এখানে পাখির চোখের মতো
মুখ লুকোয় ধূসর পাহাড়ের গায়ে ৷
দূরের পাহাড়গুলো নিঃশব্দে মাথা উঁচু করে
দাঁড়িয়ে থাকে অতন্দ্র প্রহরীর মতো ৷
শাল-সেগুন-জারুলের মাঝে
চির অক্ষত প্রকৃতির যৌবন আর
অপার সম্ভববীজ ৷
কিশোরী নদীর গর্ভে জমতে থাকে
ভালোবাসার টুকরো গল্প ৷
এখানে বর্ষার রং সবুজ
অজস্র বাউন্ডুলে মেঘের আনাগোনায়
ঝাপসা দেখায় বিস্তীর্ণ চরাচর ৷
শীত-কুয়াশায় হামেশাই ধরা দেয়
প্রান্তিক মানুষের গার্হস্থ্য চিত্র।
ধূসর পথের আঁকেবাঁকে আগুন পোহানো
শীতকাতুরে মানুষেরা
ক্ষণে ক্ষণে মেপে নেয় সূর্য ৷
মনোরম বসন্তে ঝরাপাতার গালিচায়
হাতে হাত রেখে হেঁটে যায় প্রেমিক যুগল ৷
এখানে হাত বাড়ালেই ধরা দেয় বন্যপ্রাণ ৷
চুপিচুপি কথা বলে বেনে-বৌ বসন্ত-বাউড়ি
চা বাগানের অকৃত্রিম সৌন্দর্য উপভোগ করে
নির্বিবাদে কাটানো যায় একটি আস্ত জীবন ৷
এখানে মাটির আদি-অকৃত্রিম গন্ধের সাথে
পায়ে পায়ে উঠে আসে
অরণ্যের মৌন-মুখর সংলাপ ৷
যান্ত্রিক ঢেউহীন ধীর জীবন ,
অনভিপ্রেত নাগরিক বিলাস ...
সিধে সরল আপামর ভূমিপুত্রদের
যাপনের নির্ভেজাল দস্তাবেজ
গেঁথে চলে অবিরাম।