দিলবাহাদুর তামাং/সমীর চট্টোপাধ্যায়
দিলবাহাদুর তামাং
সমীর চট্টোপাধ্যায়
অনুবাদ : শুক্লা রায়
ক'দিন আগে আমি সারাদিন শিলিগুড়ি
শহর ঘুরে বেড়ালাম।
পায়ের তলায় কালো বিটুমিনের মসৃণ পথ।
দু'পাশে কংক্রীটের উদাসীন বাড়িঘর, উজ্জ্বল বিপণি
হাঁটতে হাঁটতে শুধুই দেখা, দেখে যাওয়া
নির্দিষ্ট কোন গন্তব্য নেই, আমার সাথে হেঁটে যাচ্ছে সময় ও স্মৃতি।
মহানন্দার জলে নতজানু হয়ে পড়েছে সূর্যের আলো
তিনধারিয়ার পাহাড়ে এঁকে বেঁকে উঠে যাচ্ছে
খেলনা ট্রেন ও মিনি বাস।
দিলবাহাদুর তামাং এখানেই একদিন
সহাস্যে হাত রেখে বলেছিল, "দাজু রাম্র ছ?"
হ্যাঁ, ভাল আছি দিলবাহাদুর।
তুমি ভাল আছ তো?
দার্জিলিঙে ভূমিকম্পে বাড়িঘরে ফাটল ধরেছে,
বুকের হৃৎপিন্ড জুড়েও ভূমিকম্পের গভীর ফাটল
শুধু দেখা, দেখে যাওয়া
সে ফাটলে দু'চোখের অশ্রু জমা হয়, দাঁতে
চেপে থাকে অবিশ্বাস ও ঘৃণা।
কেউ দ্যাখে না, শুধু থাকে রেখা,
পাহাড়ের গা বেয়ে যেমন ঝর্ণা নেমে যায় অতল গভীরে
রাজনীতির পিছল পথ,
কর্দমাক্ত জঙ্গল, পাহাড়, সমতল
মহানন্দার অস্থির স্রোতে, সূর্য ডুবে যায়।
---------------------------------------------------------------
দিলবাহাদুর তামাং
সমীর চট্টোপাধ্যায়
অনুবাদ : শুক্লা রায়
কয়দিন আগোত মুই দিনমনটায় শিলিগুড়ি টাউন
ঘুরি বেড়ালুং
ঠ্যাঙের তলোত কালা পিচের সলসলা আস্তা
দোনো পাখে সিমিটের খাংখাঙা বাড়িঘর, ঝলমোলা দোকান
হাঁটিতে হাঁটিতে খালি দেকা, দেকি যাওয়া
থিত কুনো যাবার জাগা নাই, মোর সতে হাঁটি যাছে সোমায় আর আগিলা কাথালা।
মহানন্দার জলোত বেলাটা হাংকুড়া পাড়ি উবুরি হয়া আছে
তিনধারিয়ার পাহাড়োত আঁকিবাঁকি উটেছে খেলানি টেরেন আর মিনিবাস
দিলবাহাদুর তামাং এটেখেনায় একদিন
হাসিতে হাসিতে গাও হ্যাটেলে পুছিসে, "দাজু রাম্র ছ?"
হ্যাঁ, ভালে আছোং দিলবাহাদুর
তুই ভাল আছিত তো?
দাজ্জিলিঙোত ভইচালোত বাড়ি-ঘর ফাটিয়া গাংগাঙা নাগিসে
বুকের ভিতিরা হৃদপিন্ডখানোতও ফাটোল ধরিসে
খালি দেকা, দেকি যাওয়া
স্যাও ফাটোলোত দুই চোখুর জল জোমা হয়, দাঁতোত
চাপি থাকে অবিশ্বস আর ঘিণ্
কাহো দ্যাকে না, খালি দাগ থাকি যায়,
পাহাড়ের গাও দিয়া য্যামতোন ঝোন্না নামি যায় এক্কেরে তলের ভিতিরা
আজনীতির পিছিলা আস্তা,
কাদোময় জঙ্গল, পাহাড়, সামান ভুঁই
মহানন্দার ওস্থির সোতোত বেলাটা ডুবি যায়।
আপনাদের
মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴