76.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৭৬/অভিজিৎ দাশ
75.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৭৫/অভিজিৎ দাশ
74.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৭৪/অভিজিৎ দাশ
73.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৭৩/অভিজিৎ দাশ
72.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৭২/অভিজিৎ দাশ
71.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৭১/অভিজিৎ দাশ
70.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৭০/অভিজিৎ দাশ
69.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৬৯/অভিজিৎ দাশ
68.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৬৮/অভিজিৎ দাশ
67.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৬৭/অভিজিৎ দাশ
66.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৬৬/অভিজিৎ দাশ
65.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৬৫/অভিজিৎ দাশ
64.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৬৪/অভিজিৎ দাশ
63.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৬৩/অভিজিৎ দাশ
62.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৬২/অভিজিৎ দাশ
61.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৬১/অভিজিৎ দাশ
60.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৬০/অভিজিৎ দাশ
59.উত্তরবঙ্গের
58.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৫৮/অভিজিৎ দাশ
57.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৫৭/অভিজিৎ দাশ
56.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৫৬/অভিজিৎ দাশ
55.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৫৫/অভিজিৎ দাশ
54.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৫৪/অভিজিৎ দাশ
53.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৫৩/অভিজিৎ দাশ
52.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৫২/অভিজিৎ দাশ
51.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৫১/অভিজিৎ দাশ
50.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৫০/অভিজিৎ দাশ
49.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৪৯/অভিজিৎ দাশ
48.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৪৮/অভিজিৎ দাশ
47.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৪৭/অভিজিৎ দাশ
46.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৪৬/অভিজিৎ দাশ
45.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৪৫/অভিজিৎ দাশ
44.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৪৪/অভিজিৎ দাশ
43.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৪৩/অভিজিৎ দাশ
42.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৪২/অভিজিৎ দাশ
41.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৪১/অভিজিৎ দাশ
40.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৪০/অভিজিৎ দাশ
39.উত্তরবঙ্গের পত্র-পত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৩৯/অভিজিৎ দাশ
38.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৩৮/অভিজিৎ দাশ
37.উত্তরবঙ্গের পত্র-পত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৩৭/অভিজিৎ দাশ
36.উত্তরবঙ্গের পত্র-পত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৩৬/অভিজিৎ দাশ
35.উত্তরের পত্রপত্রিকা : একটি অনুসন্ধান-৩৫/অভিজিৎ দাশ
34.উত্তরবঙ্গের পত্র-পত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৩৪/অভিজিৎ দাশ
33.উত্তরবঙ্গের পত্র-পত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৩৩/অভিজিৎ দাশ
32.উত্তরবঙ্গের পত্র-পত্রিকা : এক অনুসন্ধান/৩২ অভিজিৎ দাশ
31.উত্তরবঙ্গের পত্র-পত্রিকা : এক অনুসন্ধান/৩১ অভিজিৎ দাশ
30.উত্তরবঙ্গের পত্র-পত্রিকা : এক অনুসন্ধান/৩০ অভিজিৎ দাশ
29.উত্তরবঙ্গের পত্র-পত্রিকা : এক অনুসন্ধান-২৯/অভিজিৎ দাশ
28.উত্তরবঙ্গের পত্র-পত্রিকা : এক অনুসন্ধান/২৮ অভিজিৎ দাশ
27.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-২৭/অভিজিৎ দাশ
26.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-২৬/অভিজিৎ দাশ
25.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-২৫/অভিজিৎ দাশ
24.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-২৪/অভিজিৎ দাশ
23.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-২৩/অভিজিৎ দাশ
22.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-২২/অভিজিৎ দাশ
21.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-২১/অভিজিৎ দাশ
20.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-২০/অভিজিৎ দাশ
19.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-১৯/অভিজিৎ দাশ
18.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-১৮/অভিজিৎ দাশ
17.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-১৭/অভিজিৎ দাশ
16.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-১৬/অভিজিৎ দাশ
15.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-১৪/অভিজিৎ দাশ
14.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-১৩/অভিজিৎ দাশ
13.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-১২/অভিজিৎ দাশ
12.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-১১/অভিজিৎ দাশ
11.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-১০/অভিজিৎ দাশ
10.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৯/অভিজিৎ দাশ
9.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৮/অভিজিৎ দাশ
8.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৮/অভিজিৎ দাশ
7.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৭/অভিজিৎ দাশ
6.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৬/অভিজিৎ দাশ
5.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৫/অভিজিৎ দাশ
4.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৪/অভিজিৎ দাশ
3.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৩/অভিজিৎ দাশ
2.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-২/অভিজিৎ দাশ
1.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা :-এক অনুসন্ধান-১/অভিজিৎ দাশ
উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা অনুসন্ধান /৬৩
অভিজিৎ দাশ
ডুয়ার্স সমাচার
হিমালয়ের কোল ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গ ও অসমের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে 'ডুয়ার্স' নামে অভিহিত করা হয়। ব্রিটিশ শাসিত ভারতের সাথে ভুটানের মধ্য দিয়ে তিব্বত পর্যন্ত ১৮টি বাণিজ্যপথের প্রবেশদ্বার বা 'দুয়ার' ছিল। এই দুয়ারগুলি ইংরেজিতে বহুবচনের 'ডুয়ার্স' হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ১১টি এবং অসমের ৭টি দুয়ার অবস্থিত। এসব দুয়ার সন্নিহিত অঞ্চল 'ডুয়ার্স' বলে গণ্য হয়। একে মনে রেখে আলিপুরদুয়ার শহর থেকে 'ডুয়ার্স সমাচার' প্রকাশিত হতে শুরু করে। এই সংবাদ ট্যাবলয়েডটি সম্পাদনা করেন রমেন দে।
চার পাতার সংবাদ সাপ্তাহিক 'ডুয়ার্স সমাচার'। ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বরে এর আত্মপ্রকাশ। কবি, সাংবাদিক, প্রকৃতিপ্রেমী জগন্নাথ বিশ্বাসের হাত দিয়ে এর আত্মপ্রকাশ ঘটে।
১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে আলিপুরদুয়ারে জগন্নাথ বিশ্বাসের প্রচেষ্টায় 'আলোক' সাহিত্য পত্রিকা চালু হয়। এই পত্রিকার সম্পাদনা দিয়ে রমেন দে'র সম্পাদনায় হাতেখড়ি। জরুরি অবস্থার সময় এই পত্রিকা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তিনি আর একটি সাহিত্য পত্রিকা 'উৎসে'র প্রথম সম্পাদক ছিলেন। সাহিত্য পত্রিকার সাধারণ পাঠক পাওয়া যায় না বলে একটি সংবাদপত্র প্রকাশের পরিকল্পনা করা হয়। এই পরিকল্পনার বাস্তবরূপই হল 'ডুয়ার্স সমাচার'।
পত্রিকাটি প্রায় নিয়মিতই বের হচ্ছে। মাঝে কিছু সময় পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে সাহায্য ত্যিক উত্তম কুমার মোদক লিখেছেন, "নতুনভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে কাগজটিকে বাজারে আনার প্রধান দায়িত্ব আমি আর তনুময়দাই (তনুময় সরকার) পালন করেছিলাম।" পত্রিকার সাম্প্রতিক বিশেষ সংখ্যাটিতে (২৩.০১.২০২৫) তাই 'নবপর্যায়ে সপ্তদশ বর্ষে'র পত্রিকা বলে ঘোষিত হয়েছে। অবশ্য সম্পাদক রামেনবাবুর মতে, "ডুয়ার্স সমাচার মাঝে কিছু সময় ১০-১৫ দিন পর পর বের হত, তবে বন্ধ হয়ে যায়নি।
পত্রিকাটি সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে বলিষ্ঠতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে।
সংবাদপত্র প্রকাশের সাথে সাথে প্রতি শারদীয়ায় শারদ সংখ্যা, গ্রন্থমেলা ইত্যাদি প্রায় নিয়মিতই বের হয়। এইসব সংখ্যায় সাহিত্যই প্রকাশিত হয়। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, নিবন্ধ ইত্যাদি প্রকাশ পায়। এছাড়াও কয়েকটি বিশেষ সংখ্যা বের করার কৃতিত্ব পত্রিকা সম্পাদক দাবি করতে পারেন।
বিশেষ সংখ্যাগুলি হল 'আলিপুরদুয়ারের স্মৃতিকথা' 'মণ্ডল কমিশন প্রসঙ্গে' (১৯৯২), 'বক্সা স্মারক সংখ্যা' ইত্যাদি। 'আলিপুরদুয়ারের স্মৃতিকথা সংখ্যায়' জগন্নাথ বিশ্বাস এবং সুধীর ভৌমিকের স্মৃতিকথা প্রকাশিত হয়েছে। আলিপুরদুয়ার সম্বন্ধে অনেক অজানা কথা ও ইতিহাসের সুলুকসন্ধান দিতে পারে এই দুজনের স্মৃতিকথা।
মণ্ডল কমিশনকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম বিস্তৃত আলোচনা 'মণ্ডল কমিশন প্রসঙ্গে সংখ্যা'য় করা হয়। এই সংখ্যাটির ৪২ হাজার কপি সেসময় বিক্রি হয়েছিল। ভাবা যায়! লিটল ম্যাগাজিনের পক্ষে এরকম বিক্রি রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। 'বক্সা স্মারক সংখ্যা'য় অন্যান্যদের সাথে বক্সা বন্দীনিবাসের প্রাক্তন বন্দী, বিপ্লবী প্রফুল্ল গুপ্তও লিখেছিলেন।
এই পত্রিকায় সমর গুহ, প্রতাপচন্দ্র চন্দ্র, চিত্তরঞ্জন মাইতি, দেবেশ রায় নিয়মিত লিখতেন। জগন্নাথ বিশ্বাস, বিমল ঘোষ (চোমং লামা), বিমলেন্দু বিষ্ণু, শ্রীপদ দাস, নির্মল দাস, আনন্দগোপাল ঘোষ, বিমল ভট্টাচার্য প্রমুখ উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত লেখকদের লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
পত্রিকা সম্পাদনা করতে গিয়ে সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছিল। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ তিনি মামলায় জিতেও যান।
পত্রিকাটি আলাদাভাবে কোন পুরস্কার পায়নি। তবে সম্পাদক বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন।
একটি রেজিস্টার্ড সংবাদপত্র হিসেবে সম্পাদক একবার নিউজপ্রিন্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। একবারে এত বেশি পরিমাণ নিউজপ্রিন্ট বরাদ্দ হয় যে তিনি তা কিনতে পারেননি। বরাদ্দ পেয়েও আর্থিক দৈন্যতার জন্য স্বল্পমূল্যের নিউজপ্রিন্টের সুবিধা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।