অকপটে কিছু কথা/অতনু চন্দ
অকপটে কিছু কথা
অতনু চন্দ
আগ্রহ থাকলেও “অনিন্দ্যকে” আমার সে ভাবে চেনা ও জানার সৌভাগ্য হয়নি। যতটুকু জেনেছি তা “সহজ উঠোনে” ওঁর লেখা পড়ে। খুব ভাল লাগত ওঁর লেখা পড়তে। কি সুন্দর করে ভাবত এবং লিখত যা পড়ে আমিও সমৃদ্ধ হয়েছি।
আমাদের মোটামুটি সব বাঙালি বাড়িতেই কিছু না কিছু ভাবনা-চিন্তা-চর্চা চলে। কিন্তু ভাবনাচিন্তাগুলি বেশি ক্ষেত্রেই কালি কলমে প্রকাশ পায় না! অন্তরের কথা ও ভাবনাচিন্তা হয়ত ‘ঘুর্ণি ঝড়ের’ মতন দলা পাকিয়ে উঠে মনের মাঝেই বিলীন হয়ে যায় এক সময়।
চাকরির অবসরের পরে সে রকম করেই আমার দিন গুলি কাটছিল! কিন্ত এরই মাঝে সম্পাদক অমিত কুমার দে-র উৎসাহে ও আগ্রহে (‘প্রশ্রয়ে’ কথাটা এখানে ব্যবহার করলেও অত্যুক্তি হবে না বলে আমার মনে হয়) আমি কিছুটা লিখতে চেষ্টা করেছি মাত্র!
স্বাভাবিকভাবেই নিজের লেখা দেখতে গিয়ে উঠোনের কবি-সাহিত্যিক-গল্পকারদের গল্প পড়েছি। এতে কার কি লাভ হয়েছে জানি না,আমার লাভ হয়েছে যথেষ্ট। পজেটিভ ভাবনা-চিন্তার মধ্যে নিজেকে এই পঠন-পাঠনের অবর্তে ব্যস্ত রাখতে পেরেছি তাই অন্য নেগেটিভ চিন্তাভাবনাগুলি আর বেশি বেগ দিতে পারেনি আমায়!
আর তখনই “সহজ উঠোনের” কিছু গুণী ব্যক্তিদের সন্ধান পেয়েছি, যার মধ্যে অনিন্দ্য অন্যতম। তাই ওঁকে আমার হৃদয়ের অলিন্দে সসন্মানে ধরে রেখেছি এখনো। একটু খেদ আছে যদিও, ওঁর সাথে ব্যক্তিগত ভাবে আলাপ-পরিচয় না হওয়ার জন্য।
বড় হৃদয় ও কাজের উপযুক্ত ছেলে অনিন্দ্য এখন যেখানে আছে খুব ভাল আছে বলে আমার বিশ্বাস। ওঁর হয়ত আরো উত্তরণ হয়ে অনেক কাজের দায়-দায়িত্ব নিয়েই ও ব্যস্ত আছে। তাই কখনও কাজের অছিলায় সামনা-সামনি দেখা হলে আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছেটা একদিন মিটিয়ে নেব নিশ্চয়ই !
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴