অচেনা আমিকে চিনতে/কাকলি মুখার্জি
অচেনা আমিকে চিনতে
কাকলি মুখার্জি
শিশিরে শিশিরে রঙহীন অলিখিত বার্তা। স্রোতস্বিনীর নিদারুণ উচ্ছাসে দু'কূল ভাঙার আকুল আর্তি। প্রতি মুহূর্তে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বাদানুবাদের রণদামামা।
মুখোমুখি তুমি আর আমি।
না,না, তুমি নও, আমি বিপরীতে সেই আমি। শুরু থেকে শেষ -- সে যেন বড্ড অচেনা ।
রাশি, রাশি সোনালি বালি আপ্রাণ মুঠোয় ভরে আঁকড়ে ধরার প্রচেষ্টায় আমি ডাহা ফেল! কি কাজে লাগবে আমায়? সূর্যাস্তের আলোয় আমি ভাটিয়ালি গাইব? সুর হারিয়ে আমি যে শুধুই এক সত্তাহীন ক্ষয়িষ্ণুতা। আমাকে চেনার ভয়ে লুকিয়ে থাকা আমি। এক অদেখা আবরণে বন্দী। লালসার রঙে রাঙা সভ্যতার বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ যেন এক
ঘুমন্ত চেতনার স্বরহীন বিলাপ।
না, আর নয়, এবার আমি, আমার আমিকে সযত্নে বুনে রাখব সুফলা মাটিতে। ভালোবাসার মৃত্যুকে আমি বাঁচিয়ে রাখব মনের উর্বরতায়। তবু যদি ভালোবাসা পথ হারায়? ভয় পাবো আমি? নিজেকে নিয়ে তো নিজেরই সংশয়। অনেক অনেক পথ চলার প্রতিশ্রুতিতে আমি আমার আমিকে বেঁধে উতরে যাব যাবতীয় চড়াই, উতরাই। প্রশ্নোত্তরের খেলায় আমাকে যে জিততেই হবে। আমার আমিকে জয়ী চিহ্নিত করতে দাবার ঘুঁটিতে চাল দেব। শকুনির চাল। হার নয়, জিত চাই আমার। আমার মুখের উপর বন্ধ কোরো না দরজা। আমি সব ভেঙে চুরে গড়ে নেব এক অত্যাশ্চর্য আমিকে। যে শুধুই জেতার লক্ষ্যে ছুটবে, ছুটবে আর ছুটবে। পিছনে ফিরে তাকানোর কোনো অধ্যায়ই থাকবে না যার জীবন সংগ্রামের উপাখ্যানে। ছন্দময় হবে জীবন কবিতা। আমি আর আমার অচেনা আমি মিলেমিশে যাব এক আলোকবিন্দুতে। অপেক্ষা করো, ধৈর্য্য ধরো, আরও কিছু সময়।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴