অনাবৃত শোকগাথা/রানা সরকার
অনাবৃত শোকগাথা
রানা সরকার
নিষ্প্রাণ বিবেকের শব এ শহর দেখেছিল তখন কালবেলায়-
তখন অনিন্দ্য নামের কেউ হারায়নি জীবন, পালায়নি এই কোলাহল ছেড়ে অন্যত্র কোথাও;
অমোঘ মৃত্যুর কারুণ্য জেগেছিল, মধ্য আকাশে চিলেরা উড়ছিল ভেজা ডানায়-
এসবই নিদারুণ শোকের অনুসঙ্গ নিয়ে নিশ্চিত ফিরে যাবে নিঃসঙ্গ উধাও।
এ মৃত্যু তবুও কী তোমার জীবনের পরিসমাপ্তি অথবা রুদ্ধ পারাপার?
অনিন্দ্য সত্যি বলছি আমার আজ শোক জানানোর ভাষা নেই,
দীর্ঘ অভিমানকে কাটিয়ে উঠেছি আমি কলম ধরেছি আজ।
তোমার আমন্ত্রণে চায়ের শীতল সবুজ বনানীর পড়ন্ত বেলার ছায়ায় দীর্ঘবিলীন হয়েছে প্রাচীন শবাধারে।
এও এক আয়ুষ্কাল জেগে আছে, জেগে আছে সৌম্য নিবিড় ব্যাকুলতা ও ছিন্ন সোহাগ-
অনিন্দ্য! সমূহ জীবনের কথায় একদিন গল্পের সিঁড়ি ভেঙে ছুঁতে হবে তোমাকে মুগ্ধ অবসরে-
না-বলা অনেক কথায় লোকমানুষেরা কোন এক অবসরে সরল বৃক্ষের ছায়ায় দাঁড়াবে এসে-
স্মরণের আলোছায়ায় তোমার পরমআয়ু গোনা হবে নক্ষত্র বেলায়।
উজ্জ্বল জোনাকির রাতে কোকিলের কান্না সেদিন রাত পাখীদের সাথে উড়ে যাবে দিগন্ত রেখায়-
অনাবৃত কথা সব আলাপিত হবে, সভা হবে দীর্ঘ জীবনের প্রার্থনায়-
এ শহরের প্রেক্ষাগৃহ আলোকিত হবে, আমরা ম্রিয়মান সেদিন আলোক সম্পাতে-
তুমি অজেয় অনিন্দ্য তুমি, ভাসালে জীবন তরী প্রতিকূল বেলায়।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴