পোকাটা রোজ ওঠে শিরদাঁড়া বেয়ে,
কুরে কুরে খায় মস্তিষ্কের রস।
নির্বাপিত সিক্ত সম্ভাবনা থেকে ওঠা ধোঁয়াতে
পথ হারায় সহজাত চৈতন্য,
বিমূর্ত সত্তা স্বপ্ন ফেরি করে মৃত মানুষের ভিড়ে,
চিন্তার জালে আটকে পরে অতীত নির্যাস
ঘরের নিচে ঘর তার নিচে ঘর অতলস্পর্শ।
মানিয়ে নেওয়ার যাঁতাকলে পিষ্ট সঞ্চিত অভিলাষ
আত্মগোপন করে সময়ের নাগপাশে,
মুখোশ হারাই স্বেচ্ছায়, অবিমিশ্র হৃদয়ের অন্বেষণে, মোহঘোর।
শেষ রাতেও ফুটপাতের দোকান জাগে ভুলে যাওয়া চেনা সুরে,
রংচটা প্রেম শ্বাসনেয় কুয়াশা গায়ে বিনিদ্র রাজপথে,
খয়াটে চাঁদে রোমন্থন নৈরাশ্য আত্মগ্লানি,
বিস্মৃতির শিলালিপি, অভিজ্ঞান হয় পলল স্তরে ।
আদুড় আকাশ গায়ে জমা অভিমান
চোখ মেলে মাঝ মাঠে,
শূন্য দৃষ্টি বিদীর্ণ করতে চায় মহাকাশের প্রাচীর,
খোঁজে নশ্বর দেহে জন্মস্থানের ক্ষত।
সম্মোহিত বাষ্পহীন চোখ, নোনাধরা দেওয়ালে
শিউলির বৃন্তে আঁকে অস্তমিত সূর্য।