অনিন্দনীয় ছোট্ট জীবন/কবিতা বণিক
অনিন্দনীয় ছোট্ট জীবন
কবিতা বণিক
নিখুঁত একটি অনিন্দনীয় ছোট্ট জীবন। সে কী হারায়? সে যে আছে কথাচাষিদের চোখের তারায়। তাঁর চাষ করা কথার অদ্ভুত ফসল - ‘শুরুতেই যেন শেষ।’ সহজ উঠোনেই আমার পড়া - সেই কুড়ি বাই কুড়ির ছোট্ট ঘরখানার কথা, যা কিনা আদরে আহ্লাদে কলম ধরতে শিখিয়েছিল অসাধারণ হৃদয়স্পর্শী জীবনের পাঠশালায়। কথাচাষি বলেই তোমার কথারা ডালে ডালে ফলে হৃদয়ের চাঁদ হয়ে। আর তুমিই পার কথার ডালকে ঝাঁকিয়ে পাকা চাঁদ পাড়ার ক্ষমতা রাখতে।
কালবেলার সংলাপ- কী অভাবনীয়ভাবে তুলে ধরলে সোনার টুকরো ছেলেগুলোর অসফলতার কথা! তুমি চেয়েছিলে তাদের হাতে উঠুক কলমাস্ত্র। যা কিনা শেখাবে, নতুনভাবে সবাইকে নিয়ে বাঁচার মন্ত্র। শানিত হবে তাদের বুদ্ধি ঐ কলমাস্ত্রের ধারে। তৈরি হবে সোনার ফসল কথাচাষিদের ঘরে ঘরে। শুধুই চাঁদ কেন? ইচ্ছেমত পাড়বে যত গ্রহ, নক্ষত্রদের। সাজিয়ে তুলবে এই পৃথিবীকে নক্ষত্র খচিত সোনায় মোড়া চাদরে। ‘রোববারের সাহিত্য আড্ডা’ নামে যে আসরের সলতে পাকিয়েছ তা ‘নির্বাণহীন আলোকদীপ্ত হয়ে জ্বলবে’ তোমার ইচ্ছেখানি অনন্তকাল ধরে। তাতাসির অববাহিকা জুড়ে অক্ষরের উর্বরতায় সাফল্যের সাথে তোমাকে স্মরণে রেখে এগিয়ে যাক সোনালী কথার ফসল উৎপাদনে।
জানি না, অনিন্দ্য রচনা কীভাবে মর্মভেদী হয়! তোমার কলমে লেখা পেলাম- ‘শুরুতেই যেন শেষ’। বাকলহীন নেওড়ার জঙ্গলে দেখা এক অশ্বথ গাছ তোমার কাছে স্বর্গীয় রূপ ধারণ করল। তারপর তোমার মনঃচক্ষুতে অশ্বথ গাছটি ঋষি রূপ ধারণ করল। সেই মনঃচক্ষুতে দেখা নিজেই ঋষি সেজে নিজের সাথে যে বাক্যালাপ তা কী ছিল সেই সত্য কথা? যা ঘটে গেল? তোমার তা জানা ছিল বলেই অমন সত্য কথা বেরিয়ে এল।
ঋষি — কী চাও এখানে?
উঃ — নিভৃতি।
— কিসের বিনিময়ে?
— ক্ষুদ্রতা।
— মুক্তি চাইছ?
— না ত্যাগ।
— হেতু?
— জীবনকে আঁকড়ে ধরতে নেই।
অনিন্দ্য! তোমার একটা লেখার ওপর আমার মন্তব্য ছিল— জীবনটাই যে একটা খেলা। খুব ভালো লাগল।
উত্তর দিয়েছিলে — একেবারেই তাই। চরিত্র আর হার্ডলগুলো পাল্টে পাল্টে যায় শুধু।
জীবনের শেষ হার্ডলটাই পাড় হতে গিয়ে…..
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴