লাল পরী-৮/মধুপর্ণা রায়
লাল পরী/৮
মধুপর্ণা রায়
মল্লিকা পটপট করে নাইটির বোতাম খুলে ফেলল। ব্রা এর স্ট্র্যাপে হাত দিতেই চোখ বুজে ফেলল শাক্য। নিজের পোশাক ওই সময় নিজেই খোলে বহ্নি। সে নাকি কোনো কাজেই পরনির্ভরশীল নয়। ঝাঁ করে নাইটি খুলে দিল মল্লিকা। শাক্য বন্ধ চোখ খুলেই নির্বাক হয়ে গেল।
কচি পাতার রঙ শরীর। সুগোল নাভি। কোমরের খাঁজ আলতো গভীর। স্তনের বোঁটার রঙ ঈষৎ বাদামী। দীর্ঘ হাল্কা পা। মল্লিকা বলল:-- কী ভাবছ সব জানি আমি।
:-- কী বলত?
:-- ভাবছ, কেয়া সলিড মাল হ্যায়! আমি কাপড় খুললেই শালা সব পুরুষ একরকম বলে! আর ভাল্লাগে না। নাও-- চল-- তাড়াতাড়ি সেরে নাও। বহুৎ বেশি মদ চলেছে আজ। তোমার কিন্তু নেশা হয়নি।
:-- এত খেও না শাক্য। আমার খুব ভয় করে।
:-- মদ না খেলে তোমাকেও যে ছুঁতে পারি না রঞ্জা!
:-- কেন?
:-- মধুমন্তী বার বার সামনে এসে যায়। মরে না কেন বলত?
:-- মরলেও লাভ হবে না। তুমি ওকে রাখতে পারনি। ও থাকতেই চেয়েছিল।
:-- না। চায়নি। আর আমিও কোনো অভিভাবিকার ধার ধারি না।
চুপ হয়েছিল রঞ্জাবতী। তারপর শাক্য তাকে ছুঁতে যেতেই খুব ধীরে বলেছিল -- আজ থাক শাক্য। আমিও কারো রক্ষিতা নই।
শাক্যর বুকে শব্দটা বিঁধেছিল তীব্রতায়। সে বিমূঢ় চোখে তাকিয়েছিল কেবল। রঞ্জা বলেছিল -- মধুমন্তীদি তোমার জন্যে অনেক ছেড়েছিল। তুমি বুঝতে পারনি। আমি জানি।
যন্ত্রণায় ছিঁড়ছিল শাক্যর শিরা-ধমনী। মধুমন্তীর গালে তিল, বুকে তিল, পিঠের বাঁ দিকে বড় গোল নিপাট তিল! সে রঞ্জার মতো শান্ত নয়। এত গভীরও নয়। তার তল পাওয়া যেত। অসাধারণ ভঙ্গিমায় নাচত মধুমন্তী।
শাক্যর অবিশ্বাসী অণ্বেষণ প্রবণতায়, আচরণের অকারণ ঔদ্ধত্যে সব ছেড়ে চলে গেল একদিন! একবারও আর পেছন পর্যন্ত ফিরল না! মল্লিকার মতোই একদিন অসম্ভব তিক্ততায় বলেছিল -- আর কিচ্ছু ভালো লাগে না এসব!
:-- এ্যাই! তুমি আসবে না? জামা কাপড় খোলো। বেশি রাতে আমি পারব না। শরীর ভাল্লাগছে না মাইরি।
অন্যদিকে তাকিয়ে শাক্য বলল:-- কাপড় পরে নাও।
লাফিয়ে উঠল মল্লিকা:-- শালা! নপুংসক নাকি?! তোমার ইচ্ছা করে না? আমাকেও না?!
শাক্য বাইরে এল। মেঘ কেটেছে। চাঁদ আলো দিচ্ছে আবার। জল বয়ে যাবার শব্দ। তার মনে হল..... রঞ্জাও যদি তাকে ছেড়ে চলে যায় কোনোদিন?! সে তো একনিষ্ঠ থাকেনি কোথাও! রঞ্জাবতী........ রঞ্জাবতী এক অপূর্ব আলোর মতো মানুষ। অর্ধেক মানবী তুমি.... অর্ধেক কল্পনা!
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴