সহজ উঠোন

রেজিস্টার / লগইন করুন।

সব কিছু পড়তে, দেখতে অথবা শুনতে লগইন করুন।

Sahaj Uthon
103.চায়ের নিলাম ব্যবস্থার বিধি সরলীকরণ হোক/গৌতম চক্রবর্তী

103.চায়ের নিলাম ব্যবস্থার বিধি সরলীকরণ হোক/গৌতম চক্রবর্তী

102.এখনো মনে দোলা দেয় চা বলয়ের ফুটবল খেলা/গৌতম চক্রবর্তী

102.এখনো মনে দোলা দেয় চা বলয়ের ফুটবল খেলা/গৌতম চক্রবর্তী

101.বাগিচার প্রান্তিক জনপদগুলির সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা/গৌতম চক্রবর্তী

101.বাগিচার প্রান্তিক জনপদগুলির সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা/গৌতম চক্রবর্তী

100.আদিবাসী জনজীবনের সংস্কৃতিচর্চা (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

100.আদিবাসী জনজীবনের সংস্কৃতিচর্চা (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

99.আদিবাসী জনজীবনের সংস্কৃতি চর্চা (প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

99.আদিবাসী জনজীবনের সংস্কৃতি চর্চা (প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

98.চা বাগিচাতে গ্রুপ হাসপাতাল একান্তই জরুরি/গৌতম চক্রবর্তী

98.চা বাগিচাতে গ্রুপ হাসপাতাল একান্তই জরুরি/গৌতম চক্রবর্তী

97.উত্তরের বাগিচাগুলিতে বিকল্প জ্বালানির স্বপ্ন দেখুক চা শিল্প /গৌতম চক্রবর্তী

97.উত্তরের বাগিচাগুলিতে বিকল্প জ্বালানির স্বপ্ন দেখুক চা শিল্প /গৌতম চক্রবর্তী

96.সমঝোতার শর্তে বোনাস চুক্তি চা বাগিচার চিরায়ত খেলা/গৌতম চক্রবর্তী

96.সমঝোতার শর্তে বোনাস চুক্তি চা বাগিচার চিরায়ত খেলা/গৌতম চক্রবর্তী

95.করম পরবের আঙিনায়/গৌতম চক্রবর্তী

95.করম পরবের আঙিনায়/গৌতম চক্রবর্তী

94.জাস্টিসের দাবিতে উত্তরের বাগিচাতেও চলছে লড়াই/গৌতম চক্রবর্তী

94.জাস্টিসের দাবিতে উত্তরের বাগিচাতেও চলছে লড়াই/গৌতম চক্রবর্তী

93.জাস্টিসের দাবিতে উত্তরের বাগিচাতেও চলছে লড়াই/গৌতম চক্রবর্তী

93.জাস্টিসের দাবিতে উত্তরের বাগিচাতেও চলছে লড়াই/গৌতম চক্রবর্তী

92.করোনাকালের লকডাউনে ডুয়ার্সের চা বাগিচা-২/গৌতম চক্রবর্তী

92.করোনাকালের লকডাউনে ডুয়ার্সের চা বাগিচা-২/গৌতম চক্রবর্তী

91.করোনাকালের লকডাউনে ডুয়ার্সের চা বাগিচা-১/গৌতম চক্রবর্তী

91.করোনাকালের লকডাউনে ডুয়ার্সের চা বাগিচা-১/গৌতম চক্রবর্তী

90.বাগিচার ডিজিট্যাল ব্যাঙ্কিং - ফিরে দেখা  ( তৃতীয় পর্ব/গৌতম চক্রবর্তী

90.বাগিচার ডিজিট্যাল ব্যাঙ্কিং - ফিরে দেখা ( তৃতীয় পর্ব/গৌতম চক্রবর্তী

89. বাগিচার ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ফিরে দেখা (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

89. বাগিচার ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ফিরে দেখা (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

88.চা বাগিচার ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং - ফিরে দেখা  (প্রথম পর্ব) /গৌতম চক্রবর্তী

88.চা বাগিচার ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং - ফিরে দেখা (প্রথম পর্ব) /গৌতম চক্রবর্তী

87.দেবপাড়া টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

87.দেবপাড়া টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

86.বিন্নাগুড়ি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

86.বিন্নাগুড়ি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

85.লখীপাড়া টি গার্ডেন (দ্বিতীয় পর্ব) /গৌতম চক্রবর্তী

85.লখীপাড়া টি গার্ডেন (দ্বিতীয় পর্ব) /গৌতম চক্রবর্তী

84.লখীপাড়া চা বাগিচা (প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

84.লখীপাড়া চা বাগিচা (প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

83.ইকো পর্যটনের সন্ধানে রামশাই টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

83.ইকো পর্যটনের সন্ধানে রামশাই টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

82.ইকো পর্যটনের সন্ধানে রামশাই টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

82.ইকো পর্যটনের সন্ধানে রামশাই টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

81.তরাই ও ডুয়ার্সে চা পর্যটন বিকশিত হোক/গৌতম চক্রবর্তী

81.তরাই ও ডুয়ার্সে চা পর্যটন বিকশিত হোক/গৌতম চক্রবর্তী

80.ভূমি আইন মেনেই চা শ্রমিকদের পাট্টা প্রদান হোক (তৃতীয় তথা শেষ পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

80.ভূমি আইন মেনেই চা শ্রমিকদের পাট্টা প্রদান হোক (তৃতীয় তথা শেষ পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

79.উত্তরের বাগিচায় পাট্টা এবং চা সুন্দরী প্রকল্প রূপায়নে যথাযথ বিধি  মানা প্রয়োজন/গৌতম চক্রবর্তী

79.উত্তরের বাগিচায় পাট্টা এবং চা সুন্দরী প্রকল্প রূপায়নে যথাযথ বিধি মানা প্রয়োজন/গৌতম চক্রবর্তী

78.স্টাফ ও সাব-স্টাফদের বেতন জট আজও কাটল না-২/গৌতম চক্রবর্তী

78.স্টাফ ও সাব-স্টাফদের বেতন জট আজও কাটল না-২/গৌতম চক্রবর্তী

77.স্টাফ ও সাব-স্টাফদের বেতন জট আজও কাটল না/গৌতম চক্রবর্তী

77.স্টাফ ও সাব-স্টাফদের বেতন জট আজও কাটল না/গৌতম চক্রবর্তী

76.চা বাগিচা (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

76.চা বাগিচা (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

75.তোতাপাড়া চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

75.তোতাপাড়া চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

74.হলদিবাড়ি  টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

74.হলদিবাড়ি টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

73.তোতাপাড়া টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

73.তোতাপাড়া টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

72.কারবালা টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

72.কারবালা টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

71.আমবাড়ি টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

71.আমবাড়ি টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

70.কাঁঠালগুড়ি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

70.কাঁঠালগুড়ি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

69.মোগলকাটা চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

69.মোগলকাটা চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

68.রিয়াবাড়ি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

68.রিয়াবাড়ি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

67.নিউ ডুয়ার্স চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

67.নিউ ডুয়ার্স চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

66.পলাশবাড়ি টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

66.পলাশবাড়ি টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

65.চুনাভাটি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

65.চুনাভাটি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

64.চামুর্চি চা বাগিচা (প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

64.চামুর্চি চা বাগিচা (প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

63.বানারহাট চা বাগিচা ( দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

63.বানারহাট চা বাগিচা ( দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

62.বানারহাট চা বাগিচা ( প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

62.বানারহাট চা বাগিচা ( প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

61.গ্রাসমোড় চা বাগিচা ( দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

61.গ্রাসমোড় চা বাগিচা ( দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

60.চ্যাংমারী চা বাগান (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

60.চ্যাংমারী চা বাগান (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

59.চ্যাংমারী চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

59.চ্যাংমারী চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

58.ধরণীপুর সুরেন্দ্রনগর (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

58.ধরণীপুর সুরেন্দ্রনগর (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

57.করম পরবের আঙিনায়/গৌতম চক্রবর্তী

57.করম পরবের আঙিনায়/গৌতম চক্রবর্তী

56.ডায়না টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

56.ডায়না টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

55.রেডব্যাঙ্ক চা বাগিচা ( দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

55.রেডব্যাঙ্ক চা বাগিচা ( দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

54.রেডব্যাংক টি গার্ডেন (প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

54.রেডব্যাংক টি গার্ডেন (প্রথম পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

53.ক্যারন টি গার্ডেন ( দ্বিতীয় পর্ব )/গৌতম চক্রবর্তী

53.ক্যারন টি গার্ডেন ( দ্বিতীয় পর্ব )/গৌতম চক্রবর্তী

52.ক্যারণ টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

52.ক্যারণ টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

51.লুকসান টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

51.লুকসান টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

50.গ্রাসমোড় চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

50.গ্রাসমোড় চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

49.ঘাটিয়া টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

49.ঘাটিয়া টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

48.হোপ টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

48.হোপ টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

47.হোপ টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

47.হোপ টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

46.হিলা টি এস্টেট (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

46.হিলা টি এস্টেট (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

45.হিলা চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

45.হিলা চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

44.কুর্তি চা বাগিচা : সবুজের গালিচায় গেরুয়ার রং/গৌতম চক্রবর্তী

44.কুর্তি চা বাগিচা : সবুজের গালিচায় গেরুয়ার রং/গৌতম চক্রবর্তী

43.সাইলি টি গার্ডেন (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

43.সাইলি টি গার্ডেন (দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

42.নয়া সাইলি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

42.নয়া সাইলি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

41.কুর্তি টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

41.কুর্তি টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

40.ভগতপুর চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

40.ভগতপুর চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

39.নাগরাকাটা চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

39.নাগরাকাটা চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

38.বামনডাঙ্গা তন্ডু চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

38.বামনডাঙ্গা তন্ডু চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

37.বাতাবাড়ি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

37.বাতাবাড়ি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

36.বড়দীঘি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

36.বড়দীঘি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

35.কিলকট এবং নাগেশ্বরী টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

35.কিলকট এবং নাগেশ্বরী টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

34.চালসা চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

34.চালসা চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

33.সামসিং চা বাগান ( দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

33.সামসিং চা বাগান ( দ্বিতীয় পর্ব)/গৌতম চক্রবর্তী

32.সামসিং চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

32.সামসিং চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

31.ইনডং চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

31.ইনডং চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

30.চালৌনি চা বাগান /গৌতম চক্রবর্তী

30.চালৌনি চা বাগান /গৌতম চক্রবর্তী

29.মেটেলি টি গার্ডেন

29.মেটেলি টি গার্ডেন

28.আইভিল চা বাগান

28.আইভিল চা বাগান

27.এঙ্গো চা বাগিচা

27.এঙ্গো চা বাগিচা

26.নেপুচাপুর চা বাগান

26.নেপুচাপুর চা বাগান

25.জুরান্তী চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

25.জুরান্তী চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

24.সোনগাছি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

24.সোনগাছি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

23.রাজা চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

23.রাজা চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

22.তুনবাড়ি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

22.তুনবাড়ি চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

21.রাঙামাটি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

21.রাঙামাটি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

20.মীনগ্লাস চা বাগিচা-১/গৌতম চক্রবর্তী

20.মীনগ্লাস চা বাগিচা-১/গৌতম চক্রবর্তী

19.সোনালি চা বাগিচা /গৌতম চক্রবর্তী

19.সোনালি চা বাগিচা /গৌতম চক্রবর্তী

18.পাহাড়ের প্রান্তদেশে সবুজ গালিচায় ঘেরা এলেনবাড়ি/গৌতম চক্রবর্তী

18.পাহাড়ের প্রান্তদেশে সবুজ গালিচায় ঘেরা এলেনবাড়ি/গৌতম চক্রবর্তী

17.নেওড়ানদী চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

17.নেওড়ানদী চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

16.নিদামঝোরা টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

16.নিদামঝোরা টি এস্টেট/গৌতম চক্রবর্তী

15.সাইলি চা বাগিচার সবুজ সমুদ্রে/গৌতম চক্রবর্তী

15.সাইলি চা বাগিচার সবুজ সমুদ্রে/গৌতম চক্রবর্তী

14.ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

14.ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

13.কুমলাই চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

13.কুমলাই চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

12.শতবর্ষ অতিক্রান্ত  ওয়াশাবাড়ি চা-বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

12.শতবর্ষ অতিক্রান্ত ওয়াশাবাড়ি চা-বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

11.আনন্দপুর চা-বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

11.আনন্দপুর চা-বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

10.বেতগুড়ি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

10.বেতগুড়ি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

9.রাণীচেরা চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

9.রাণীচেরা চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

8.রায়পুর চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

8.রায়পুর চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

7.করলাভ্যালি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

7.করলাভ্যালি চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

6.মানাবাড়ি টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

6.মানাবাড়ি টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

5.পাথরঝোরা চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

5.পাথরঝোরা চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

4.গুডরিকসের লিজ রিভার চা বাগানে/গৌতম চক্রবর্তী

4.গুডরিকসের লিজ রিভার চা বাগানে/গৌতম চক্রবর্তী

3.রেডব্যাঙ্ক চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

3.রেডব্যাঙ্ক চা বাগিচা/গৌতম চক্রবর্তী

2.সরস্বতীপুর চা বাগান-২/গৌতম চক্রবর্তী

2.সরস্বতীপুর চা বাগান-২/গৌতম চক্রবর্তী

1.সরস্বতীপুর চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

1.সরস্বতীপুর চা বাগান/গৌতম চক্রবর্তী

26-February,2024 - Monday ✍️ By- গৌতম চক্রবর্তী 716

তোতাপাড়া টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী

তোতাপাড়া টি গার্ডেন
গৌতম চক্রবর্তী

চা বাগানের শ্রমিকদের জমির পাট্টা কিভাবে দেওয়া যায় তা নিয়ে শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের কাছে প্রস্তাব চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে তিনি সরকারি অফিসারদের সঙ্গেও কথা বলেন। এর আগে শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন চা শ্রমিকেরা পাট্টা পাবেন। তবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। প্রস্তাব তৈরি করে শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে তিনি জানিয়েছিলেন। সরকারি অফিসাদের সঙ্গেও কথা বলে একটা রাস্তা বার করার অঙ্গীকার ছিল তাঁর প্রত্যয়যুক্ত ভাষণে। চা শ্রমিকরা মালিকদের তৈরি করা বাগানের শ্রমিক বস্তিগুলিতে থাকেন। বাগানের ওই জমি মালিকদের লিজ দিয়েছে সরকার। তা কিভাবে শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়া যাবে সেটা নিয়েই ছিল জটিলতা। অতীতে কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী একাধিকবার বলেও ওই কাজটা করাতে পারেননি। বামফ্রন্ট আমলেও বিভিন্ন মন্ত্রীরা ওই কথা বললেও কাজ হয়নি। সেখানে বর্তমান রাজ্য সরকার আইনি জটিলতা কাটিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কিভাবে শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন সেই দিকেই তাকিয়ে ছিল চা বাগিচা মহল। ৬ই ডিসেম্বর আলিপুরদুয়ার জেলার প্যারেড গ্রাউন্ডে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক বৈঠকে আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন বাগানের চা শ্রমিকদের হাতে জমির অধিকার প্রদানের পাট্টা অবশেষে তুলে দেওয়া হয়। পরের দিন ৭ই ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটে আরেকটি সরকারি সভায় বানারহাট সংলগ্ন অঞ্চলের চা বাগান শ্রমিকদের পাট্টা বিতরণ করা হয় যার মধ্যে ছিল তোতাপাড়া চা বাগানও। সেইজন্য হাতে গরম সার্ভে করতে চলে এলাম তোতাপাড়া। বানারহাট থেকে তোতাপাড়া টি গার্ডেন ৫.৮ কিমি। সময় লাগল ১৫ মিনিট। গ্যান্দ্রাপাড়া টি গার্ডেন হয়ে কারবালা রোড ধরে বাগানে এলাম। 

ধূপগুড়ি ব্লকের তোতাপাড়া টি গার্ডেন এর পরিচালক গোষ্ঠী নুডেয়া প্ল্যান্টেশন লিমিটেড কোম্পানি এবং বাগানটি আইটিপিএ-এর সদস্য। বাগানটি প্রায় ১০৫ বছরের পুরনো বাগান। বর্তমান কোম্পানির পরিচালকবর্গ ১৯১৫ সালে বাগানটির দায়িত্বভার গ্রনগুলি। বাগিচার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসাবে সুদীপ ভৌমিক ২০১৩ সাল থেকে, সুব্রত ভৌমিক ২০১৫ সাল থেকে, ত্রিবেন্দ্র দাস ২০১৮ থেকে যুক্ত আছেন। বাগানে ম্যানেজারিয়াল স্টাফ চারজন। কোম্পানির মালিকের নাম উত্তম শর্মা এবং ঠিকানা সেবক রোড, শিলিগুড়ি। বাগানে স্বীকৃত ট্রেড ইউনিয়ন ৬টি। এগুলি হল সিবিএমইউ, এনইউপিডব্লিউ, পিটিডব্লিউইউ, টিটিপিডব্লিউইউ, ডব্লিউবিটিজি, পিএটিইএডব্লিবি। বাগানটির প্রশাসনিক দিকটি দেখাশোনা করে বানারহাট থানা। তোতাপাড়া চা বাগানের আয়তন এবং চাষযোগ্য আবাদিক্ষেত্র ৫২০.১১ হেক্টর। সেচের সুবিধাযুক্ত অঞ্চল এবং মোট চাষযোগ্য উৎপাদন ক্ষেত্র ৩৭৮.১৩ হেক্টর। সেচসেবিত এবং ড্রেনযুক্ত আবাদযোগ্য অঞ্চল ৩৫৮.১৩ হেক্টর। চা বাগানে নিজস্ব চা পাতা উৎপাদনের গড় ২৫ লাখ কেজি। ফ্যাক্টরিতে নিজস্ব উৎপাদিত চা ৫-৬ লাখ কেজি। বাইরের বাগান থেকে কাঁচা পাতা সংগৃহিত হয় না। বাইরের বাগান থেকে সংগৃহীত কাঁচা চা পাতায় উৎপাদিত চা প্রায় ১ লক্ষ কেজি। মোট বাৎসরিক উৎপাদিত চা প্রায় ৭ লাখ কেজি। বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বাগানে ইনঅরগ্যানিক সিটিসি চা উৎপাদিত হয়। বাগানটি ছোটো হলেও চরিত্রগত দিক দিয়ে উন্নত মানের বাগান। প্রতি হেক্টর উৎপাদন যোগ্য এবং সেচযুক্ত প্ল্যান্টেশন এরিয়া থেকে কত কেজি করে চা উৎপাদন হয় সেই ব্যাপারে তথ্যগত সহযোগিতা পাওয়া যায় নি।  

তোতাপাড়া টি গার্ডেনটির সাব স্টাফ এর সংখ্যা ৬০ জন এবং করনিক সাত জন। ক্ল্যারিক্যাল এবং টেকনিক্যাল স্টাফ ১৩ জন। বাগানে শ্রমিক পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪০০ জন এবং মোট জনসংখ্যা ১৮৫১। বাগিচায় স্থায়ী শ্রমিক ৭৮৯ জন যারা দৈনিক নির্দিষ্ট পরিমাণ পাতা তোলার বিনিময়ে নির্দিষ্ট মজুরি পায়। বিগত আর্থিক বছরে অস্থায়ী  শ্রমিকের সংখ্যা ছিল দুজন। ফ্যাক্টরিতে নিযুক্ত স্টাফ এবং শ্রমিকের সংখ্যা ৩৮ জন। চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক ৫৪ জন। কম্পিউটার অপারেটর একজন। ক্ল্যারিক্যাল, টেকনিক্যাল স্টাফ মিলে মোট শ্রমিকের সংখ্যা ৩১ জন। কর্মরত শ্রমিক ৯৭৩ জন এবং শ্রমিক নয় এমন সদস্যদের সংখ্যা ৮৭৮ জন। 
তোতাপাড়া চা বাগিচা এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পের সুবিধা লাভ  করে না। আর্থিক দিক থেকে  বাগানটি কোন ব্যাংকের উপর নির্ভরশীল নয়। বাগান পরিচালনার কার্যকর মূলধন আসে ব্যাংক এবং নিজস্ব অর্থনৈতিক সোর্স থেকে। চা বিক্রি বাবদ আয় থেকে তোতাপাড়া চা বাগিচার খরচ খরচা পরিচালিত হয়। বাগিচার লিজ হোল্ডার  নুড্ডিয়া টি কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড। বাগিচার লিজ ভ্যালিডিটির মেয়াদ ২০২৫ সাল।  ফ্যাক্টরি থেকে বের হয়ে চলে এলাম শ্রমিক বস্তিতে। আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার ঢেকলাপাড়া, বান্দাপানি, কোহিনুর, লঙ্কাপাড়া, হান্টাপাড়া, নাগেশ্বরী, কিলকট, তোতাপাড়া এবং কুমলাই বাগানগুলি সমীক্ষা করেছে ভূমি এবং ভূমি সংস্কার বিভাগ। প্রতিটি বাগান থেকে উদ্বৃত্ত জমি পুনরুদ্ধার করে প্রতিটি চা বাগান শ্রমিককে ৫.৫ শতাংশ করে জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে দশটি চা বাগানে শ্রমিকদের জমির পাট্টা বন্টন করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়গুলিতে উত্তরবঙ্গের অন্যান্য চা বাগানগুলিতেও এই প্রকল্প প্রসারিত হবে। প্রতিটি বাগান থেকে পাঁচজন করে শ্রমিককে মঞ্চে ডেকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা তাদের হাতে পাট্টা হস্তান্তর করেন। তোতাপাড়াতে পেলাম রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইককে। জানলাম আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার আনুমানিক প্রায় ছয় হাজার উপভোক্তা প্রথম পর্যায়ে পাট্টা পাবেন। জানলাম প্রক্রিয়াটি অদূর ভবিষ্যতে সমস্ত চা বাগানে প্রযোজ্য হবে। তবে এটা পাইলট প্রজেক্ট। সামগ্রীকভাবে গুছিয়ে কাজ শুরু হতে দেরি হবে।


বাগিচায় ব্যক্তিগত ইলেক্ট্রিক মিটার সহ পাকাবাড়ির সংখ্যা ৪৭৬ টি। অন্যান্য বাড়ির সংখ্যা ১৪৪। মোট শ্রমিক আবাস ৬২০ টি। মোট শ্রমিক  জন। বাগানে শতকরা ৬৫% শ্রমিক আবাস এবং অন্যান্য বাসগৃহ আছে। তোতাপাড়া  চা বাগিচায়  একটা হাসপাতাল রয়েছে। আউটওয়ার্ড ডিসপেনসরিও রয়েছে। মেল ওয়ার্ড ১০ টা, ফিমেল ওয়ার্ড ১০ টা আইসোলেশন ওয়ার্ড ৪ টি এবং মেটারনিটি ওয়ার্ডও আছে।  অপারেশন থিয়েটার আছে। অ্যাম্বুলেন্স আছে। আবাসিক ডাক্তার আছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। একজন করে ট্রেন্ড নার্স মিড ওয়াইফ, কম্পাউন্ডার এবং স্বাস্থ্য সহযোগী আছে। বাগিচায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মোটামুটি প্রতিটি রোগের পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ করা হয়। শ্রমিকদের বাগিচার হাসপাতালে কেউ ভর্তি হলে তাকে উন্নত কোয়ালিটির সুষম পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয়।  তোতাপাড়া  চা বাগানে স্থায়ী ক্রেশ নাই। অস্থায়ী একটা। একজন অ্যাটেনডেন্ট আছে। শৌচালয়ের অবস্থা খুব ভালো নয়। ড্রেস দেওয়া হয় না। পর্যাপ্ত পানীয় জল ক্ৰেশে এবং চা বাগানে সরবরাহ করা হয়। ক্লাব এবং খেলার মাঠ আছে। ২০১১ সাল থেকে লেবার ওয়েলফেয়ার অফিসার আছে। নাম কমল চিক বড়াইক।   বাগিচায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। বাগিচা সংলগ্ন উচ্চ বিদ্যালয় আছে। শ্রমিক সন্তানদের বিদ্যালয়ে নেবার জন্য যানবাহনের ব্যাবস্থা হিসাবে ট্রাক দুটো আছে। বাগানে বিনোদনমূলক ক্লাব, খেলার মাঠ আছে।              টি গার্ডেনে নিয়মিত পি এফ বা গ্র্যাচুইটির টাকা জমা পড়লেও মাঝেমাঝে নানা ধরনের অভিযোগ শোনা যায়। বোনাস চুক্তি অনুযায়ী মিটিয়ে দেওয়া হয়। পি এফ বা গ্র্যাচুইটি বকেয়া থাকলে পরে নিটিয়ে এওয়া হয়। শ্রমিকদের মজুরি, রেশন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা চুক্তি অনুযায়ী দেওয়া হয়। তবুও মাঝেমাঝে নানা কারণে শ্রমিক অসন্তোষের মুখে পড়তে হয় বাগান পরিচালকদের। সাম্প্রতিককালে ন্যুনতম মজুরি নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে বাজার গরম করার চেষ্টা চালাচ্ছে সবকটি রাজনৈতিক দল।


চা বলয়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন এখনও ততটা শক্তিশালী নয়। সেখানে বাম, কংগ্রেস, আদিবাসী বিকাশ পরিষদ বা মোর্চা সংগঠন অনেক বেশি শক্তিশালী। বিজেপি সংগঠন গোছানোর কাজে নেমেছে। এই অবস্থায় আগামী লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে তৃণমূলও দলীয় শ্রমিক সংগঠনকে চা বলয়ে আরও মজবুত করতে চাইছে। লোকসভা ভোট মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গে চা বাগানের পাট্টার বিষয়টি সামনে আনা হচ্ছে বলে বিজেপির অভিযোগ। রাজ্যের ভূমি সংস্কার দফতরের তরফে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির জেলাশাসকদের লিখিত নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে জেলাশাসকদের চা বাগানের অতিরিক্ত, অব্যবহৃত জমির পরিমাণ জানতে সমীক্ষা করতে বলা হয়। বাগানে উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি করতেও বলা হয়। জলপাইগুড়ি ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিসের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে জানলাম নির্দেশিকায় জেলাশাসকদের বিস্তারিত সমীক্ষার কথা বলা হয়েছিল। সেখানে বাগানের খালি বা অব্যবহৃত জমি সমীক্ষা করে তা লিজ় ফেরত নিয়ে পাট্টা দেওয়ার কথা বলা হয়। পরিবারের প্রধান মহিলা সদস্যার নামে এবং তা সম্ভব না হলে পুরুষ ও মহিলা যুগ্ম নামে পাট্টা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পাঁচ ডেসিমেল জমি পরিবারের মধ্যে হস্তান্তরযোগ্য হলেও বিক্রি বা অন্য কাউকে দেওয়া যাবে না বলে ঠিক হয়। প্রশাসনিক অফিসারদের কাছ থেকে জানলাম বাগানে খালি জমি ‘প্ল্যান্টেশনের’ কথা বলে বাগান মালিকেরা কেউ একবারে দিতে না চাইলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেখানে সরকারকেও আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানানো হয়েছিল। চা শ্রমিকদের পাট্টার বিষয়টি তাঁদের দীর্ঘদিনের প্রাপ্য অধিকার ছিল। ছ’সাত মাসের মধ্যে সামগ্রীক পরিকল্পনাটি কার্যকর করার লক্ষ্যে এর জন্য একটা নীতি তৈরি করা হচ্ছে। 


চা বাগানে পাট্টার সমস্যা মেটাতে বাগান মালিকদের সঙ্গে ‘মুখোমুখি’ আলোচনার নীতি নেয় জেলা প্রশাসন। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানলাম এক-একটি চা বাগানের প্রেক্ষিত এক এক রকম। সে কারণে, সার্বিক আলোচনা না করে ‘একের সঙ্গে এক’ ভিত্তিতে মুখোমুখি আলোচনা হয়। তাতেই সুফল মেলে বলে দাবি প্রশাসনের। ডিসেম্বরে বানারহাটের প্রশাসনিক সভা থেকে চা বাগানের পাট্টা বিলি দ্রুত সারতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সভার পরে চা শ্রমিকদের আবাসনের জমিতেই পাট্টা বিলির সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সে মতো সমীক্ষাও শুরু হয়েছে। পাল্টা বিজেপি এখন দাবি করছে পাট্টা নয়, জমির মালিকানা দিতে হবে শ্রমিকদের। এর থেকেই বোঝা যায় মমতার মাস্টার স্ট্রোকে কতটা ব্যাকফুটে বিজেপি। সম্প্রতি তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ শ্রমিক নেতা রাজেশ লাকড়া দল ছাড়ার ঘোষণা করে দাবি করেন চা শ্রমিকদের উদ্বাস্তু পাট্টা দেওয়া হচ্ছে যা অপমানজনক। বেশ কিছু বাগানে সমীক্ষায় বাধাও আসে। চা বাগানে পাট্টা বিলি নিয়ে মালিকদের তরফেও আপত্তি তোলা হয়েছে। শ্রমিক আবাসনের জমিতে পাট্টা দিলে বাগানের পরিচালনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি তাঁদের। তবে জেলাশাসক শ্যামা পারভিনের কাছ থেকে জেনেছিলাম প্রতিটি চা বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক হচ্ছে বলে সমস্যা বা জটিলতা থাকলে কেটে যাচ্ছে। উদ্বৃত্ত জমিতে বাগানে বসবাসকারী চা শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়ার জন্য জেলার চা বাগানগুলিতে কত পরিমাণ জমি উদ্বৃত্ত পড়ে রয়েছে তার খোঁজ শুরু করেছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন তথা ভূমি দফতর। খোলা চা বাগানে পাট্টা দেওয়ার বিষয়ে রাজ্যের নীতির রূপরেখা এর মধ্যেই পাঠানো হতে পারে। পঞ্চায়েত ভোট মিটে যাওয়ার পরে চা শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়ার কাজে গতি আনা হয়ছে। লোকসভা ভোটের আগে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শ্রমিকের হাতে যেন পাট্টা তুলে দেওয়া যায় সেই চেষ্টাই চলছে ডুয়ার্সের চা বাগিচা বলয়ে।

আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴
software development company in siliguri,best
                            software development company in siliguri,no 1 software
                            development company in siliguri,website designing company
                            in Siliguri, website designing in Siliguri, website design
                            in Siliguri website design company in Siliguri, web
                            development company in Siliguri