সহজ উঠোন

রেজিস্টার / লগইন করুন।

সব কিছু পড়তে, দেখতে অথবা শুনতে লগইন করুন।

Sahaj Uthon
81.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৮১/অভিজিৎ দাশ

81.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৮১/অভিজিৎ দাশ

80.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৮০/অভিজিৎ দাশ

80.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৮০/অভিজিৎ দাশ

79.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৭৯/অভিজিৎ দাশ

79.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৭৯/অভিজিৎ দাশ

78.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৭৮/অভিজিৎ দাশ

78.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৭৮/অভিজিৎ দাশ

77.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৭৭/অভিজিৎ দাশ

77.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৭৭/অভিজিৎ দাশ

76.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৭৬/অভিজিৎ দাশ

76.উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৭৬/অভিজিৎ দাশ

13-September,2024 - Friday ✍️ By- অভিজিৎ দাশ 551

উত্তরবঙ্গের পত্রপত্রিকা : এক অনুসন্ধান-৪৩/অভিজিৎ দাশ

উত্তরবঙ্গের পত্র পত্রিকা : একটি অনুসন্ধান ৪৩
অভিজিৎ দাশ

আগন্তুক থেকে বকলম

কোচবিহারের মহকুমা শহর দিনহাটার  লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশের ক্ষেত্রে নামডাক আছে। এখান থেকেই ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে 'আগন্তুক' পত্রিকা আত্মপ্রকাশ করে। ঐ বছর দীপাবলিতে 'আগন্তকে'র আগমন ঘটে। তবে প্রদীপ জ্বালানোর আগে সলতে পাকানোর কাজটি ঐ বছরের শারদ উৎসবকে উপলক্ষ করে হয়। সেসময় দিনহাটার ৭ / ৮ জন যুবক মিলিত হয়ে সাহিত্য পত্রিকা 'বেপরোয়া'র জন্ম দেয়।সম্পাদনা করেন সঞ্জয় কুমার নাগ। ঐ একটি সংখ্যাই প্রকাশিত হয়েছিল। এই কাজের সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সঞ্জয় কুমার নাগ 'আগন্তুক' সম্পাদনা করতে শুরু করেন। তাছাড়া তার পরিবারে সাহিত্য, সংস্কৃতি, পত্র-পত্রিকার পরিবেশ আগে থেকেই ছিল। জ‍্যেঠু  হিতেন নাগ সাহিত্যিক হিসেবে নামকরা ছিলেন। তার বাবা সুবোধ নাগ আনন্দবাজার পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। এরকম একটি পরিবার থেকে লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশ পাওয়াই স্বাভাবিক।
যাইহোক, নতুন পত্রিকা প্রেস থেকে বের করে বাড়ি আসার পথে সম্পাদক রাজ্যের প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী কমল গুহকে পান। তখন এখানে পত্রিকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের চলছিল না। তিনি প্রথম কপিটি রাজ‍্যের প্রাক্তন কৃষি মন্ত্রী কমল গুহের হাতে তুলে দিয়ে পত্রিকা প্রকাশ সেরে ফেলেন। দ্বিতীয় কপিটি বাড়িতে এসে সাহিত্যিক জ‍্যেঠু হিতেন নাগের হাতে তুলে দেন। আর তখনই জ‍্যেঠুর কাছে কমল গুহের ফোন চলে আসে। এই অল্প সময়ে তিনি 'আগন্তুক' পড়তে শুরু করে দিয়েছেন। পত্রিকার লেখা নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়। নতুন সম্পাদকের এটা কম পাওয়া নয়। 
১৯৯৫ ও ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে 'আগন্তুকে'র দুটি 'কোচবিহার সংখ্যা' প্রকাশ পায়। দুটি সংখ্যাই কোচবিহারের ইতিহাস, সংস্কৃতি, শিক্ষা ইত্যাদি নিয়ে প্রবন্ধ সম্ভারে পূর্ণ ছিল। এ দুটি শারদীয়া সংখ্যা। ১৯৯৫-এর এপ্রিলে আর একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয় 'নারী মুক্তি সংখ্যা'। তখন এভাবে বছরে চারটি সংখ্যা প্রকাশিত হত।
২০০৪ খ্রিস্টাব্দ 'আগন্তুকে'র ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সেবছর পত্রিকাটি হঠাৎ একটি উকিল নোটিশ পায়। বরানগর থেকে এই নোটিশ আসে।  সেখানকার 'আগন্তুক' নামে আর একটি পত্রিকার পক্ষ নিয়ে এই নোটিশ। তারা আলোচ্য  'আগন্তুক' পত্রিকাটিকে বন্ধ করে দিতে বলে। সম্ভবত দিনহাটার পত্রিকাটি পুরনো ছিল। তবু সম্পাদক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত না নিয়ে একে 'বকলমে' পরিবর্তিত করলেন।
ষাণ্মাসিক 'বকলম' নামে পত্রিকাটি ২০০৫ থেকে যাত্রা শুরু করে। এতে লেখা থাকত "গতকালের ত্রৈমাসিক 'আগন্তক'ই আজকের 'বকলম'।" প্রথমদিকে বছরে দুটি সংখ্যা প্রকাশিত হত ঠিকই, কিন্তু এখন বেশ বড়ো আকারে শুধু শারদীয়া সংখ্যা প্রকাশিত হয়। 
পত্রিকাটি ক্রমশ সব ধরনের সাহিত্য সম্ভারে পূর্ণ হয়ে উঠছে। আকারেও বড় হচ্ছে। কবিতা, ছড়া, গল্প, অনুগল্প, রম্য রচনা, ফিচার কি নেই? সারা পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই বাংলাদেশের অনেক লেখকের লেখায় 'বকলম' সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। এর প্রবন্ধ ও গল্প বিভাগ বিশেষভাবে উল্লেখের দাবি রাখে। গবেষকরা প্রকাশিত প্রবন্ধগুলি থেকে গবেষণার রসদ পাবেন-- এ বিষয়ে কোন ভুল নেই। 
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে 'বকলমে'র প্রচ্ছদ ও অলংকরণ শিল্পী রথীন্দ্রনাথ সাহার সুচিন্তিত অঙ্কনের মাধ‍্যমে আলাদা মাত্রা এসেছে।
পত্রিকা সম্পাদনা করতে গিয়ে বিচিত্র অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন সম্পাদক। অনেক নামকরা লেখক চাইতেই যেমন লেখা দিয়েছেন তেমনি জেলার নামকরা সাহিত্যিকের কাছ থেকে লেখা চাওয়ার জন্য গালমন্দ খেতে হয়েছে। অবশ্য সম্পাদক আর কোনোদিন তার কাছে যাননি, লিটল ম্যাগাজিনের চরিত্র বজায় রেখেছেন। বিজ্ঞাপন সংগ্রহের ক্ষেত্রেও দুই বিপরীতমুখী অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। 
এখন 'বকলমে'র শারদীয়া সংখ্যার উদ্বোধন মানেই বেশ বর্ণময় জমকালো অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানে হিতেন নাগ স্মৃতি পুরস্কার সহ আরো কয়েকটি পুরস্কার দেওয়া হয়।

আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴
software development company in siliguri,best
                            software development company in siliguri,no 1 software
                            development company in siliguri,website designing company
                            in Siliguri, website designing in Siliguri, website design
                            in Siliguri website design company in Siliguri, web
                            development company in Siliguri