সহজ উঠোন

রেজিস্টার / লগইন করুন।

সব কিছু পড়তে, দেখতে অথবা শুনতে লগইন করুন।

Sahaj Uthon
46.শালসিড়ি-৪৬/বিমল দেবনাথ

46.শালসিড়ি-৪৬/বিমল দেবনাথ

45.শালসিঁড়ি-৪৫/বিমল দেবনাথ

45.শালসিঁড়ি-৪৫/বিমল দেবনাথ

44.শালসিঁড়ি-৪৪/বিমল দেবনাথ

44.শালসিঁড়ি-৪৪/বিমল দেবনাথ

43.শালসিঁড়ি-৪৩/বিমল দেবনাথ

43.শালসিঁড়ি-৪৩/বিমল দেবনাথ

42.শালসিঁড়ি-৪২/বিমল দেবনাথ

42.শালসিঁড়ি-৪২/বিমল দেবনাথ

41.শালসিঁড়ি-৪১/বিমল দেবনাথ

41.শালসিঁড়ি-৪১/বিমল দেবনাথ

40.শালসিঁড়ি-৪০/বিমল দেবনাথ

40.শালসিঁড়ি-৪০/বিমল দেবনাথ

39.শালসিঁড়ি-৩৯/বিমল দেবনাথ

39.শালসিঁড়ি-৩৯/বিমল দেবনাথ

38.শালসিঁড়ি ৩৮/বিমল দেবনাথ

38.শালসিঁড়ি ৩৮/বিমল দেবনাথ

37.শালসিঁড়ি-৩৭/বিমল দেবনাথ

37.শালসিঁড়ি-৩৭/বিমল দেবনাথ

36.শালসিঁড়ি-৩৬/বিমল দেবনাথ

36.শালসিঁড়ি-৩৬/বিমল দেবনাথ

35.শালসিঁড়ি-৩৫/বিমল দেবনাথ

35.শালসিঁড়ি-৩৫/বিমল দেবনাথ

34.শালসিড়ি-৩৪/বিমল দেবনাথ

34.শালসিড়ি-৩৪/বিমল দেবনাথ

33.শালসিঁড়ি-৩৩/বিমল দেবনাথ

33.শালসিঁড়ি-৩৩/বিমল দেবনাথ

32.শালসিঁড়ি-৩২/বিমল দেবনাথ

32.শালসিঁড়ি-৩২/বিমল দেবনাথ

31.শালসিঁড়ি-৩১/বিমল দেবনাথ

31.শালসিঁড়ি-৩১/বিমল দেবনাথ

30.শালসিঁড়ি-৩০/বিমল দেবনাথ

30.শালসিঁড়ি-৩০/বিমল দেবনাথ

29.শালসিঁড়ি-২৯/বিমল দেবনাথ

29.শালসিঁড়ি-২৯/বিমল দেবনাথ

28.শালসিঁড়ি-২৮/বিমল দেবনাথ

28.শালসিঁড়ি-২৮/বিমল দেবনাথ

27.শালসিঁড়ি ২৭/বিমল দেবনাথ

27.শালসিঁড়ি ২৭/বিমল দেবনাথ

26.শালসিঁড়ি - ২৬/বিমল দেবনাথ

26.শালসিঁড়ি - ২৬/বিমল দেবনাথ

25.শালসিঁড়ি-২৫/বিমল দেবনাথ

25.শালসিঁড়ি-২৫/বিমল দেবনাথ

24.শালসিঁড়ি ২৪/ বিমল দেবনাথ

24.শালসিঁড়ি ২৪/ বিমল দেবনাথ

23.শালসিঁড়ি-২৩/বিমল দেবনাথ

23.শালসিঁড়ি-২৩/বিমল দেবনাথ

22.শালসিঁড়ি-২২/বিমল দেবনাথ

22.শালসিঁড়ি-২২/বিমল দেবনাথ

21.শালসিঁড়ি-২১/বিমল দেবনাথ

21.শালসিঁড়ি-২১/বিমল দেবনাথ

20.শালসিঁড়ি-২০/বিমল দেবনাথ

20.শালসিঁড়ি-২০/বিমল দেবনাথ

19.শালসিঁড়ি-১৯/বিমল দেবনাথ

19.শালসিঁড়ি-১৯/বিমল দেবনাথ

18.শালসিঁড়ি-১৮/বিমল দেবনাথ

18.শালসিঁড়ি-১৮/বিমল দেবনাথ

17.শালসিঁড়ি-১৭/বিমল দেবনাথ

17.শালসিঁড়ি-১৭/বিমল দেবনাথ

16.শালসিঁড়ি-১৬/বিমল দেবনাথ

16.শালসিঁড়ি-১৬/বিমল দেবনাথ

15.শালসিঁড়ি-১৫/বিমল দেবনাথ

15.শালসিঁড়ি-১৫/বিমল দেবনাথ

14.শালসিঁড়ি-১৪/বিমল দেবনাথ

14.শালসিঁড়ি-১৪/বিমল দেবনাথ

13.শালসিঁড়ি-১৩/বিমল দেবনাথ

13.শালসিঁড়ি-১৩/বিমল দেবনাথ

12.শালসিঁড়ি-১২/বিমল দেবনাথ

12.শালসিঁড়ি-১২/বিমল দেবনাথ

11.শালসিঁড়ি-১১/বিমল দেবনাথ

11.শালসিঁড়ি-১১/বিমল দেবনাথ

10.শালসিঁড়ি-১০/বিমল দেবনাথ

10.শালসিঁড়ি-১০/বিমল দেবনাথ

9.শালসিঁড়ি-৯ /বিমল দেবনাথ

9.শালসিঁড়ি-৯ /বিমল দেবনাথ

8.শালসিঁড়ি -৮/বিমল দেবনাথ

8.শালসিঁড়ি -৮/বিমল দেবনাথ

7.শালসিঁড়ি-৭/বিমল দেবনাথ

7.শালসিঁড়ি-৭/বিমল দেবনাথ

6.শালসিঁড়ি –৬/বিমল দেবনাথ

6.শালসিঁড়ি –৬/বিমল দেবনাথ

5.শালসিঁড়ি-৫/বিমল দেবনাথ

5.শালসিঁড়ি-৫/বিমল দেবনাথ

4.শালসিঁড়ি - ৪/বিমল দেবনাথ

4.শালসিঁড়ি - ৪/বিমল দেবনাথ

3.শাল সিঁড়ি-৩/বিমল দেবনাথ

3.শাল সিঁড়ি-৩/বিমল দেবনাথ

2.শাল সিঁড়ি-২/বিমল দেবনাথ

2.শাল সিঁড়ি-২/বিমল দেবনাথ

1.শালসিঁড়ি/১ বিমল দেবনাথ

1.শালসিঁড়ি/১ বিমল দেবনাথ

28-November,2022 - Monday ✍️ By- বিমল দেবনাথ 6.84K

শালসিড়ি-৪৬/বিমল দেবনাথ

শালসিড়ি-৪৬
বিমল দেবনাথ
^^^^^^^^^^^^^

শীত গ্রীষ্মে ডুয়ার্সের নদীগুলো হাড়ঝিরঝিরে চেহারা নেয়। বেরিয়ে পড়ে বুকের বালি বজরি পাথর। নদীগুলো যেন প্রতি বছর বুড়ো হয়ে যায় আবার প্রতি বছর যৌবন ফিরে পায়। বর্ষাকালে আঠারোর আগুন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই কূল ছাপিয়ে। নদীগুলোকে পূর্বানুমান করা যায় না, ভরসা করা যায়না- আধুনিক উনিশের কিশোর কিশোরীর মতো। বৃষ্টিহীন রোদ ঝলমলে ডুয়ার্সের নদীগুলোতে হঠাৎ দেখা যায় জল বাড়তে। নদীর যে সকল অগভীর প্রশস্ত খাত শীতে গ্রীষ্মে শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকতো সেগুলোতে বর্ষার সময় তিরতির করে জল যায়। ডুয়ার্সের মানুষ বিশেষ করে বনদপ্তরের মাহুতরা সেই সকল অগভীর খাতগুলোকে “বাজনা” বলে। এই জায়গাগুলোতে নদীর জল ও বুকের পাথর প্রেমের বাদ্য বাজায়- রিমঝিম ঝুমঝুম… 
মাধুরী তোর্সা নদীর এই রকম একটি অগভীর খাত শাড়ি ভিজিয়ে  পার হয়ে চলে যায় মাঝের শুকনো চরে। সাদা  সিফনের শাড়িতে মাধুরীকে সারসের মতো লাগছে। মাধুরীর পিছনে ছুটছে অপরূপা অংশু ময়ূখ। ওদের আনন্দের ঢেউ যেন কোথায় ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বিকাশের আশঙ্কার পোড়া কাঠ। ওরা এখন তোর্সা নদীর মাঝে। ওদের  দুই দিকে শুধু জল। ওরা যেন চড়ে বসেছে চর নৌকায়। এই নৌকার চলন বোঝা যায়না। শুধু বাজনার ছন্দ বোঝা যায়। সেই ছন্দে ওরা আজ অনেক দিন পর অনেক ঝড়ের পর  ছন্দের ঝংকারে বিভোর হয়ে নাচছে।  বিকাশেরও আজ আনন্দের সীমা নেই। অপূর্বর মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন হয়েছে। শিবু ঘোষ-এর নামকে অপূর্বর মৃত্যুর কেসের এফ আই আরে ঢুকিয়েছে প্রশাসন - যথেষ্ট কারণ থাকার জন্য। মাঝগ্রামের বনে উদ্ধার হওয়া রাইফেল-এর কিনারা হয়েছে। সাত্তার আলি, কানা লালু ও ভুজঙ্গ বিহারির চার বছর জেল হয়েছে। পাঁচটা বাজেয়াপ্ত ট্রাককে সরকারি সম্পত্তি ঘোষণা করেছে উচ্চ আদালত। সেইগুলো নিলামের ব্যবস্থা হচ্ছে।  কিন্তু বিকাশে বহিঃপ্রকাশ নেই। লাল বুকের পেয়ারার মতো। অপরূপা  মাধুরী যেন কামড়ে বের করে দিয়েছে- লাল রঙ। অপরূপা দুই হাত দিয়ে জল ছিটায় বিকাশকে। তাই দেখে অংশু ময়ূখ একে অপরকে জল ছিটাতে থাকে। এই সারস পাখি - মাছ ধর বলে অপরূপা মাধুরীকে ঠেলে ফেলে দেয় জলে। সেই দেখে সবাই খিল খিল করে উঠে। সেই হাসির রোল যেন হারিয়ে দেয় বাজনার শব্দকে। বিকাশ একটি চ্যাপ্টা নুড়ি নিয়ে ছুঁড়ে মারে নদীর কুঁড়ার আপাত স্থির জলে। সেই নুড়ি ব্যাঙের মতো লাফাতে লাফাতে শেষে ডুবে যায় জলে। বিকাশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে নুড়ির ছেড়ে যাওয়া জলতরঙ্গে। পাড় থেকে কানাই চিৎকার করছে-
স্যার বান আসতেছে। নদীর জল বাড়ছে। পাড়ে উঠে আসেন।   
অপরূপা মাধুরী অংশু বিকাশ কেউ কারো কথা শোনে না। বিকাশ খেয়াল করে কানাইকে। যে হাল ধরে সে বোঝে নদীর গভীরতা কত, জলের জোর কত। 
আংশু ময়ূখ তাড়াতাড়ি বাঁধে উঠে যাও। নদীতে জল বাড়ছে। 
কোথায় জল বাবা। এখানে তো বৃষ্টি নেই।
পাড়ে ওঠো, পরে বলছি।  
ময়ূখ অংশু দৌড় দিয়ে পাড়ের ঢালে উঠে যায়। কানাই ওদের হাত ধরে টেনে তোলে। অংশু বলে –
কাকু লাঞ্চ হয়েছে।
হ্যাঁ সেই জন্যে তো ডাকতে এলাম।
স্যার তাড়াতাড়ি পাড়ে উইঠে আসেন। উজানে প্লান্টেশনে কাজে যাইবার সময় একজন লেবার ভাইসা গেছে- নদীর জলে, আর টি তে খবর আসছে। এক্ষনে এই দিকে জল আসি যাবে। তাড়াতাড়ি উইঠা পড়েন।– কানাই চিৎকার করে।   
অপরূপা মাধুরী বিকাশের কোন কথা শোনেনা। ওরা জল নিয়ে খেলা করতে থাকে। নারী আর নদীর এই এক অবস্থা। প্লাবন আসলে কোন বাঁধন মানেনা। অনেক দিন পর এক সাথে বনে এসেছে। তারপরে বনের ভিতরে নির্মল নদীতে জলের ডাক আর বুনো বাতাসের মাদকতা। সাথে যোগ হয়েছে খবরের কাগজ দুরদর্শনে বিকাশের সুনাম প্রকাশের আনন্দ। 
অনেক জল খেলা হয়েছে অপরূপা। উঠে এসো। নদীতে জল বাড়ছে। মাধুরীকে ডাক। 
কোথায় জল। এখানে তো বৃষ্টিই নেই।
তোমরা বুঝতে পারছনা। দেখ বাজনার শব্দ থেমে গেছে। কেমন একটা সোঁ সোঁ শব্দ ভেসে আসছে। বিপদ ঘটে যাবে। উঠে এসো।
উঠে আসবো কী। মাধুরীর অবস্থা দেখ।
মাধুরী নদীর বালু চরের ঢালে দুই হাত বিস্তৃত করে আকাশের দিকে তাকিয়ে শুয়ে আছে। সিফনের সাদা শাড়ি ভিজে লেপটে আছে শরীরে। শরীরের অর্ধেক জলে ভাসছে অর্ধেক বালু চরের ঢালে। জলের তট রেখা ছলাৎ ছলাৎ করে ছুঁয়ে যাচ্ছে নাভি মূল। বিকাশ ভুল করে দ্যাখে সারসের চারণ। এদিকে তো এখন আর সারস আসেনা। আজ কোথা থেকে উড়ে আসে একটি সারস! ভাসছে তোর্সার জলে। অপরূপা চিৎকার করে উঠে- 
বিকাশ… বিকাশ… মাধুরী… 
মাধুরী জলে ভাসছে। বিকাশ দৌড়ে গিয়ে ঝাঁপ দেয় জলে। শুরু হয় জলে স্রোতের সাথে অসম লড়াই। অপরূপা দেখে জলের স্রোতের সাথে লড়াই কত কঠিন। বিকাশ বুঝতে পারে মনের স্রোতের সাথে লড়াই করা কত কঠিন। অপরূপা চিৎকার করে ওঠে বিকাশ… বিকাশ… পাড় থেকে ভেসে আসছে চিৎকারের শব্দ। বাবা… বাবা… কাকু… কাকু… স্যার … স্যার…   
বিকাশ উঠে আসে জল থেকে মাধুরীকে নিয়ে। মাধুরী শুয়ে আছে বিকাশের দুই হাতের পালঙে। দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরেছে বিকাশের গলা। হাত নয় যেন মালা। অপরূপার পায়ের তলার চরের বালি যেন সরে যায় জলের টানে। অপরূপা টাল সামলে দৌড়ে আসে বিকাশের কাছে। যত্নে করে নামিয়ে নেয় মাধুরীকে। ভেসে আসা মাধুরী যেন ভোরের এক সাঁজি নির্মল শিউলি ফুল। গন্ধ ছড়ায়। বিকাশের নাক এখন করোনার মত বন্ধ। কানে শুধু ভেসে আসে তোর্সার সোঁ সোঁ শব্দ। নদীর তীব্র খর স্রোত কেটে নিচ্ছে বালুচর। চর নৌকো ক্রমশ ডিঙি হয়ে উঠছে। মনে হয় মুহূর্তে যেন এই চর ডিঙি মিশে যাবে জলে। বিকাশ বলে-
অপরূপা মাধুরী আমার কোমর জড়িয়ে ধরো জোরে। আমার হাত ফ্রি রাখতে হবে।  
তিন জনে ঝাঁপ দেয় বাজনার জলে। বিকাশ দুই হাতে লড়াই করে চলে স্রোত কেটে দিশা ঠিক রাখতে। কখনো মাধুরীকে তুলে ধরে কখনো অপরূপাকে তুলে ধরে। বিকাশ চিৎকার করে বলতে থকে কেউ আমাকে ছাড়বেনা। ছাড়লে ভেসে যাবে। বিকাশের লড়াইটা বেশী কঠিন মনে হয় মাধুরীর কথা ভেবে। ওতো ভেসে যাচ্ছিলো। ও যদি এখন বিকাশ কে ছেড়ে দেয় – তাহলে তো ভেসে যাবে। ও কি করে অপরূপাকে ছেড়ে মাধুরীকে বাঁচাতে যাবে! পাড় থেকে ময়ূখ অংশুর কান্না ভেসে আসে। বিকাশ সর্ব শক্তি দিয়ে স্রোত কাটে। 
স্যার বাঁচলাম। আপনারা উইঠা আসছেন। মা তোর্সা আমার মানত রাখচ্ছে। -কানাই বাঁধের উপর ষষ্ঠাঙ্গে প্রণাম করে।  
বিকাশ কানাইকে টেনে তুলে নেয়। ফিরে আসে বন বাংলোয়। 
স্যার রবি অফিসে গেছে। আর টি তে খবর আসছে। আপরার নামে একটা চিঠি আছে। আর্জেন্ট। আনতে গেছে। লাঞ্চ রেডি। টেবিলে লাগাবো। 
রেডি কর। আমরা রেডি হয়ে আসছি। 
বনবাংলো সামনের আহোই গাছটা নতুন পাতায় সেজে উঠেছে। পিছনের লিচু গাছটি বৃষ্টির জলে নিত্যদিন স্নান করে এমন ঘন সবুজ হয়ে উঠেছে যে বুকের ভিতর একটা কালো চাপ উঠে আসে। ডুয়ার্সের বন বাংলোর অনেক গুলিতেই এই দুটি গাছ লাগানো আছে। আজ কেন যেন বিকাশ বার বার গাছ দুটিকে দ্যাখে। পুরোনো স্টাফরা বলে এই গাছ দুটি থাকলে ম্যালেরিয়া কম হয়। একটা হাঁড়িচাচা পাখি বিশ্রী ভাবে ডেকে উড়ে এসে বসে আহোই গাছে। বিকাশের মনে কাঁপন আসে। নিজে নিজে ভাবে- আহোই গাছ কি মনের ম্যালেরিয়া সারাতে পারে! গত পরশু তো সদরে গিয়ে বন্য প্রাণ রক্ষার জন্য ফুলের তোড়া সহ সম্বর্ধনা নিয়ে এলাম। আজ আবার কিসের চিঠি। বিশেষ কোন খবর বা বিশেষ কোন ডিউটি! ময়ূখ অংশু বেরিয়ে আসে রেডি হয়ে।   
কাকু বলনা ছয় আঙ্গুলের হাতিটির কী হলো। সত্যি কি তুমি গজমুক্তা দেখছ? তুমি কি সত্যি সত্যি হাওয়া থেকে জল খাও।
তুই এক সাথে এত প্রশ্ন করলে বাবা কোনটা উত্তর দেবে। বাবা আন্টি যে পেন ড্রাইভটা দিয়েছিলো সেটাতে কী ছিলো? 
না না ,কাকু আগে বল রাইফেলটা মাঝগ্রামে কে এনেছিলো, কিভাবে এনে ছিলো আর…  
ময়ূখের প্রশ্ন শেষ হয়না। মাধুরী বেরিয়ে আসে কনক চাঁপার মতো নির্মল হাসি নিয়ে। খোলা চুল লাল পাড় কালো শাড়ি পরে। লাল ব্লাউজ যেন ধরে আছে সূর্য কাঞ্চনজঙ্ঘার বুকে।  
তোরা কি কাকুকে একটু বসতে দিবি না! লাঞ্চ সেরে গল্প শোনা যাবে।  চল লাঞ্চে। অপরূপা… তোর হল?
অপরূপা বেরিয়ে আসে। চুল বেঁধে- একদম রেডি হয়ে। 
একটু দেরি হয়ে গেল, চুলটা ড্রায়ারে শুকিয়ে নিলাম।  
কেন।
দেখ কী খবর আসে। 
না বিকাশ আজ রাতটা থেকে যাও। কত দিন পরে বের হলাম। 
না, আজ যাব না। আজকে থাকবো। সব গল্পগুলো শুনব। - ময়ূখ অংশু বলে ওঠে। 
কাঠের উনোনে রান্না করা ধোঁয়া ধোঁয়া গন্ধের মুখরোচক নদীয়ালী মাছ, দেশি মুরগির মাংস , ঢেঁকির শাক ইত্যাদি সহ আনন্দ আরামে লাঞ্চ সারে সবাই। বিকাশে জন্য কানাইয়ের ঢেঁকি শাক হল স্পেশাল। বিকাশ লাঞ্চ সেরে লম্বা নিঃশ্বাসে বুনো গন্ধ বুকে নেয়। 
স্যার রবিদা এসে গেছে। ডাকব?
হ্যাঁ পাঠাও।  
খাম খুলে বিকাশ জাম ফুলের মতো হাসে। 
অপরূপা তুমি ঠিক ভেবেছ। আজ আর থাকব না। ভাবছি একবার এখান থেকে বেরিয়ে সদরে যাব। 
কেন কী হয়েছে।
আমার  আবার বদলি হয়েছে। পাবলিক ইন্টারেষ্টে। 
তাহলে আমাদের গল্প শোনার কী হবে, কাকু।
মাধুরী ময়ূখ আংশুকে কোলে টেনে নিয়ে বলে 
কাকুকে বল একটা উপন্যাস লিখতে। বড় হয়ে পড়বে। 
বশীভূত ময়না পাখির মতো ময়ূখ অংশু কেমন চুপ হয়ে যায়। আহোই গাছের ডালে বসে ডেকে চলেছে একটি তিল ঘুঘু। ঘর ঘর ঘর ঘর… করে। ঘুঘুর ডাক যেন নীরবতা ঘন করে দেয় মরা দুপুরের। বিকাশের মনের ভিতরে গল্প নয়, কত  সত্য ঘটনা গমগম করতে থাকে। ভাবে - ঘটনাগুলো বইয়ের আকারে থাকলে ভালোই হবে। অংশু ময়ূখরা বড় হয়ে পড়ে বুঝতে পারবে বনের কথা। বিকাশ  নীরবতা ভেঙ্গে বলে-   
লিখব। নিশ্চয় লিখব। কী নাম দিই বল তো।
মাধুরী তুই বল। 
আমি! তাহলে বলি বিকাশের প্রথম উপন্যাসের নাম হোক… “ শালসিঁড়ি”

[তাহলে “শালসিঁড়ি” আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায় এখন বিকাশের…]

আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴
software development company in siliguri,best
                            software development company in siliguri,no 1 software
                            development company in siliguri,website designing company
                            in Siliguri, website designing in Siliguri, website design
                            in Siliguri website design company in Siliguri, web
                            development company in Siliguri