সহজ উঠোন

রেজিস্টার / লগইন করুন।

সব কিছু পড়তে, দেখতে অথবা শুনতে লগইন করুন।

Sahaj Uthon
24-November,2022 - Thursday ✍️ By- সৌগত ভট্টাচার্য 241

গোল

গোল
সৌগত ভট্টাচার্য
----------------------

দুটো খবরের কাগজ আর দু কাপ চা শেষ করে সুকমল কাবেরীকে জিজ্ঞেস করেন, "বাজার থেকে কী আনতে হবে?" কাবেরী লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়তে পড়তেই উত্তর দেন, "নিজে বুঝেশুনে এনো, তরকারি অনেক জমে গেছে ফ্রিজে।" পাঁচালি হাতে  মাছের কথা উচ্চারণ না করলেও সুকমল কাবেরীর ইঙ্গিত বোঝেন। ফ্ল্যাটের কাছেই বাজার হওয়ায় রোজ সকালে একবার করে বাজার আসেন সুকমল, অবসরের জীবনে বাজার যাওয়ার নেশায় পেয়েছে তাঁকে।

"একে রেনু কাজে আসেনি তারপর সকাল বেলায় ব্যস্ততার সময় ফোন!" ফোনের রিং শুনেই কাবেরী বিরক্ত হয়ে নিজেই বলেন। 
---"হ্যালো! ও বুব্বা বল!" কাবেরী আর সুকমলের একমাত্র সন্তান বুব্বা, ব্যাঙ্গালোরে থাকে। ওইদিক থেকে বুব্বা বলে, 
---"আজ বাবার সুগার টেস্ট করানোর কথা না?" 
----"বলেছিল যাবে, কিন্তু চা খেয়ে ফেলল তো, খাওয়ার দু ঘন্টা পরে যাবে হয়ত!"
----"তোমার ব্যথার কী খবর?"
-----"কিছুই বুঝি না, ফিজিওথেরাপি করে যাওয়ার পর কিছুক্ষণ আরাম পাই এই যা! সারা সন্ধ্যা তো হটব্যাগ নিয়ে বসে থাকি!"
-----"কাল ম্যাচের রেজাল্ট কী হল?"
---- "আর বলিস না কাল সন্ধ্যায় তোর রাঙাপিসিরা এলেন, টুকটুকির বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে আর খেলা দেখা হয়নি। বুব্বা তোরা টিকিট করলি বিয়েতে আসার?"
---"আমি ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেও,  মুন ছুটি পাবে বলে মনে হয় না মা!"
----- "ওরা বারবার করে বলে গেছেন আসতে জানিস।"
---- "রাঙাপিসো আমাকেও ফোন করেছিলেন।"
---- "মা আমাকে বেরোতে হবে এখন! রাতে কথা বলব! বাবার রিপোর্ট আসলে জানিও।"
---"আজ রাতে বার্সেলোনার খেলা জানিস!"
--"ও! ঠিক আছে মা। রাখলাম এখন।"

ফোন রেখে খবরের কাগজ হাতে নেন কাবেরী। বরাবরই খবরের কাগজের শেষ পাতা থেকে পড়া শুরু করেন কাবেরী। চশমাটা উঠিয়ে খেলার খবরে চোখ রাখেন। সুকমল বাজার থেকে এসে ব্যাগ নামিয়ে বলেন,"আজ বাজারে ভালো মৌরলা মাছ উঠেছিল, কিন্তু কাটানোর ঝামেলা, আনলাম না!" কাবেরীর ননদ সেদিন কথায় কথায় বলছিলেন,"দুজনের তো সংসার! সারাদিন কী এমন কাজ!"  অথচ সত্যি বলতে কী সারাদিনে দম ফেলার ফুরসৎ পাননা কাবেরী। খাওয়ার পর দুপুর গড়ালে টিভিতে ফুটবলের পুরোনো টেলিকাস্ট দেখতে দেখতে চোখ লেগে আসে কাবেরীর। 

গ্রাজুয়েশনের পরই কাবেরীর বিয়ে হয় সুকমলের সঙ্গে। সুকমল তখন সদ্য চাকরি পাওয়া সামান্য বেতনের স্কুল শিক্ষক। ভাড়া বাড়িতে মা ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন সুকমল। বিয়ের বছর না ঘুরতেই বুব্বা আসে সুকমল আর কাবেরীর জীবনে। বুব্বার বয়েস তখন ছয়, সেবার ওয়ার্ল্ড কাপের সময় একদিন সুকমল হঠাৎ অসময়ে স্কুল থেকে বাড়িতে এসে হাজির! রান্নাঘর থেকে টানতে টানতে কাবেরীকে বাইরের ঘরে নিয়ে এসেছিলেন সুকমল। সুকমল একটা পিসবোর্ডের বাক্স দেখিয়ে বলেন, "এই যে…. তোমার জন্য"। একটা ছোট পোর্টেবল টিভি বাইরের ঘরে টেবিলের ওপর রাখা। সেইদিন ছিল কাবেরী-সুকমলের বিবাহবার্ষিকী। কাবেরীর চোখ চিকচিক করে উঠেছিল জলে। ইনস্টলমেন্টে সুকমল টিভিটি কিনেছিলেন। বিবাহবার্ষিকীর রাতে কাবেরী অনেক্ষণ ওয়ার্ল্ড কাপের ম্যাচ দেখেছিলেন।

সন্ধ্যার পর চ্যানেল পাল্টে খবর দেখেন সুকমল। কাবেরী ভাত বসিয়ে টিভির দিকে চোখ যেতেই দেখেন, খবরের চ্যানেলের নীচ দিয়ে স্ক্রোল যায়, "চোটের কারণে গ্রুপ লীগের দুটো ম্যাচে মাঠের বাইরে থাকছেন রোনাল্ড…।" স্ক্রোল দেখে কাবেরী মুখ ফুটে বেরিয়ে যায় "ইসসস.."। "কী হল?" সুকমল জিজ্ঞেস করেন কাবেরীকে। "একে ঠান্ডা সঙ্গে পূর্ণিমা, আজ জ্বালাবে হাঁটুটা" ঠান্ডা পড়লেই হাঁটুর ব্যথাটা বাড়ে কাবেরীর। 

"প্রেসারের ওষুধ শেষ, কাল প্রেসারের ওষুধ আনতে হবে..." রাতে খাওয়ার পর সুকমল বলেন। "তুমি ডাক্তারের কাছে যখন আজকের রিপোর্ট দেখাতে যাবে তখন একবার প্রেসার মাপিয়ে নিও, যদি ডাক্তারবাবু ওষুধ বদলে দেন!" রাতে খাওয়ার পর সুকমল একটু সময় বই ম্যাগাজিন পড়েন। সেই সময় কাবেরী ফ্রীজে খাবার তুলতে তুলতে বলেন, "গ্যাসটা কাল বুক করে দিও…" টেবিল মুছে খাওয়ার জল ভরে অন্যান্য টুকটাক কাজ সেরে হটব্যাগ নিয়ে টিভির সামনে বসে কাবেরী বলেন,"আজ যদি বার্সেলোনা জেতে তবে রিয়ালের সমান পয়েন্ট হবে"। বই থেকে মুখ না তুলে সুকমল শুধু, "হুম" বলেন। সুকমলের লেখালেখির সুবাদে একসময় বাড়িতে  নানা ধরণের পত্রপত্রিকা আসত। বাপ ছেলে দুজনেই স্কুল চলে গেলে ম্যাগাজিনে ছাপানো খেলোয়াড়দের ছবি কেটে লক্ষ্মীর পাঁচলির ভেতর পাটপাট করে সাজিয়ে রাখতেন কাবেরী।

"বুব্বারা টুকটুকির বিয়েতে আসতে পারবেনা, মুনের ছুটির সমস্যা" রাতে শোয়ার আগে হাতে পায়ে ক্রিম মাখতে মাখতে কাবেরী সুকমলকে বলেন। "এলে সোনামায়ের সঙ্গে একটু দেখা হত!" সুকমল বলেন। খাটের হেডবক্সের একদিকে কাবেরী-সুকমলের সঙ্গে বুব্বার একটা ছবি অন্য দিকে বুব্বা মুন আর রূপসীর ছবি রাখা। মুন বিয়ের পর শাশুড়ির ফুটবলের নেশার কথা জেনে খুব অবাক হয়েছিল। মুন ফোন করে মাঝেমাঝে বলত ,"মা আজ ঠাকুরকে  বলেছ তোমার টিমকে জেতাতে?" মৃদু একটা ঠাট্টা মিশে থাকত যেন কোথায়। কাবেরী জানেন, তাঁর এই খেলাপাগল সত্বাটি মুন ঠাহরই করতে পারেনা। কেইই বা পারল! মুনের ওপর তাইই কোনো ক্ষোভ নেই, প্রত্যাশাই যে ছিল না!

মার্চে ব্যাঙ্গালোরে যাওয়ার কথা কয়েকদিন হল সুকমল বলেছেন কাবেরীকে। বুব্বা আর মুন দুজনেই বড় আইটি কোম্পানিতে চাকরী করে, সময় কম, ব্যস্ত ওরা। যতবার ব্যাঙ্গালোর গেছে  কয়েকদিন বাদেই হাঁফিয়ে ওঠে কাবেরীরা বাড়ি ফেরার জন্য। "সোনামাকে দেখে আসি।" সুকমল কথাগুলো যখন বলছিলেন তখন কাবেরী সেদিনের খবরের কাগজ থেকে "চ্যাম্পিয়নস লীগ" এর ফিক্সচার কাটতে কাটতে অন্যমনস্ক হয়ে বলেন, "চলো…..! ইসসস! এবারও সব ভালো খেলাগুলো সব গভীর রাতে"। 

বাড়িতে নতুন টিভি আসার পর কাবেরী সারাদিন নিজের হাতে সংসারের কাজ করতেন রাত্রি হওয়ার অপেক্ষায়। তখন শাশুড়ি বেঁচে। বাড়িতে কোনো কাজের লোক ছিল না। বুব্বার স্কুল টিউশন সুকমলের অফিসের ভাত দেওয়া টিফিন করা, মাসের খরচের হিসেব নিকেশ, শাশুড়ির সঙ্গে খিটমিট, পুজোআচ্চা, ঘরের কাজ গুলোকে কখনো মনে মনে কখনো পাস দিতেন, কখনো ডজ করতেন, কখনো ট্যাকল করতেন। সেন্টারকে কেন্দ্র করে একা দৌড়ে বেড়িয়েছেন কাবেরী সংসারের বৃত্তে….. অক্লান্ত এক মাঝমাঠের খেলোয়াড়ের মত। কাবেরী সংসারের এই খেলাটাকে উপভোগ করতেন। আশালতার মৃত্যু, সুকমলের অবসর বুব্বার বাইরের চলে যাওয়া যেন হাফ টাইমের  লম্বা বাঁশি। 

কপালে হাত ঠেকিয়ে দেওয়ালে টাঙানো দুর্গার ছবিতে একবার প্রণাম করেন কাবেরী। দুর্গার পাশেই ঝুলছে একটা জীবনানন্দের সাদাকালো ছবি। কাবেরীর অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল ঘরে একটা মারাদোনার ছবি বাঁধিয়ে টাঙানো, কিন্তু সেকথা কাউকেই বলে উঠতে পারেননি কোনোদিনও। বালিশের পাশে ব্যথা ও প্রেসারের সব মিলিয়ে চার রকম ওষুধ সুকমল সাজিয়ে রেখেছে। কাবেরী জলের বোতল থেকে জল মুখে নিয়ে ওষুধ খেতে খেতে ব্যথায় "উঁ মাগো..." বলে একটা শব্দ করে। "লাইটটা অফ করে টিভির সাউন্ডটা কমিয়ে দিও" সুকমল বালাপোশটা গায়ে টেনে নিয়ে কাবেরীকে বলেন।

টিভির আলোতে কাবেরীর বেডরুম ফ্লাড লাইটে ভেসে যাওয়া স্টেডিয়াম যেন, কাবেরী একা দর্শক। অনেক ওপর থেকে ক্যামেরায় বিরাট গোল স্টেডিয়াম দেখায়। আস্তে আস্তে ক্যামেরার লেন্স মাঠের মাঝের সেন্টারে চলে এসে শুধুমাত্র বলকে ফোকাস করে। কাবেরীর চোখ মাঠের সেন্টারে স্থির হয়ে যায়। সারাদিনের শেষে খেলা শুরুর বাঁশির জন্য অপেক্ষা করেন কাবেরী। এই বৃত্তের মধ্যে দিনান্তে তিনি নিজেকে খুঁজে পান। মনে পড়ে অন্য এক মাঠ। তখন স্কুলপড়ুয়া কিশোরী কাবেরী, বিকেলে বাড়ির ছাদে হাঁটতে গিয়ে ছাদের উপর থেকে বাড়ির পাশের গোল মাঠটাকে দেখত। ছেলেরা বিকেল হলেই মাঠে খেলতে আসত। একজনের নাম কাবেরীর কানে আসত, সুব্রত। পাশের থেকে একজন বলত," বিল্টু পাস দে সুব্রতকে, বল ধরে রাখিসনা।" তখন ম্যাক্সি পড়া কাবেরীর মনে শরীরে এক অচেনা উত্তেজনা। প্রতিদিন বিকেলে নেমে পড়তে ইচ্ছে করত মাঠে। ঘামে ভিজে, কাদা মেখে খেলতে খুব ইচ্ছে করত তাঁর।  সুব্রতদের বল নিয়ে গোল পোস্টের দিকে দৌড় লুকিয়ে দেখতে দেখতে সদ্য তরুণী  কাবেরীর সারা শরীরে শিহরণ দিত। মনে মনে  ফুটবল পায়ে দৌড় দিত মেয়েটি। প্রায় সন্ধে পর্যন্ত চলত খেলা। সন্ধে নামলে ফাঁকা মাঠের মতই কাবেরীর বুকে শুধুই কালো অন্ধকার আর জোনাকি। কাবেরী সিঁড়ি দিয়ে ছাদ থেকে নামতে নামতে মাঝে মাঝে ডান পা টা সামনে শূন্যে ছুঁড়ে শট মারত। "পাস সুব্রত পাস... বিল্টু পাস দে…. শট কর…" শব্দগুলো ভেসে আসত অন্ধকার মাঠ থেকে পড়তে বসা কাবেরীর কানে।

সেকেন্ড হাফ খেলা শুরুর একটু আগেই কাবেরী বাথরুম গিয়েছিলেন। খেলা শুরু হতেই দরজা খুলে দাঁড়িয়ে পড়েন টিভির দিকে তাকিয়ে। যে ভাবে কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মিডফিল্ডের ভিডাল, খেলাটাকে যেন হাতে ধরে তৈরি করছে। কাবেরীর পা বাথরুম আর বেডরুমের মাঝে যেন স্থির হয়ে যায়। দুটো পায়ের মাঝে একটা চামড়ার বল নিয়ে একটা শরীর দৌড়ে যাচ্ছে বার পোস্টের দিকে। কাবেরী ঘামতে থাকেন, অস্থির লাগে। টিভিটা মিউট করা, খেলার কোনো শব্দ পাচ্ছেন না কাবেরী। তিনি নিজের ঘনঘন শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। ঠান্ডায় রাতে কাবেরীর শরীর উত্তেজনায় উথালপাথাল। 

সুকমলের বাবা ছোটবেলায় মারা যান। আশালতা সুকমলকে আকড়েই বেঁচেছেন। বিয়ে হয়ে আসার পর আশালতার সুকমলের প্রতি অধিকারবোধ নিয়ে সমস্যা হয়েছে কাবেরীর। কাবেরী  ফুটবলারের মতোই বুক দিয়ে বল রিসিভ করার মত, সেই সমস্যা সামলেছেন। নাতি জন্মানোর পর আশালতার নাতির প্রতি সেই অধিকারবোধের লড়াই। বারবার যেন ফুটবল মাঠের মাঝের গোল বৃত্তের আশেপাশে থেকেছেন কাবেরী। চাকরি না করার দুঃখ থাকলেও, সবাই যখন  গোল করার জন্য গোলপোস্টের দিকে ছুটেছেন কাবেরী কখনো সংসারের মাঝমাঠ থেকে নেমে ডিফেন্ডার হয়ে খেলেছেন, গোল বাঁচানোর জন্য। সামান্য টাকায় সংসার চালিয়েছেন, তখন কতই বা মাইনে ছিল সুকমলের। সুকমল টিউশন করেছেন, কাবেরী বিকেলে বাজারে গেছেন। সুকমলকে আড়াল করেছেন আত্মীয়দের সমালোচনা থেকে নিজে সামনে এসে। সেন্টার থেকে সারা মাঠ জুড়ে দৌড়ে কাটিয়ে কখনো শিল্প কখনো কৌশলে ঘেমে নেয়ে বল পাস করেছেন কাবেরী সুকমলের দিকে, কখন আবার বুব্বার দিকে, সুকমল আর বুব্বা গোল করেছে। সুকমল আর বুব্বা যেন সারাজীবনের সফল স্ট্রাইকার।

বাথরুমের থেকে কাবেরী দ্রুত পায়ে মশারীর ভেতর ঢুকে পড়েন। মিডফিল্ডার বিল্টু যেমন পাস দিত সুব্রতকে, তেমনই মিডফিল্ডারের দেওয়া পাশের বল মেসির পায়ে। সুকমল অকাতরে ঘুমাচ্ছেন পাশে শুয়ে। নিজেই অজান্তে কাবেরী বলছে "শট! শট! সুকমল শট! বল পায়ে ধরে রেখোনা…"  কাবেরী বল তৈরি করে দিয়েছে সেই মিডফিল্ড থেকে সারা মাঠ দৌড়ে এসে, বল শুধু নেটের স্পর্শের অপেক্ষা। "সুকমল শট…." বলে নিজের অজান্তেই চেঁচিয়ে ওঠেন কাবেরী। ঘুম ভেঙে ধড়ফড়িয়ে ওঠেন সুকমল কাবেরীর চিৎকার শুনে। সম্বিৎ ফিরতে কাবেরী ভীষণ লজ্জা পান। টিভিতে সদ্য হাত সামনে দিয়ে রেফারি গোলের বাঁশি বাজিয়েছেন। স্টেডিয়াম ভেঙে পড়ছে হাততালিতে। অন্ধকার ঘরে নিঃশব্দ টিভির উজ্জ্বল আলো এসে পড়ে কাবেরীর লজ্জিত গোল মুখে। শীতের রাতেও কাবেরীর কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম, মুখে লাজুক অপ্রস্তুত হাসি। সুয়ারেজকে নিয়ে সতীর্থরা কোলে তুলে ঘুরছে, গ্যালারি থেকে অভিবাদন জানাচ্ছে দর্শকরা। কপালে ঘামের বিন্দু জমে থাকা উত্তেজনায় লাল কাবেরীর মুখটা দেখে সুকমলের অনেক দিন আগে চন্দনে সিঁদূরে মাখামাখি একটা লজ্জাবনত তরুণীর মুখ মনে পড়ে যায়। সেই মুখের দিকে সুকমল মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকেন কয়েক মুহূর্ত, তারপর স্মিত হেসে কাবেরীকে কাছে টেনে বলেন " এবার ঘুমিয়ে পড়ো.... অনেক রাত হল তো!"

আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴
software development company in siliguri,best
                            software development company in siliguri,no 1 software
                            development company in siliguri,website designing company
                            in Siliguri, website designing in Siliguri, website design
                            in Siliguri website design company in Siliguri, web
                            development company in Siliguri