর কিছুটা সময়ও কাটিয়েছি। ভারতের এই অঞ্চলেই নাকি কস্তুরীনাভি মৃগের বাসভূমি।
       
আবার সুন্দরবনের নোনা জলের (Mangrave & Maneater) সুন্দরীগাছের ধরণটা অন্য রকম। এক দিন মাঝ নদীর উপর লঞ্চে সপরিবারে ওখানে কাটিয়েছি। শেকড় বেরিয়ে থাকা গাছের দিকে তাকিয়ে বেশ ভয় ভয় লাগে, আর রাত হলে তো কথাই নেই। ওখানেই “রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের” বাসভুমি সুন্দরবন অঞ্চল! তাই রাতে আমাদের একটু সজাগ থাকতে বলেছিল লঞ্চের পক্ষ থেকে। মনে ভয় একটা ছিলই কারণ সদ্য সেদিনই একটি গ্রাম দেখে এসেছিলাম, যে গ্রামে বেশির ভাগ মানুষের প্রাণ গেছে সুন্দরবনের ‘কোর এলাকার’ বাঘের আক্রমনে।জঙ্গলে ঘুরতে গেলে এ সব নানান রকম অনুভুতি কাজ করে, অভিজ্ঞতাও হয়। সত্যিই তা সুন্দর, রোমাঞ্চকর অথচ ভয়ংকরও বটে। সুন্দরবনের বেশির ভাগটাই বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত। সেদিকটাও ভবিষ্যতে দেখার ইচ্ছে আছে।

আজ জঙ্গল নিয়ে কিছুটা অন্যভাবে বলব বলে  লেখনী ধরেছি। তাই জঙ্গলের বর্ণনা করা আজ আমার ঠিক উদ্দেশ্য নয়।…..”আমাজনের বর্ষাবন” যেমন পৃথিবীর অক্সিজেন জোগায় এবং  আবহাওয়াকে বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রন করে। তেমনি ভাবেই আমাদের দেশের হৃদপিন্ড আমাদের এই বন বা জঙ্গলগুলি। তাই তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে আমাদেরই স্বার্থে। জন প্রতি একটা করে গাছ লাগাতে হবে এবং বনের পশু-পাখির নিরাপত্তা নিচ্ছিদ্র করতে হবে আপোষহীন ভাবে। 
বর্ষাকালে তিন মাস জঙ্গল বন্ধ থাকে। খুব সম্ভবত জুন মাস থেকে জঙ্গলে জনসাধারণের অবাধ প্রবেশ নিষেধ। কারণ এ সময়টা পশু-পাখির খুব ব্যক্তিগত জীবন-যাপন চলে তাই জঙ্গলে যাওয়া খুব বিপদজনক। বনের পশু-পাখিরা সবদিক থেকে প্রকৃতির নিয়মে বাঁধা, তাই ওদের “disciplined life”। মানুষের মতন এদের ভোগ, বিলাস, লোভ, সঞ্চয়ের জীবন নয়। চাহিদাও এদের সীমিত এবং তা ওদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত কখনই নয়। আজ তাই আমাদের নিজেদের বেঁচে থাকার তাগিদে এবং পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষার খাতিরে জঙ্গলকে বাঁচিয়ে রাখা ও সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন।                
   এমনি করেই আমরা “জন-অরণ্যের” মধ্যে একটা সুন্দর সমীকরণ যদি বজায় রেখে চলতে পারি তাহলেই পৃথিবী সুন্দর হয়ে উঠবে। না হলে পৃথিবীটা একদিন কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত হবে! তাই আগে থাকতেই আমাদের সাবধান হতে হবে….…

আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴
software development company in siliguri,best
                          software development company in siliguri,no 1 software
                          development company in siliguri,website designing company
                          in Siliguri, website designing in Siliguri, website design
                          in Siliguri website design company in Siliguri, web
                          development company in Siliguri