বিসর্জন
অনিন্দিতা গুপ্ত রায়
নিজেকেই ভাসিয়ে দিই। আর কীই বা ছিল আমার!
হাতের মুঠোয় জমা জল মাত্র সার, নিজস্ব নিয়মে ঝরে যায়।
যেটুকু অনতিক্রম্য তার গা থেকে মাটি গলে পড়ে---
যাকে বহু যত্ন ও সমাদর গড়েছিল কাঠামোর আপাত নিস্পৃহতা ঘিরে।
জলে মিশে সে তখন কাদা।
ছিটকে আসে মূর্ত বিমূর্তের মাঝখানে ধূসররেখায়।
বিসর্জনের বাজনা শুনেও মাটির শরীর ভাবে নিজেকে অপার।
যে হাত মূর্তি গড়ে, সেই হাতই বারবার গলা জলে তাকে ফেলে আসে---জেনেও
অলৌকিক সন্ধ্যাবাতাসে ধুপধুনোর মহিমামুগ্ধ কিছুদিন!
ফতুর হয়ে যাওয়া দিনিলিপির ভাঁজে চোরকাঁটা বিঁধে আছে দেখি।
কিছুতেই ঘুমোতে পারি না, স্মৃতিকাতর স্বপ্নের ভিতর।
জলের ভিতর পাক খেতে খেতে ওই তলিয়ে যাচ্ছে সংশয়চিহ্ন
উচাটন ও সীমান্ত পেরনো পায়ের ছাপ, ঝাপসা প্রতিকৃতি।
শূন্যতা অনুবাদ করতে করতে এইবার মাটি মিশে যাচ্ছে মাটিতে।