অবিনশ্বর/শ্রাবণী সেন
অবিনশ্বর
শ্রাবণী সেন
তারপর পুড়ে ছাই হয়ে গেল নশ্বর নারী দেহ!
দেহটাই ছাই হল শুধু আত্মা তো অবিনশ্বর!
ছাই থেকে বেরিয়ে এল তোমার আত্মা
মিলেমিশে গেল হাওয়ায়
যে হাওয়ায় উথাল পাথাল হয়ে উঠল শহর,
যে শহর শেষ ছুঁয়েছে তোমাকে তিলোত্তমা!
যে শহর নিজেই কল্লোলিনী তিলোত্তমা!
শহরটাকে উথাল-পাথাল করে হাওয়া এগিয়ে চলল অন্য শহর থেকে শহরে, গোটা রাজ্যে,
পুরো দেশজুড়ে বিদেশের মাটিতেও!
আওয়াজ উঠল বিচার চাই! বিচার চাই!
আওয়াজ উঠল নিরাপত্তার, সুস্থ সমাজের!
একের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ল অনেকের মধ্যে
একের স্বর হল কোটি মানুষের স্বর!
সাহসই আনে সাহস, সাহসই আনে ভয়ের শেষ!
হৃদয়, মস্তিষ্ক আর দৃঢ় মেরুযষ্টি কী করতে পারে
সবাই দেখল দুচোখ ভরে।
যে নারী বেঁচে থাকলে সহস্র মানুষের প্রাণ বাঁচাত
সে শহিদ হয়ে কোটি মানুষকে দিল আন্দোলনের মন্ত্র!
দল জাতি রঙ সব একাকার করা
হিংসাহীন এমন আন্দোলন আর কবে দেখেছি আমরা!
মিছিল নগরী আশ্চর্য হল এমন সার্বজনীন মিছিল দেখে
যে মিছিল আবালবৃদ্ধবনিতার!
সর্বজনের সব শহর ও গ্রামের!
তিলোত্তমা, অভয়া, কাদম্বিনী, তুমি আমাদের সবার আত্নার আত্মীয়।
তুমি জীবনদায়িনী অক্সিজেন ..... তুমি অবিনশ্বর!
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴