সহজ উঠোন

রেজিস্টার / লগইন করুন।

সব কিছু পড়তে, দেখতে অথবা শুনতে লগইন করুন।

Sahaj Uthon
103.চায়ের নিলাম ব্যবস্থার বিধি সরলীকরণ হোক/গৌতম চক্রবর্তী

103.চায়ের নিলাম ব্যবস্থার বিধি সরলীকরণ হোক/গৌতম চক্রবর্তী

102.এখনো মনে দোলা দেয় চা বলয়ের ফুটবল খেলা/গৌতম চক্রবর্তী

102.এখনো মনে দোলা দেয় চা বলয়ের ফুটবল খেলা/গৌতম চক্রবর্তী

101.বাগিচার প্রান্তিক জনপদগুলির সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা/গৌতম চক্রবর্তী

101.বাগিচার প্রান্তিক জনপদগুলির সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা/গৌতম চক্রবর্তী

100.আদিবাসী জনজীবনের সংস্কৃতিচর্চা (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

100.আদিবাসী জনজীবনের সংস্কৃতিচর্চা (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

99.আদিবাসী জনজীবনের সংস্কৃতি চর্চা (প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

99.আদিবাসী জনজীবনের সংস্কৃতি চর্চা (প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

98.চা বাগিচাতে গ্রুপ হাসপাতাল একান্তই জরুরি/গৌতম চক্রবর্তী

98.চা বাগিচাতে গ্রুপ হাসপাতাল একান্তই জরুরি/গৌতম চক্রবর্তী

97.উত্তরের বাগিচাগুলিতে বিকল্প জ্বালানির স্বপ্ন দেখুক চা শিল্প /গৌতম চক্রবর্তী

97.উত্তরের বাগিচাগুলিতে বিকল্প জ্বালানির স্বপ্ন দেখুক চা শিল্প /গৌতম চক্রবর্তী

96.সমঝোতার শর্তে বোনাস চুক্তি চা বাগিচার চিরায়ত খেলা/গৌতম চক্রবর্তী

96.সমঝোতার শর্তে বোনাস চুক্তি চা বাগিচার চিরায়ত খেলা/গৌতম চক্রবর্তী

95.করম পরবের আঙিনায়/গৌতম চক্রবর্তী

95.করম পরবের আঙিনায়/গৌতম চক্রবর্তী

94.জাস্টিসের দাবিতে উত্তরের বাগিচাতেও চলছে লড়াই/গৌতম চক্রবর্তী

94.জাস্টিসের দাবিতে উত্তরের বাগিচাতেও চলছে লড়াই/গৌতম চক্রবর্তী

93.জাস্টিসের দাবিতে উত্তরের বাগিচাতেও চলছে লড়াই/গৌতম চক্রবর্তী

93.জাস্টিসের দাবিতে উত্তরের বাগিচাতেও চলছে লড়াই/গৌতম চক্রবর্তী

92.করোনাকালের লকডাউনে ডুয়ার্সের চা বাগিচা-২/গৌতম চক্রবর্তী

92.করোনাকালের লকডাউনে ডুয়ার্সের চা বাগিচা-২/গৌতম চক্রবর্তী

91.করোনাকালের লকডাউনে ডুয়ার্সের চা বাগিচা-১/গৌতম চক্রবর্তী

91.করোনাকালের লকডাউনে ডুয়ার্সের চা বাগিচা-১/গৌতম চক্রবর্তী

90.বাগিচার ডিজিট্যাল ব্যাঙ্কিং - ফিরে দেখা  ( তৃতীয় পর্ব/গৌতম চক্রবর্তী

90.বাগিচার ডিজিট্যাল ব্যাঙ্কিং - ফিরে দেখা ( তৃতীয় পর্ব/গৌতম চক্রবর্তী

89. বাগিচার ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ফিরে দেখা (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

89. বাগিচার ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ফিরে দেখা (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

88.চা বাগিচার ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং - ফিরে দেখা  (প্রথম পর্ব) /গৌতম চক্রবর্তী

88.চা বাগিচার ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং - ফিরে দেখা (প্রথম পর্ব) /গৌতম চক্রবর্তী

87.দেবপাড়া টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

87.দেবপাড়া টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

86.বিন্নাগুড়ি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

86.বিন্নাগুড়ি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

85.লখীপাড়া টি গার্ডেন (দ্বিতীয় পর্ব) /গৌতম চক্রবর্তী

85.লখীপাড়া টি গার্ডেন (দ্বিতীয় পর্ব) /গৌতম চক্রবর্তী

84.লখীপাড়া চা বাগিচা (প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

84.লখীপাড়া চা বাগিচা (প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

83.ইকো পর্যটনের সন্ধানে রামশাই টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

83.ইকো পর্যটনের সন্ধানে রামশাই টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

82.ইকো পর্যটনের সন্ধানে রামশাই টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

82.ইকো পর্যটনের সন্ধানে রামশাই টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

81.তরাই ও ডুয়ার্সে চা পর্যটন বিকশিত হোক/গৌতম চক্রবর্তী

81.তরাই ও ডুয়ার্সে চা পর্যটন বিকশিত হোক/গৌতম চক্রবর্তী

80.ভূমি আইন মেনেই চা শ্রমিকদের পাট্টা প্রদান হোক (তৃতীয় তথা শেষ পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

80.ভূমি আইন মেনেই চা শ্রমিকদের পাট্টা প্রদান হোক (তৃতীয় তথা শেষ পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

79.উত্তরের বাগিচায় পাট্টা এবং চা সুন্দরী প্রকল্প রূপায়নে যথাযথ বিধি  মানা প্রয়োজন/গৌতম চক্রবর্তী

79.উত্তরের বাগিচায় পাট্টা এবং চা সুন্দরী প্রকল্প রূপায়নে যথাযথ বিধি মানা প্রয়োজন/গৌতম চক্রবর্তী

78.স্টাফ ও সাব-স্টাফদের বেতন জট আজও কাটল না-২/গৌতম চক্রবর্তী

78.স্টাফ ও সাব-স্টাফদের বেতন জট আজও কাটল না-২/গৌতম চক্রবর্তী

77.স্টাফ ও সাব-স্টাফদের বেতন জট আজও কাটল না/গৌতম চক্রবর্তী

77.স্টাফ ও সাব-স্টাফদের বেতন জট আজও কাটল না/গৌতম চক্রবর্তী

76.চা বাগিচা (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

76.চা বাগিচা (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

75.তোতাপাড়া চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

75.তোতাপাড়া চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

74.হলদিবাড়ি  টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

74.হলদিবাড়ি টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

73.তোতাপাড়া টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

73.তোতাপাড়া টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

72.কারবালা টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

72.কারবালা টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

71.আমবাড়ি টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

71.আমবাড়ি টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

70.কাঁঠালগুড়ি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

70.কাঁঠালগুড়ি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

69.মোগলকাটা চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

69.মোগলকাটা চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

68.রিয়াবাড়ি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

68.রিয়াবাড়ি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

67.নিউ ডুয়ার্স চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

67.নিউ ডুয়ার্স চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

66.পলাশবাড়ি টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

66.পলাশবাড়ি টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

65.চুনাভাটি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

65.চুনাভাটি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

64.চামুর্চি চা বাগিচা (প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

64.চামুর্চি চা বাগিচা (প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

63.বানারহাট চা বাগিচা ( দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

63.বানারহাট চা বাগিচা ( দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

62.বানারহাট চা বাগিচা ( প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

62.বানারহাট চা বাগিচা ( প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

61.গ্রাসমোড় চা বাগিচা ( দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

61.গ্রাসমোড় চা বাগিচা ( দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

60.চ্যাংমারী চা বাগান (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

60.চ্যাংমারী চা বাগান (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

59.চ্যাংমারী চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

59.চ্যাংমারী চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

58.ধরণীপুর সুরেন্দ্রনগর (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

58.ধরণীপুর সুরেন্দ্রনগর (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

57.করম পরবের আঙিনায়/গৌতম চক্রবর্তী

57.করম পরবের আঙিনায়/গৌতম চক্রবর্তী

56.ডায়না টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

56.ডায়না টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

55.রেডব্যাঙ্ক চা বাগিচা ( দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

55.রেডব্যাঙ্ক চা বাগিচা ( দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

54.রেডব্যাংক টি গার্ডেন (প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

54.রেডব্যাংক টি গার্ডেন (প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

53.ক্যারন টি গার্ডেন ( দ্বিতীয় পর্ব )/গৌতম চক্রবর্তী

53.ক্যারন টি গার্ডেন ( দ্বিতীয় পর্ব )/গৌতম চক্রবর্তী

52.ক্যারণ টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

52.ক্যারণ টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

51.লুকসান টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

51.লুকসান টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

50.গ্রাসমোড় চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

50.গ্রাসমোড় চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

49.ঘাটিয়া টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

49.ঘাটিয়া টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

48.হোপ টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

48.হোপ টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

47.হোপ টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

47.হোপ টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

46.হিলা টি এস্টেট (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

46.হিলা টি এস্টেট (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

45.হিলা চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

45.হিলা চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

44.কুর্তি চা বাগিচা : সবুজের গালিচায় গেরুয়ার রং/গৌতম চক্রবর্তী

44.কুর্তি চা বাগিচা : সবুজের গালিচায় গেরুয়ার রং/গৌতম চক্রবর্তী

43.সাইলি টি গার্ডেন (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

43.সাইলি টি গার্ডেন (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

42.নয়া সাইলি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

42.নয়া সাইলি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

41.কুর্তি টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

41.কুর্তি টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

40.ভগতপুর চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

40.ভগতপুর চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

39.নাগরাকাটা চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

39.নাগরাকাটা চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

38.বামনডাঙ্গা তন্ডু চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

38.বামনডাঙ্গা তন্ডু চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

37.বাতাবাড়ি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

37.বাতাবাড়ি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

36.বড়দীঘি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

36.বড়দীঘি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

35.কিলকট এবং নাগেশ্বরী টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

35.কিলকট এবং নাগেশ্বরী টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

34.চালসা চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

34.চালসা চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

33.সামসিং চা বাগান ( দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

33.সামসিং চা বাগান ( দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

32.সামসিং চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

32.সামসিং চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

31.ইনডং চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

31.ইনডং চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

30.চালৌনি চা বাগান /গৌতম চক্রবর্তী

30.চালৌনি চা বাগান /গৌতম চক্রবর্তী

29.মেটেলি টি গার্ডেন

29.মেটেলি টি গার্ডেন

28.আইভিল চা বাগান

28.আইভিল চা বাগান

27.এঙ্গো চা বাগিচা

27.এঙ্গো চা বাগিচা

26.নেপুচাপুর চা বাগান

26.নেপুচাপুর চা বাগান

25.জুরান্তী চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

25.জুরান্তী চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

24.সোনগাছি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

24.সোনগাছি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

23.রাজা চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

23.রাজা চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

22.তুনবাড়ি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

22.তুনবাড়ি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

21.রাঙামাটি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

21.রাঙামাটি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

20.মীনগ্লাস চা বাগিচা-১/গৌতম চক্রবর্তী

20.মীনগ্লাস চা বাগিচা-১/গৌতম চক্রবর্তী

19.সোনালি চা বাগিচা /গৌতম চক্রবর্তী

19.সোনালি চা বাগিচা /গৌতম চক্রবর্তী

18.পাহাড়ের প্রান্তদেশে সবুজ গালিচায় ঘেরা এলেনবাড়ি/গৌতম চক্রবর্তী

18.পাহাড়ের প্রান্তদেশে সবুজ গালিচায় ঘেরা এলেনবাড়ি/গৌতম চক্রবর্তী

17.নেওড়ানদী চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

17.নেওড়ানদী চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

16.নিদামঝোরা টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

16.নিদামঝোরা টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

15.সাইলি চা বাগিচার সবুজ সমুদ্রে/গৌতম চক্রবর্তী

15.সাইলি চা বাগিচার সবুজ সমুদ্রে/গৌতম চক্রবর্তী

14.ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

14.ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

13.কুমলাই চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

13.কুমলাই চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

12.শতবর্ষ অতিক্রান্ত  ওয়াশাবাড়ি চা-বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

12.শতবর্ষ অতিক্রান্ত ওয়াশাবাড়ি চা-বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

11.আনন্দপুর চা-বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

11.আনন্দপুর চা-বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

10.বেতগুড়ি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

10.বেতগুড়ি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

9.রাণীচেরা চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

9.রাণীচেরা চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

8.রায়পুর চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

8.রায়পুর চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

7.করলাভ্যালি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

7.করলাভ্যালি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

6.মানাবাড়ি টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

6.মানাবাড়ি টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

5.পাথরঝোরা চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

5.পাথরঝোরা চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

4.গুডরিকসের লিজ রিভার চা বাগানে/গৌতম চক্রবর্তী

4.গুডরিকসের লিজ রিভার চা বাগানে/গৌতম চক্রবর্তী

3.রেডব্যাঙ্ক চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

3.রেডব্যাঙ্ক চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

2.সরস্বতীপুর চা বাগান-২/গৌতম চক্রবর্তী

2.সরস্বতীপুর চা বাগান-২/গৌতম চক্রবর্তী

1.সরস্বতীপুর চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

1.সরস্বতীপুর চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

18-November,2024 - Monday ✍️ By- গৌতম চক্রবর্তী 271

আদিবাসী জনজীবনের সংস্কৃতি চর্চা (প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

আদিবাসী জনজীবনের সংস্কৃতি চর্চা (প্রথম পর্ব)
গৌতম চক্রবর্তী

বছর দুয়েক আগেকার কথা। গিয়েছিলাম ধুমচিপাড়াতে। আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাটের ধুমচিপাড়া চা বাগানে পাট্টার ব্যাপারে কিছু তথ্য যোগার করতে গিয়েছিলাম। সেখানেই পরিচয় হলো প্রতীকের সঙ্গে। আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাটের ধুমচিপাড়া চা বাগানের বাসিন্দা তথা শিলিগুড়ি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র প্রতীক কামি। প্রতীক কামির বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক৷ চা বাগানের বাসিন্দা হওয়ায় শ্রমিকদের জীবন সংগ্রামকে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেছেন প্রতীক। ২০১৫ সাল থেকে একাধিকবার বন্ধ হয়েছে ও খুলেছে ধুমচিপাড়া চা বাগানটি। ধুমচিপাড়া চা বাগানটি বন্ধ হওয়ার পর অনেকেই পাড়ি দেন ভিনরাজ্যে। ডুয়ার্সের বীরপাড়া চা বাগানটিও খোলা বন্ধের সাপলুডো খেলে প্রতিনিয়ত। বীরপাড়া চা বাগানের অনেক শ্রমিক ভিনরাজ্যে রয়েছেন। তাছাড়া ডুয়ার্সের চা বাগিচাগুলির কত শ্রমিক যে পরিযায়ী তার তথ্য বোধহয় প্রশাসনের কাছেও নেই। সেলুলয়েডে বন্ধ চা বাগান শ্রমিকদের দুর্দশার ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন প্রতীক। গেলাম প্রতীকের বাড়িতে। দেখলাম ছবিটি। সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন, পরিচালনা ও ক্যামেরা নির্দেশনার কাজ করেছেন বীরপাড়ার দুই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কৃষ্ণ ছেত্রী ও আমির সুব্বা। চা শ্রমিকদের জীবনের চালচিত্র তুলে ধরতেই সিনেমাটি করেছেন তারা। মোবাইল ক্যামেরা এবং ডিএসএলআর ব্যবহার করে শুটিং হয়েছে ‘মেরে অন্তিম পত্র’ নামে সিনেমাটির। একসময় ধুমচিপাড়া চা বাগানটি বন্ধ ছিল। সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে একটি কাল্পনিক শ্রমিক পরিবারের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে সিনেমায়। ৩০ মিনিটের ছবিতে ধরা পড়েছে চা বাগান বন্ধ হওয়ার পর শ্রমিক বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে পাড়ি দেয় ভিনরাজ্যে। বাবা-মা ছেলের ফেরার আশায় প্রতীক্ষা করেন মাসের পর মাস। কিন্তু ছেলে আর ফেরে না। ছেলে না ফেরায় ঋণে জর্জরিত হয়ে বাবাও একসময় পাড়ি দেন ভিনরাজ্যে। কিন্তু কিছুদিন পরই শুরু হয় লকডাউন। ভিনরাজ্য থেকে ঘরে ফিরতে সরকারি সহযোগিতা মেলেনি৷ ফলে রেললাইন ধরে হেঁটে বাড়ি ফেরেন তিনি৷ ততদিনে চা বাগানটি খুলে গিয়েছে। কিন্তু কাজ আর মেলেনি। একসময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর মনের সব কথা স্ত্রীর উদ্দেশ্যে লিখে রেখে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি৷ নেপালি ভাষায় তৈরি একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের সিনেমায় উত্তরবঙ্গের বন্ধ, অচল চা বাগানের শ্রমিকদের এমন দুর্দশার ছবি এই প্রথম।

চা-বাগানের সেই আরণ্যক জীবন ও সঙ্গীত এখনও প্রায় অক্ষত চা-বাগানের আদিবাসী সাদরী ভাষী মানুষের মধ্যে। সেই পঁচিশ বছর আগেও যেমন মাদলের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেছে, আজও তেমনি মাদলের তালে তালে যুবক যুবতী কোমরে কোমর জড়িয়ে সহজ সরল গান ধরে। কালো মেয়ে, কালো ছেলে, ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক। পরনে অতি সাধারণ শাড়ি, ইদানীং ছেলেদের হাফ প্যান্ট বা ফুলপ্যান্ট। আদিবাসীদের মধ্যেও উগ্র আধুনিকতা এসেছে। সাজ পোশাক বদল হচ্ছে, ভিডিও সিনেমার ঝোঁক আছে। কিন্তু তা ততটা আদিবাসীদের উৎসাহে নয়। কিছু অ-সাদরী মানুষ ব্যবসায়িক কারণে কিছু পয়সা কামানোর জন্যে এদের উৎসাহিত করে এ পথে টেনে নামাচ্ছে। কিছুদিন আগে কালচিনি এলাকায় একদল অ-সাদরী মানুষ নিজের টাকা খরচ করে আদিবাসী/সাদরী ভাষার সিনেমা করলেন। মনে হচ্ছিল তিনি যেন আদিবাসী লোক সংস্কৃতির একজন মহান প্রেমিক। মূলতঃ তিনি সাদরী ভাষায় কথাই বলতে পারেন না। আদিবাসী লোক সংস্কৃতি সম্বন্ধে তার কোন ধারণাই নেই। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ যাবৎ চা-বাগান এলাকায় সে কি উৎসাহ। কথায় কথায় “সুটিং দেখেক আসি,” ‘ভয়ংকর একটিং করেল’ ইত্যাদি কথাবার্তা। পরে সেই মহাজন লোকসংস্কৃতি প্রেমিক বেশ কিছু টাকা হাতিয়ে হাওয়া হয়ে গেলেন। আদিবাসীরা কিন্তু ওদের সংস্কৃতি হারাতে চায় না। চা-বাগানের জীবন বলতে চোখে ভাসে চা-বাগানের চিরকালের শোষিত শ্রমিকের সংগ্রামময় জীবন এবং সেই সংগ্রামের গান। যেখানে আছেন লাল শুকরা ওঁরাও। তাছাড়া বরষা ওঁরাও, মাঁদরা ওরাও কার নাম বলব কার নাম বলব না। তখন চা-বাগানে সংগ্রামের দিন। এখন বিনম্র আবেদনের দিন চলছে। বর্তমানে চা-বাগানে শ্রমিকরা কেমন যেন মনমরা হয়ে পড়েছে। তাদের মনের মধ্যে নেই আনন্দের সেই পুরনো বাতাবরণ। আজ চা-বাগানের শ্রমিকরা কাজের অভাবে দু-মুঠো খাবার জোগাড় করতে না পেরে মরতে বসেছে। এখন ওদের চাওয়া শুধু এক মুঠো ভাত। এমন অবস্থাতে পড়ে তাদের সংস্কৃতি আজ দিনকে দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ চা-শিল্প। কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী এই চা-শিল্প আজ খুবই সংকটের মধ্যে আছে। দিন-প্রতিদিন চা-বাগানগুলি এক এক করে বন্ধ হচ্ছে। সেই সাওগাঁও বা সোনালী বাগানের আমল থেকে আজ অবধি চা-বাগান বন্ধের কোনো সুরাহা কেউ করতে পারে নি। না বাম না ডান – কেউ না।


চা বাগিচার উপজাতি জনসমাজের সংস্কৃতির ধারা পাল্টাচ্ছে শিক্ষিত যুবসমাজের গঠনমূলক চিন্তাভাবনার সৌজন্যে। আসলে চা বাগিচাতে সব দুঃখের মধ্যেও আসে বোনাস ঋতু। সিনেমা, সার্কাস, মেলা বসে দুর্গাপূজা, কালীপূজার সময়। পাশাপাশি করম পরব আর জিতিয়া পরবের উৎসবে নিষাদ রক্তে প্লাবন জাগে। মাদল, নাকড়া আর যুখনৃত্যের তালে কেঁপে ওঠে চা-বাগান জনপদ। বড় সুখের সেই কটা দিন। আর তখুনি কিনা পাওয়া যাবে কোম্পানি থেকে বোনাসের টাকা। সারা বছরের ঋণ শোধ করে, ইউনিয়নের চাঁদা মিটিয়েও হাতে থাকে বেশ কটা টাকা। তাই নিয়ে কোম্পানির গাড়ি চড়ে গঞ্জের মেলায় যাও। দু’হাতে কেনাকাটি কর। সার্কাস দেখ, সিনেমা-পুতুল নাচ দেখ। নাগর দোলায়, টয়ট্রেনে চড়। চিড়িয়াখানায় যাও। আজব সব তামাশা দেখ। ইচ্ছে হ’ল তো ডোব বা হাঁড়িয়া খেয়ে দলের সঙ্গে নেচে নেচে গা গরম করো। নাচের ব্যবস্থাও আছে মেলায়। সাজসজ্জা, প্রসাধন, রঙ-বেরঙ-এর চুড়ি, কাপড় কেন ফুর্তিতে। ভালো মদ খাও। তারপর গাঁটের কড়ি শেষ হলে ফের ফকির হয়ে যাও। এই নিয়েই ছচি ফুলমণি মাইলীদের বারমাস্যা। অযত্নে বিকশিত হয়ে ওঠা বুনো ফুলের দল এরা। এদের সকাল নেই, সন্ধ্যে নেই। চাঁদ নেই, সূর্য নেই। কেন ওরা ফুটল তা জানে না। কেন ঝরে যায় তাও জানে না। সকাল বেলা সুগন্ধী বেড-টি ঠোঁটে নিয়ে প্রতিদিন ঘুম ভাঙে যাদের, সেই সব শহুরে অভিজাতরা, তারাও কি জানে এইসব ঝরা বকুলের অশ্রুমালা বুকে নিয়েই চা-বাগানে ভোর হয়, রাত নামে! উত্তরবাংলার ডুয়ার্স অঞ্চলে গারো, রাভা, মেচ, রাজবংশী সহ স্থানীয় কৃষিজীবী মানুষ চা-বাগিচায় শ্রমিক হিসেবে আসেনি। ফলে পাহাড়ি এলাকা থেকে নেপালি শ্রমিকরা এসেছিল। আবার আড়কাঠির সাহায্যে ছোটনাগপুর-সাঁওতাল পরগণা ও মধ্যপ্রদেশ থেকে শ্রমিক হিসেবে আনা হয়েছিল আদিবাসী জনজাতির মানুষকে। ইমিগ্রেশন লেবর অ্যাক্টের ফাঁসে তাদের পালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। সাওতাল, ওরাঁও, মুণ্ডা, নাগেশিয়া সম্প্রদায়ের শ্রমিকেরা এসেছিল। ব্যবসার সন্ধানে ব্যাপক সংখ্যায় অবাঙালি ব্যবসায়ী, ঠিকাদার আর মহাজনরাও আসে। যাঁরা নিজস্ব জমিজমা, এলাকা ছেড়ে এসে এই নতুন উপনিবেশে বসবাস করেছে তারা তাঁদের পুরনো শিল্পকলা, সঙ্গীত, জীবনচর্যা একবারে ভুলতে পারেনি। তাই এখনও শোনা যায় সেই সব পুরনো গান। তা এখন বৃহত্তর চা-শ্রমিকদের গান হয়ে গেছে।

‘কাঁহাকের কুলি পানি কাঁহাকের বাবুভৈয়া / লোহারদাগা ডিপুর কুলি চালান করে / জঙ্গল কাঁইটকে মাটি কাঁইটকে বৈঠলেক ঘানি / লোহারদাগা ডিপুরে কুলি চালান করে। (সূত্র : সৈফুদ্দিন, বাগিচা-শ্রমিকদের নয়া ইতিহাস রচনার প্রবহমানতা)। অর্থাৎ কোথাকার মানুষ কোথায় এল। কোথাকার বাবুভাইরা লোহারদাগা (রাঁচি) ডিপো থেকে কুলি চালান করল আর জঙ্গল কেটে, মাটি কেটে বসে গেল ঘানি (চা-পেষাই যন্ত্র)। গত শতকের পাঁচের দশকের আগেই (১৯৪৬) গণনাট্য সংগঠনের অন্যতম নেতা বিজয় রায় গান করেছেন- হামারা দেশমে আকে / হামারা পাসা থাকে / আঁখ না দিখানা / হো না দিখানা। (সূত্র- পরিতোষ দত্ত)। আড়কাঠিরা শ্রমিকদের চা-বাগিচায় যাওয়ার জন্য লোভ দেখিয়ে ভুলিয়ে-ভালিয়ে এনে ফেলত ডুয়ার্সে বা অসমে। সুখবিলাস বর্মা শুনিয়েছেন একটি গান— ‘আম ধরে ঝোপা ঝোপা / তেইতুল ধরে বেঁকা গ / পূরব দেশে গিয়াছিলাম / রাঢ়ি হাতে শাঁখা গ।’ এই গানগুলির ভাষা সাধারণত ‘সাদরি’। ‘সাদরি’ উপভাষাটি বাংলা-হিন্দির অপভ্রংশ এবং আদিবাসী ভাষার সমন্বয়ে উদ্ভুত এক উপভাষা। বিভিন্ন ভাষাভাষী ও সংস্কৃতির সমন্বয় সাধন ঘটেছে চা-বাগানে ব্যবহৃত কথ্য ভাষায় এবং এখানকার সংস্কৃতিতে। লোককবি, গায়ক এবং সুরকার লাল শুকরা বিশ শতকের চারের দশকের এক সংগ্রামী আন্দোলনের নায়ক। তিনি গেয়েছেন— 'হাওয়া চল সর সর লাল ঝাণ্ডা উড়ে ফর ফর / চল কিসান চল মজদুর / নিকালিনা যাব কিরে / লড়াইকে ময়দান।' শ্রমজীবী, অ-শ্রমজীবী সমস্ত মানুষের বিনোদনের অন্যতম অঙ্গ হ’ল সঙ্গীত। সঙ্গীতের ভাষা ও সুর ছবির ভাষার চেয়ে আলাদা হলেও উভয়ই মানুষের জীবনকে মধুময় করে তোলে। নেপালীদের ডংফু নাচ ও গান সবিশেষ পরিচিত। কার্শিয়ং এর মকাইবাড়ি চা বাগানে গরমের ছুটিতে যখন যেতাম তখন চা বাগানে দেখেছি সারাদিনের কর্মক্লান্ত নেপালী চা শ্রমিকের ঘরের উঠোনে কী প্রাণভরা ঝাউরে আর ডংফু নাচের আসর। লোকসঙ্গীতের ক্ষেত্রে নেপালী লোকসঙ্গীত যে কত সমৃদ্ধ তা ২/১ টা গানে বোঝানো যাবে না। নেপালী লোক সংগীত সোনার খনি। এককালে যেখানে নেপালী শ্রমিকের ঘরে ঝাউরে নাচ, ডংফু নাচ দেখেছি সেখানে ডিজেতে চটুল হিন্দী গানের সুরে নেপালী ছেলেমেয়েরা সারারাত ধরে নাচছে পপ ড্যান্স, ব্রেক ড্যান্স। দুঃখ হয়, তবে দুঃখ করে লাভ নেই।

একসময়ে বন্ধ চা-বাগানে প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত ছিল। এখন তা না হলেও বহু চা-শ্রমিক চা-বাগান ছেড়ে ভিন্ন রাজ্যে চলে যাচ্ছে আপন পরিবার-পরিজনকে বাঁচাবার তাগিদে। শুধু অনাহারে যাতে আর তাদের না থাকতে হয় কেবলমাত্র এই জন্যই। শুধু ভিন্ন রাজ্য নয়, তারা পাড়ি দিচ্ছে ভুটান, আরব, দুবাই, ইরান-ইরাকের মতো দেশে। সমস্ত চা বাগানের অবস্থা একই। মালিকরা জেনে শুনে অবনতি ঘটাচ্ছে। আজ প্রত্যেক দিন চা-বলয় থেকে অসংখ্য শিশু-শ্রমিক, ছেলে মেয়েদের কাজের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করা তো একটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ফাঁদ থেকে অনেক শিক্ষিত যুবক-যুবতিরাও রেহাই পায় নি। তাদেরকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ভিনদেশে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে এটা উত্তরবঙ্গের একটি জ্বলন্ত সমস্যা। বন্ধ চা-বাগানে তো দুঃখের অন্ত নেই। চা-বাগানগুলি দিনকে দিন শ্মশানে পরিনত হচ্ছে। ডুয়ার্সে যে বাগানগুলি সবুজে সবুজ ছিল আজ তা বেনিয়া চা মালিক এবং ফালতু কিছু ট্রেড-ইউনিয়ন নেতাদের পদচারণায় কর্দমাক্ত। চা শ্রমিকদের ওপর মালিকপক্ষ নামিয়ে এনেছে এক লাগামহীন আক্রমণ। প্রশাসন নীরব দর্শক। সরকারকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বেআইনীভাবে চা-বাগানগুলির মালিকরা পি এফ, গ্যাচুইটি ও জীবনবীমার লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে বহাল তবিয়তে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই রক্তচোষা চা-মালিকদের আজও কোনো ন্যায়বিচার হয় নি। অদূর ভবিষ্যতে চা-মালিকদের আদৌ কোনো ন্যায়বিচার হবে কিনা এই আশংকা থেকেই যায়৷ ডুয়ার্সে আর চা-বাগানগুলিতে চা-গাছগুলির দীর্ঘতর ছায়া পড়ে না। ছোটো ছোটো টিলাগুলি শুষ্ক, সবুজ নয়। শোনা যায় না আজ রং-বেরঙের পাখির আওয়াজ, তাদের স্বপ্নময় কলরব। শ্রমিকদের আর্তনাদে কোথায় যেন হারিয়ে গেছে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি-ঝরনার মিষ্টি কলতান। অথচ এই চা-শ্রমিকরা আজও শান্ত, নির্বিরোধী এবং নিরন্ন। তারা বুক দিয়ে আগলে রেখেছে অবহেলা ভরে ফেলে যাওয়া চা-মালিকদের সম্পত্তি। চা-শ্রমিকরা নিজের সন্তানের মতো চা-বাগানকে বাঁচিয়ে রেখেছে। অথচ অপদার্থ, দুর্নীতিগ্রস্ত, অপরিনামদর্শী চা-মালিকদের নানাপ্রকার অজুহাতে চা-শ্রমিকদের জীবন আজ বিপন্ন। 


আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴
software development company in siliguri,best
                            software development company in siliguri,no 1 software
                            development company in siliguri,website designing company
                            in Siliguri, website designing in Siliguri, website design
                            in Siliguri website design company in Siliguri, web
                            development company in Siliguri