অকপট অনিন্দ্য/রূপশ্রী দে
অকপট অনিন্দ্য
রূপশ্রী দে
"জীবনে আজও যাহা রয়েছে পিছে ,
জানি হে,জানি তাও হয় নি মিছে।"
দাদা,প্রণাম জানাই।লেখালেখি নিয়ে তুমি বিষয় বলে দিতে প্রায়শই,আর আজ আমার লেখার বিষয় তুমি ।সত্যিই এটাকেই কি কালের নিয়ম বলে?বড় অসহায় !বট গাছের ছায়া মাথার ওপর থেকে সরে গেল।আজও মনে পড়ে "বিদ্রুপ" গল্পটি
যখন প্রকাশিত হলো-ডাকবিভাগের বার্ষিক পত্রিকায়।বলা যায় বড় কোনও পত্রিকায় প্রথম প্রকাশ এই আমার গল্প। বিষয় তোমারই মস্তিষ্ক প্রসূত। আমি কেবলই লিখেছি।তোমার পথ প্রদর্শনায় পথ চলা। কর্মসূত্রে আমার স্বামী যখন মালবাজার ডাকবিভাগে যোগদান করলেন, তারপরই বড়দাদার ভূমিকায় আগলে রাখলে আমাদের। তোমার এই অভিভাবকত্বের ঋণ পরিশোধের নয়। কত আনন্দ, সমস্যা, দুঃখ, হাসির সাক্ষী তুমি রয়েছ। কিছুদিন আগেই "তাতাসি" প্রকাশিত হবে বলে ফোন করেছিলে-"লেখা পাঠাস।" যে কোনও লেখাই তোমায় দেখিয়ে স্বস্তি অনুভব করতাম। গত বছরেই রবিবাসরীয় আড্ডায় যোগদানের সুযোগ পেয়েছিলাম। মনে পড়ছে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে এক গাল হাসি নিয়ে আমাদের বিদায় জানিয়ে ছিলে।
কষ্ট হচ্ছে দাদা। লেখাগুলি কেমন যেন জড়ো হয়ে আসছে। কত জনের কত কথা তুমি শুনলে না কেন?তুমি যে সত্যিই মহীরুহ। তোমায় ঘিরে যে কত আগাছাও আজ প্রাণে বেঁচে আছে। কত স্বর্ণলতা আজ আলোকমুখী। তবে আমি বড়ই অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছি। বড় শূন্যতা। তবে এই লেখার মাধ্যমে এভাবে কখনোই বলতে চাইনি দাদা। এই বোনের আবদার -
বেঁচে থাকো সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে
বেঁচে থাকো কর্মে
বেঁচে থাকো প্রত্যেকের হাসিতে,
বেঁচে থাকো গৃহ, অন্ন হারা মানুষের পাশে।
জীবন যুদ্ধে তুমি বিজয়ী। অনেক সম্পদ গচ্ছিত করেছ সকলের মণিকোঠায়। একবারেই সাদামাটা কথায় বোনের আকুতি গ্রহণ করো দাদা। ভালো থেকো।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴