আমবাড়ি টি গার্ডেন/গৌতম চক্রবর্তী
আমবাড়ি টি গার্ডেন
গৌতম চক্রবর্তী
চামুর্চি থেকে আজ চলেছি আমবাড়ি টি গার্ডেনে। বানারহাট থেকে চামুর্চি রোড ধরে ১৩ কিমি দূরত্বে আমবাড়ি টি গার্ডেন। ম্যানেজারের বাংলোর আগে যুবক সঙ্ঘ ক্লাব। ভিড় দেখে এগিয়ে গেলাম। জিজ্ঞেস করলাম কিসের ভিড়। অপরিচিত একজন মানুষ আর আমার পোশাক দেখে পালটা প্রশ্ন এল আমি কোথা থেকে এসেছি। বেমালুম মিথ্যা বললাম। জানালাম চামুর্চি বেড়াতে এসেছিলাম। আমবাড়ি চা বাগানের অফিস স্টাফ আমার বন্ধু। তার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। ততক্ষণে কৌতূহলী কিছু মানুষজন আমাকে ভালো করে নিরীক্ষণ করছে বুঝতে পারলাম। আমিও অস্বস্তিতে পড়ে গেছি। হঠাত করে ভিড়ের মধ্যে দেখি লাল ঝুঁটি ফুলিয়ে প্রবল বিক্রমে লড়ে চলেছে দূর দূরান্ত থেকে আসা তাগড়া সব মোরগ। বুঝলাম এই সেই বিখ্যাত এবং কুখ্যাত চা বাগিচার মোরগ লড়াই। সামনেই ক্রিসমাসের পরবের মরসুম। এই সময়ে বোনাসের পরে হাতের কিছু পয়সা ফুতকারে উড়ে যায় বাগিচায় বাগিচায়। এর আগে বাগিচা সফর করতে গিয়ে দেখেছি হাটের শেডের মেঝেতে ত্রিপল বিছানো দোকানপাট আজকাল আর পছন্দ করছেন না চা বাগানের শ্রমিকরা। দুটো পয়সা হাতে এলে ওরাও চাইছে একটু সাজানো গোছানো চকচকে দোকানপাট। তাই পুজো বা ক্রিসমাসের মতো পরবের আগে বোনাস বা হপ্তা পেয়ে আর হাটমুখ হচ্ছেন না চা বাগানের শ্রমিকরা। নারী শ্রমিকেরা যদিবা নিজের বা সন্তানদের জন্যে পয়সা জমায় তো পুরুষ শ্রমিকদের অধিকাংশ পয়সা চলে যায় হাড়িয়া আর মোরগ লড়াইয়ের নামে জুয়ায়। আমার কথাবার্তাতে সন্তুষ্ট হলে এবং আমি পর্যটক শুনে ডুয়ার্সের সহজ সরল আদিবাসী সমাজের কয়েকজনের মনে হল ‘অতিথি দেব ভব’। খাতির করে আমাকে নিয়ে গেল মাঠের মাঝখানে যেখানে মোরগ লড়াই হচ্ছে। প্রতি বছর এই সময়ে হাটবারে এই লড়াইয়ের আসর বসে। এই সমস্ত ব্যাপারে যাঁরা খোঁজখবর রাখেন, তাঁদের কাছে আমবাড়ির এই মাঠ আখড়া মোরগ লড়াইয়ের ‘কলোসিয়াম’। চা বাগিচার জনপ্রিয় সাবেক বিনোদন মোরগের লড়াই। বাগিচায় বোনাসের পরে হাতে থাকে টাকা আর অবসর দুই-ই। বিভিন্ন মেলায় বসে যায় আসর। মাঠে মাঠে বসে লড়াইয়ের আসর।
প্রতি বছর ভিড় বাড়ছে। থিকথিক করছে মানুষ। লড়াই হচ্ছে প্রায় পঞ্চাশ জোড়া মোরগের। চা বাগিচাতে মালিকের নামেই মোরগের নাম। শুধু মালিকের নয়, অনেক মোরগের ঘাড়েই থাকে গোটা গ্রামের নাম রাখার গুরুদায়িত্ব। প্রায় গাঁ-সুদ্ধ লোক সেই সমস্ত মোরগের সঙ্গে আখড়ায় চলে আসেন। এই মাঠেও দেখলাম সে হইহই কাণ্ড, রইরই ব্যাপার। প্রবল উত্তেজনা। পরিচয় হল বীরেন মার্ডির সঙ্গে। আমার পাশেই দাঁড়িয়েছিল। ২০০ টাকা বাজি ধরেছে। জিতলে অনেক টাকা পাবে সেই আশাতে। গর্ব করে বলল, “আর তিন বার হেরে গিয়েছিলাম। তা ছাড়া আমার মোরগদের কখনও কেউ হারাতে পারেনি। এ বারে আমার এই মোরগ এলাকার দু’টো লড়াই জিতে এসেছে।’’ কী হিসাবে লড়াইটা হয়? জানলাম, বেশ কিছু দিন আগে থেকেই তাঁদের সঙ্গে এলাকার মোরগ-মালিকেরা যোগাযোগ করেন। তার মধ্যে থেকে বাছাই মোরগদের নিয়ে আসা হয় ময়দানে। বাইরে থেকে আসা মোরগদের জন্য থাকে খোলা চ্যালেঞ্জ। জিতলে পুরস্কার। এর বাইরেও প্রচুর লোকজন আসেন নিজের নিজের মোরগ নিয়ে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চলে লড়াই। হিসেবও সহজ। যাঁর মোরগ জিতবে, ঘায়েল মোরগও তাঁর। দেখলাম রীতিমতো রক্তারক্তি কাণ্ড। মোরগের বাঁ পায়ে বেঁধে দেওয়া হয়ছে বাঁকানো একটা ছুরি। আখড়াতেই ভাড়া পাওয়া যায়। অনেকেই বাক্সভর্তি তেমন ছুরি নিয়ে চলে আসেন। মেটেলির বীরেন মার্ডি। পাঁচ বছর ধরে এই আখড়ায় তাঁর আসা-যাওয়া। এই সময়টায় ছুরির বাক্স নিয়ে ঘুরে বেড়ান আখড়া থেকে আখড়ায়। একটা ছুরি বেঁধে মেলে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। ঘায়েল মোরগের চোট সারাতেও বেশি ছোটাছুটি করতে হয় না। দেখলাম ‘চিকিৎসক’ হাজির মাঠেই। মাঠের একটি গাছের ডালে বিজ্ঞাপন টাঙিয়ে নীচে বসেছিলেন এক জন। কাপড়ে বড় বড় হরফে লেখা ‘মোরগ চিকিৎসা কেন্দ্র’। গাছের নীচে রাখা ওষুধ, ব্যান্ডেজ আর ইঞ্জেকশন। মোরগের ডানার ঝাপটানিতে ধুলো ওড়ে যুবক সঙ্ঘের মাঠে। খেলা শেষে প্রচুর রক্তপাত আর বেশ কয়েকটি প্রাণের বিনিময়ে সেখানে পুরস্কার বিতরণের পালা।
এলাম আমবাড়ি। ধূপগুড়ি ব্লক এর আমবাড়ি টি গার্ডেনটির পরিচালক গোষ্ঠী ডায়না টি কোম্পানি লিমিটেড। ডিবিআইটিএ এর সদস্যভুক্ত বর্তমান বাগানের এই কোম্পানি তাদের অন্য বাগানের পাশাপাশি এই বাগানটির দায়িত্বভার গ্রহণ করে সুনামের সঙ্গে চা পাতা উৎপাদনের কাজে নিজেদের নিয়োজিত করেছে। বাগানে মোট ম্যানেজারিয়াল স্টাফ আছেন ৮ জন। কোম্পানির মালিক সন্দীপ সিংহানিয়া কলকাতার আলিপুরে থাকেন এবং কোম্পানির হেড অফিস কলকাতায়। বাগানে প্রতিষ্ঠিত এবং স্বীকৃত ট্রেড ইউনিয়ন আছে মোট চারটি। বাগানটি জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকে। বানারহাট থানা বাগানটির প্রশাসনিক কাজকর্ম তদারকি করে। বাগানটির আয়তন ৭০৭.৩৭ হেক্টর এবং চাষযোগ্য আবাদিক্ষেত্রও সমপরিমাণ। এক্সটেন্ডেড জমির পরিমাণ ৫৮৭ হেক্টর। আপরুটেড এবং নতুন বপনযোগ্য আবাদিক্ষেত্র ৪১.৭৩ হেক্টর। বাগিচায় ড্রেন এবং সেচের সুবিধাযুক্ত অঞ্চল ২২৭.৮৪ হেক্টর এবং মোট চাষযোগ্য উৎপাদন ক্ষেত্র ৫৮২.৭৪ হেক্টর। প্রতি হেক্টর উৎপাদনযোগ্য সেচযুক্ত প্ল্যান্টেশন এরিয়া থেকে প্রতি হেক্টর জমি পিছু ১৫৪৫ কেজি করে চা পাতা উৎপাদিত হয়। কথা প্রসঙ্গে জানতে পারলাম এই আর্থিক বছরে প্রায় প্রতিটি চা বাগিচার মতোই আমগুড়ি চা বাগিচা ম্যানেজমেন্ট তাদের নেট প্রফিট নিয়ে চিন্তিত। বিগত কেন্দ্রীয় বাজেটে চা শিল্প নিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কোনও ঘোষণা না থাকায় অনেকটাই অবাক হয়েছিল চা শিল্পের সঙ্গে জড়িতেরা। বর্ষব্যাপী চা শিল্পে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে চলেছে নানা আলোচনা, বিতর্ক। বাজেটে সরাসরি কোনও প্রকল্প, বিদেশের বাজার বাড়ানোর পরিকল্পনা, সারে ভর্তুকি বা প্যাকেজ, আর্থিক অনুদানের কোনও ঘোষণা তো ছিল না, উল্টে গতবারের এক হাজার কোটির ‘প্যাকেজ’ কোথায় গেল সে প্রশ্নও উঠেছে বারেবারে। সরকারি সাহায্যে বিশ্ববাজারে ভারতীয় চায়ের প্রচার ও ব্র্যান্ডিং-র কাজটা জরুরি ছিল। এতে চায়ের রফতানিতে আরও গতি আসতে পারত।
আমবাড়ি চা বাগিচার সাব স্টাফের সংখ্যা ৭১ জন। করণিক ১১ জন, ক্ল্যারিক্যাল এবং টেকনিক্যাল স্টাফ ১২ জন। বাগানে শ্রমিক পরিবারের সংখ্যা ৮৭৮ জন। মোট জনসংখ্যা ১১১১০ জন। স্থায়ী শ্রমিক ১২০৮ জন যারা দৈনিক নির্দিষ্ট পরিমাণ পাতা তোলার বিনিময়ে নির্দিষ্ট মজুরি পায়। বিগত আর্থিক বছরে অস্থায়ী শ্রমিক সংখ্যা ছিল ৭০০ জনের মতো। ফ্যাক্টরিতে নিযুক্ত স্টাফ এবং শ্রমিক সংখ্যা ১৬০ জন। চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক সংখ্যা ৭৭৮ জন। কম্পিউটার অপারেটর নেই। ক্ল্যারিক্যাল, টেকনিক্যাল এবং স্থায়ী শ্রমিক মিলে মোট শ্রমিক সংখ্যা ২৩ জন। শ্রমিক ১৫৪০ জন এবং শ্রমিক নয় এমন সদস্যদের সংখ্যা ৯৫৭০ জন। গত বছরের বাজেটে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিশেষ সামাজিক পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য ১২৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। এই টাকার অধিকাংশই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছোট ছোট রাজ্যগুলির সীমান্ত সুরক্ষার দিকে নজর রেখে পরিকাঠামো তৈরির কাজে ব্যাবহার করার ভাবনাচিন্তা ছিল। চিনের আগ্রাসী মনোভাবের জন্য এই বরাদ্দ বাড়লেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চা বাগিচা ক্ষেত্রের পরিকাঠামোর কিছু কাজ এই বরাদ্দ থেকে হতে পারত। চা বাগিচার রাস্তা, আবাস, পানীয় জল, বিদ্যুৎ পরিষেবার দিকগুলি নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া যেত। কিন্তু কোন পরিকল্পনাই না কেন্দ্র, না রাজ্য নিয়েছে। রাজ্য সরকার তবু চা সুন্দরী প্রকল্প, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরকে কাজে লাগিয়ে বাগিচাগুলিতে পানীয় জলের ব্যাবস্থা করতে স্কিম নিয়ে এগিয়েছে, কিন্তু জলপাইগুড়ির দুজন সাংসদের ভূমিকা নিয়ে চা বলয়ে প্রশ্নচিহ্ণ রয়েছে।‘ইউনিটি মল’, আবাস যোজনা, ‘জলজীবন’-এর মতো প্রকল্পে চা বাগানের কিছু পরিকাঠামোগত কাজের আশায় চা শিল্পের জড়িতেরা৷ তবে চা শিল্পের দাবি আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে গত দুবছর ধরে উৎপাদন কমেছে। আবহাওয়া চা চাষীদের হাতে নেই। সেই কারণে দাবি উঠেছে চা চাষের পদ্ধতি পাল্টানোর। শীত চলে আসার সময় চা পর্ষদ তথা টি বোর্ডের নির্দেশ ছিল ২৩ শে ডিসেম্বর থেকে পাতা তোলা বন্ধ করতে হবে। প্রতিবছর বিভিন্ন চা সংগঠনের তরফে চা পর্ষদকে অনুরোধ করা হয় পাতা তোলার জন্য যেন বাড়তি সময় পাওয়া যায়। এ বছর তাড়াতাড়ি পাতা তোলা বন্ধ হয়ে গেলে গাছের যত্ন করা যাবে বলে মনে করেছিল চা মহল্লা।
সারা বছরে রাজ্যে চায়ের উৎপাদন কমলো ১৫%, অসমে ২২ শতাংশ। আসলে নভেম্বরের মাঝামাঝি চা মহল্লায় ছিল আশঙ্কার শৈত্য প্রবাহ। রাতের তাপমাত্রা একলাফে কমে যাচ্ছিল অনেকটাই। চা মহল্লার বাতাসে প্রশ্ন ভাসছিল এত তাড়াতাড়ি শীত আসছে কেন? কারণ সারা বছরই চা উৎপাদনে মন্দা গিয়েছে। পাতা তোলার সময় সেই সময়ে হাতে ছিল মাসখানেক। কিন্তু পাতা বাড়ে নি। দেখা গিয়েছিল কুড়ি আসছে না। মূলত আবহাওয়ার কারণেই চা পাতার উৎপাদন কম হয়েছিল বর্ষব্যাপী। উৎপাদন এতটাই কমেছে যে অর্ধেকেরও বেশি চা-কারখানা বন্ধ ছিল গত মার্চ মাস থেকেই। কারখানাগুলি বন্ধ ছিল কারণ পাতার জোগান ছিল না। চা পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী ডুয়ার্স তরাই এবং দার্জিলিং মিলিয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ উৎপাদন কমেছিল। শুধু তরাই বা ডুয়ার্স নয়, অসমেও উৎপাদন কমেছে। চা গবেষণা সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গেছে অধিকাংশ চা বাগানের গাছের বয়স বেশি। নিয়মিত গাছের বদলি তথা পুরনো গাছ সরিয়ে নতুন গাছ থেকে পাতা তোলা হয় না। চা চাষের পদ্ধতিও সেই ইংরেজ আমল থেকে চলে আসছে। বৃদ্ধ গাছ এবং পুরনো চাষ পদ্ধতির বদলে নতুন কি করা যায় তা নিয়ে গবেষণা অত্যন্ত জরুরী। আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে অন্য কোন প্রজাতির চা গাছ উত্তর ভারতে লাগানো যায় কিনা তা আপাতত হাতে-কলমে দেখছে চা গবেষণা পর্ষদ। এই পরীক্ষা শেষ হতে কয়েক বছর সময় লাগবে। ততদিনে কি হবে আশঙ্কায় চা মহল্লা। যেভাবে চা পাতার উৎপাদন কমছে তাতে আগামী এক দু বছরে চা শিল্পে বড়সড় ধাক্কা আসতে পারে বলে আশঙ্কা। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত গত সেপ্টেম্বরে দার্জিলিং পাহাড়ের স্বাভাবিক আবহাওয়ার তারতম্য না ঘটায় উৎপাদনে তার প্রভাব পড়েনি। তবে ডুয়ার্স তরাইতে হঠাৎ বৃষ্টি আর তারপরেই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় রোগপোকার আক্রমণ বেড়েছে এবং গাছে থাকতেই পোকায় খেয়েছে চা পাতা।
সামগ্রীক বিষয় নিয়ে তথ্য সংফ্রহ করে এলাম ফ্যাক্টরির অফিসে। আমবাড়ি চা বাগিচা এমজিএনআরই জিএস এর সুবিধা পায় না। আর্থিক দিক থেকে বাগান পরিচালনা করবার জন্য আমবাড়ি চা বাগান পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক এর কাছে দায়বদ্ধ। বাগানটির লিজ হোল্ডার ডায়না টি কোম্পানি লিমিটেড। বাগানটির লিজ ভ্যালিডিটির মেয়াদ ২০২৫ সাল। আমবাড়ি চা বাগানে হাসপাতাল আছে। মেল ওয়ার্ডের সংখ্যা দশ ফিমেল ওয়ার্ড বারো। আইসোলেশন এবং মেটারনিটি ওয়ার্ডে কোন বেড নেই। অপারেশন থিয়েটার আছে। অ্যাম্বুলেন্স আছে। বাগিচার আশেপাশে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে। বাগিচাতে অল্টারনেটিভ মেডিসিনে প্রশিক্ষিত ডাক্তার আছেন। ডাক্তারের নাম সমীর সরকার। এছাড়াও বাগানে এক জন নার্স, তিনজন মিড ওয়াইভস এবং একজন কম্পাউন্ডার আছেন। কিন্তু কোন স্বাস্থ্য সহযোগী নেই। বাগান থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও হসপিটালে ভর্তি হলে তাকে সুষম খাবার সরবরাহ করা হয়। আমবাড়ি চা বাগানে স্থায়ি ক্রেশ একটা। কোন অস্থায়ী ক্রেশ নেই। ক্রেশে মোট অ্যাটেনডেন্ড তিনজন। পানীয় জল শৌচালয়ের ব্যবস্থা আছে। ক্রেশের শিশুদের দুধ বিস্কুট দেওয়া হয়। জামা কাপড় ও দেওয়া হয়। বাগিচার বাচ্চাদের বিদ্যালয় নিয়ে যাওয়ার জন্য একটা বাসের ব্যবস্থা আছে। বাগানে বিনোদনের জন্য ক্লাব এবং খেলার মাঠ আছে। আমবাড়ি চা বাগানে ২০১১ সাল থেকে লেবার ওয়েলফেয়ার অফিসার আছেন। নাম চিরঞ্জিব ঘোষ। শ্রমিক সন্তানদের বিদ্যালয়ে নেবার জন্য যানবাহনের ব্যাবস্থা হিসাবে একটা ট্রাক আছে। বাগানে বিনোদনমূলক ক্লাব, খেলার মাঠ আছে। টি গার্ডেনে নিয়মিত পি এফ বা গ্র্যাচুইটির টাকা জমা পড়ে। বোনাস চুক্তি অনুযায়ী মিটিয়ে দেওয়া হয়। পি এফ বা গ্র্যাচুইটি বকেয়া থাকে না। শ্রমিকদের মজুরি, রেশন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা চুক্তি অনুযায়ী দেওয়া হয় ।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴