সহজ উঠোন

রেজিস্টার / লগইন করুন।

সব কিছু পড়তে, দেখতে অথবা শুনতে লগইন করুন।

Sahaj Uthon
23.বিবর্তনের পথে শহর দার্জিলিং-২৩/রূপন সরকার

23.বিবর্তনের পথে শহর দার্জিলিং-২৩/রূপন সরকার

22.বিবর্তনের পথে শহর দার্জিলিং-২২/রূপন সরকার

22.বিবর্তনের পথে শহর দার্জিলিং-২২/রূপন সরকার

21.বিবর্তনের পথে শহর দার্জিলিং-২১/রূপন সরকার

21.বিবর্তনের পথে শহর দার্জিলিং-২১/রূপন সরকার

20.বিবর্তনের পথে শহর দার্জিলিং-২০/রূপন সরকার

20.বিবর্তনের পথে শহর দার্জিলিং-২০/রূপন সরকার

19.বিবর্তনের পথে শহর দার্জিলিং-১৯/রূপন সরকার

19.বিবর্তনের পথে শহর দার্জিলিং-১৯/রূপন সরকার

18.বিবর্তনের পথে শহর দার্জিলিং-১৮/রূপন সরকার

18.বিবর্তনের পথে শহর দার্জিলিং-১৮/রূপন সরকার

30-November,2023 - Thursday ✍️ By- রূপন সরকার 986

বিবর্তনের পথে শহর দার্জিলিং-৯/ড. রূপন সরকার

বিবর্তনের পথে শহর দার্জিলিং 
পর্ব-৯
ড.  রূপন সরকার 

সড়ক পথে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংয়ের সংযোগ শহর দার্জিলিংয়ের নগরায়ণে নতুন মাত্রা দান করে। তবে রাস্তা তৈরি হলেও যাত্রাপথের ক্লান্তি, সমসাময়িক সময়ে খুব একটা কম ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই সড়ক পথের পাশাপাশি রেলপথে পাহাড়-সমতল এক করার পরিকল্পনা গৃহীত হয়। এই গুরুদায়িত্ব এসে পরে এশলে ইডেন এবং স্যার ফ্রাকলিন প্রীসটেজ সহ দার্জিলিং - হিমালয়ান রেলপথের ওপর। ১৮৭৯ সালের শেষদিক থেকে এই পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য কাজ শুরু হয়। জামালপুরে অবস্থিত ইষ্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে ওয়ার্কশপ থেকে রেলের ইঞ্জিন তৈরি করা হয়। ১৯৮০ সাল নাগাদ তিনধরিয়া পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ সমাপ্ত হয়ে যায়। এই বছরের শেষের দিকে কার্শিয়ং পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। ১৮৮১ সালের জুলাইয়ে দার্জিলিং টার্মিনাল পর্যন্ত লাইনের অগ্রগতি ঘটে। তখন থেকেই এই দুফুট চওড়া রেল লাইনটির নাম দেওয়া হয় দার্জিলিং - হিমালয়ান রেলওয়ে। পাহাড়ী আঁকাবাঁকা পথকে যতটা সম্ভব সোজা করার প্রয়োজনে দার্জিলিং-হিমালয়ান রেল লাইনটি বার বার হিলকার্ট রোডকে এপাশ, ওপাশ করে জড়িয়ে এগিয়ে গিয়েছে। এই রেলপথের সূচনার ফলে পাহাড়, সমতলের যাত্রা দ্রুত এবং আরামদায়ক হয়।

তবে দার্জিলিংয়ের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা কোন কাজেই আসতো না, যদি না কোলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপিত হতো। এই দিক থেকে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয় ১৮৫৫ সালে ইষ্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের তরফ থেকে। এই বছর শিয়ালদা থেকে রাণীগঞ্জ পর্যন্ত। এর ঠিক পরের বছর সাহেবগঞ্জ পর্যন্ত রেল লাইন প্রসারিত হয় এবং সবশেষে জানুয়ারি ১৮৭৮ সালে যখন নর্থ বেঙ্গল স্টেট রেলওয়ে বা পরবর্তীকালে ইষ্ট বেঙ্গল রেলওয়ের মাধ্যমে জলপাইগুড়ি পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ শেষ হয়ে যায়। এর ঠিক পরের বছর শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেল লাইনের বিস্তার ঘটে। এই সময় পর্যন্ত শিলিগুড়ি নেমে দার্জিলিংগামী যাত্রীদের ঘোড়া, ডান্ডি বা পায়ে হেঁটে দার্জিলিং শহরে পৌছাতে হত। এই পরিস্থিতিতে ইষ্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের ফ্যাঙ্কলিন প্রিস্টেজ বাংলা সরকারের কাছে দুফুট গেজের রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাব দেন। ১৮৭৯ সালে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়ে গঠিত হয় দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে কোম্পনি এবং তার ম্যানেজার হন প্রিস্টেজ সাহেব নিজেই। কোলকাতার টম মিচেল এন্ড র ্যামসে প্রতিষ্ঠানকে রেলপথ নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হল। এরপর শিলিগুড়ি থেকে রেলপথ এগিয়ে যায় সুকনা, রংটং, তিনধরিয়া, গয়াবড়ী, মহানদী, কার্শিয়ং, টুং, সোনাদা, ঘুম হয়ে দার্জিলিং। ১৮৮০ সালের আগষ্টের মধ্যেই শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়ং পর্যন্ত রেলপথ খুলে গিয়েছিল। এরপর ১৮৮১ সালের ৪ঠা জুলাই শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত সম্পূর্ণ রেলপথ খুলে যায়। দার্জিলিংয়ের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক 'বৈপ্লবিক পরিবর্তণ' আসে। এই রেলপথের সবচেয়ে উঁচু জায়গা হলো ঘুম। প্রথম যুগের দার্জিলিং স্টেশন ধ্বংস হয়ে যায় ১৯৩৪ সালের ভুমিকম্পে। ১৯৪৪ সালে আবার নতুন করে স্টেশন তৈরি করা হয়। পেট্রোল, ডিজেল চালিত মোটর গাড়ির আগ পর্যন্ত দার্জিলিংয়ের বাণিজ্য, অর্থনীতি ইত্যাদির ক্ষেত্রে দার্জিলিং হিমালয়ান রেওয়ের গুরুত্ব ছিল সীমাহীন ও গভীর। এই রেলপথের ফলে একদিকে যেমন দার্জিলিংয়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে জোয়ার আসে, তেমনি অন্যদিকে একের পর এক চা-বাগান পত্তনের ফলে দার্জিলিংয়ের আর্থ-সামাজিক কাঠামোটাই পাল্টে যায়।

আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴
software development company in siliguri,best
                            software development company in siliguri,no 1 software
                            development company in siliguri,website designing company
                            in Siliguri, website designing in Siliguri, website design
                            in Siliguri website design company in Siliguri, web
                            development company in Siliguri