সহজ উঠোন

রেজিস্টার / লগইন করুন।

সব কিছু পড়তে, দেখতে অথবা শুনতে লগইন করুন।

Sahaj Uthon
28-April,2025 - Monday ✍️ By- শুভ্রজ্যোতি দাস 69

লে পাঙ্গা-৪/শুভ্রজ্যোতি দাস

লে পাঙ্গা/৩
শুভ্রজ্যোতি দাস

ফাইনাল

প্লেয়াররা সব বেরিয়ে যেতেই নিতাই হাসিতে ফেটে পড়ল। হাত দুটো জোড় করে মাথার উপর তুলে বলে -"তুমি সত্যি ই গুরুদেব। এবার থেকে সর্দি কাশি জ্বর যাই হোক তোমার টনিকই খাবো।" মিহির হেসে বলল -"নিতাই, এই ছেলে কিন্তু দৌড়বে। এর পেটে আগুন লেগেছে।"

 সকাল থেকেই গাঢ় ধূসর মেঘে আকাশ ছেয়ে আছে। টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। যে কোন সময় তুমুল বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ছাত্রদের উপস্থিতি খুব কম। পতাকা উত্তোলন হয়ে গেছে। তেরঙা পতাকাটা ভিজে জবুথবু - ওড়ার শক্তিও নাই, ইন্ধন ও নাই।

সবারই মন খারাপ। এই দিনে আকাশটা এমন বিশ্বাসঘাতকতা করল? দিলীপদা আর সুবীর মিলে খেলার প্রস্তুতি সারছে। চোখে মুখে চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট। একটু পরপর আকাশ দেখছে। একটু পর সুবীর দৌড়ে এসে নীল জার্সি দিয়ে গেল মিহিরের হাতে। -"মিহিরদা, প্লেয়ারদের তৈরি হয়ে নিতে বলুন। তাড়াতাড়ি শুরু করে দেব।" তারপর বিষণ্ণ গলায় বলল -"এবারের ফাইনালটা কেমন বাজে হয়ে গেল। দর্শক নাই, ভেজা মাঠে খেলাও ভাল হবে না।"  ওর পিঠে হাত রেখে মিহির বলল -"ধুর বোকা, এগুলো সবই খেলার অঙ্গ।"

খেলা শুরু হয়ে গেছে। ফার্স্ট হাফ প্রায় শেষের দিকে। সবকিছুই পূর্বনির্ধারিত স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী চলছে। নীল ভবনের হাফেই খেলা হচ্ছে। কিন্তু এখনো গোল হয়নি। শুভঙ্কর দেবজিতের সাথে সেঁটে আছে। দেবজিতের এরকম অভিজ্ঞতা প্রথম। প্রথমে বিস্ময় তারপর সেই বিস্ময় ক্রমশঃ বিরক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। মাঝেমধ্যেই চোরাগুপ্তা ফাউল করছে শুভঙ্করকে। তবে এখনো মাথা ঠান্ডা রেখেছে। মার্কার এড়ানোর জন্য মাঝে মাঝেই নিজেদের হাফে নেমে যাচ্ছে। ওই সময়গুলোতে শুভঙ্কর বুঝে উঠতে পারছে না কী করবে। ও ও দেবজিতের সাথে নীচে নেমে যাচ্ছে। নিতাই সাইড লাইন থেকে চ্যাঁচাচ্ছে- "আরে, দেবজিত আমাদের হাফে এলে ওকে ধরিস। এখন নিজের খেলাটা খেল।"

দর্শক খুব কম। গুটিকয় ছাত্র আর শিক্ষকরাই দর্শক। গ্রামের লোক অবশ্য কিছু এসেছে। গাঢ় ধূসর আকাশটার রং ক্রমশঃ আরো আরো গাঢ় হচ্ছিল। এবার আর নিজেকে ধরে রাখতে পারল না। হঠাৎ অঝোর ধারায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। ছাত্ররা আমগাছ তলায় আশ্রয় নিল, দর্শক আশেপাশের বাড়িতে। আর যেসব টিচার চেয়ারে বসেছিল, এবার তাদের মাথায় চেয়ার বসল। লাইন্স ম্যান ও চেয়ার জোগাড় করে মাথায় দিল। সে এক দৃশ্য! মাঠে বল উঠানামা করছে। আর সেই ছন্দে তাল মিলিয়ে কয়েকটা চেয়ার সাইড লাইন ধরে ছুটোছুটি করছে।

এতক্ষণ যাও বা খেলা হচ্ছিল, এই তুমুল বৃষ্টিতে খেলাটা স্রেফ আমোদ -এ বদলে গেল। লাভ অবশ্য নীল ভবনেরই হল। ক্রিকেটে খারাপ পিচে ভাল ব্যাটসম্যান আর খারাপ ব্যাটসম্যান এর ফারাক বাড়ে, কিন্তু ফুটবলে মাঠ বাজে হলে, খারাপ প্লেয়ার আর ভালো প্লেয়ারের পার্থক্য ঘুচে যায়।

বৃষ্টিটা হঠাৎ যেমন শুরু হয়েছিল, তেমনি আচমকা থেমেও গেল। আমাদের মাঠটা ভাল। জল বেশিক্ষণ দাঁড়ায় না। সেকেন্ড হাফে কিছুক্ষণ খেলা গড়ানোর পরে মাঠটা মোটামুটি খেলার উপযোগী হয়ে গেল। যদিও ভেজা ঘাসে খালি পা স্লিপ করে, ব্যালান্স রাখা মুস্কিল। দেবজিতের এবার খেলার ধার আর মেজাজ দুটোই বাড়ছে। বেশ কয়েকবার বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। কিন্তু গৌরাঙ্গ আর শাজাহান মিলে সামলে দিল। এদিকে আবার মেজাজ হারিয়ে শুভঙ্করকে পেছন থেকে ল্যাং মেরে দেবজিত একবার হলুদ কার্ড দেখে ফেলেছে। গ্রুপের খেলায় যদিও কার্ড ফার্ড দেখানো হয় না। কিন্তু ফাইনালে সিরিয়াস রেফারিং হয়। শহর থেকে প্রফেশনাল রেফারি আসে ম্যাচ পরিচালনা করতে।

আর মিনিট পনের বাকি। দেবজিত ক্রমশঃ অধৈর্য হয়ে পড়ছে। খেলাটা এখন ওদের হাফে চলছে। দুর্লভ দৃশ্য! দেবজিত ওদের বক্সের কাছাকাছি নেমে ডিফেন্সে সাহায্য করছে। ওদের বক্সের সামনে বলটা ঘিরে একটা জটলা তৈরি হয়েছে, শুভঙ্কর ওখানে ঢুকে গুঁতোগুঁতি করছে। নীল ভবনের চার ব্যাক অবশ্য নিজের জায়গা ছেড়ে নড়েনি। স্টপার ব্যাকের তো প্রশ্নই ওঠে না, সাইড ব্যাকদুটোকেও কড়া নির্দেশ দেওয়া আছে নিতাই –এর, বল যেখানে থাক, তোরা নিজেদের জোন ছেড়ে কোথাও যাবি না। জটলা থেকে বেরিয়ে বলটা রফিকের আয়ত্বের মধ্যে আসতেই দেবজিত ডানদিকের সাইড লাইন ধরে দৌড়তে শুরু করল। মিহিরের সেদিকে নজর পড়তেই চিৎকার করে উঠল -" শুভঙ্কর দেবজিৎকে ধর।" কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। রফিক খুব দ্রুত বলটা নিজের দখলে এনে, ছোট্ট ডজ করে পাস বাড়ানোর জায়গা বানিয়ে ফেলল। আর জায়গাটা বানিয়ে নিয়েই একটুও দেরি না করে লম্বা উঁচু বল বাড়াল ডানদিকের সাইড লাইন বরাবর। দেবজিত বলটা পেল সেন্টার লাইন আর নীল ভবনের বক্সের মাঝামাঝি জায়গায়। ছুটন্ত অবস্থাতেই বলটাকে শূন্যে চেস্ট ট্র্যাপ করে নামাল। দুইপা এগুতেই সাইড ব্যাককে দেখে কোমরের দোলায় ইনসাইড কাট করে ভেতরে ঢুকে পড়ল। সামনে গৌরাঙ্গ। গৌরাঙ্গকে দেখে আর এক পা ইনসাইড কাট করেই সাথে সাথে গতিপথ পরিবর্তন করে আউট সাইডে চলে গেল। মুহূর্তের জন্য গৌরাঙ্গ বেসামাল হয়ে পড়ল। ওই টুকুই দেবজিতের জন্য যথেষ্ট। বক্সের ডান মাথায় পৌঁছেই শট নেওয়ার জন্য বাঁ পাটা তুলেছে। ঠিক ওই সময়েসই শুভঙ্কর চিতার ক্ষিপ্রতায় দৌড়ে এসে স্লাইড করল দেবজিতের পায়ের সামনে। দেবজিতের নেওয়া বাঁ পায়ের জোরালো শট টা শুভঙ্করের পায়ে লেগে সাইড লাইনের বাইরে চলে গেল। সাথে সাথে উঠে দাঁড়িয়ে শুভঙ্কর ছুটে গেল থ্রো ইন নেওয়ার জন্য। হতাশায়, নিষ্ফল আক্রোশে দেবজিত বাতাসে ঘুঁষি মারল। থ্রো ইন নেওয়ার জন্য সাইড লাইন -এ এসে শুভঙ্করের হাতে বল দেখে দেবজিত আর নিজেকে সামলে রাখতে পারল না।  ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে ওর হাত থেকে বল কেড়ে নিল। থ্রো ইন করতে যাবে, রেফারি ফাউল এর বাঁশি বাজাল। শুভঙ্কর উঠে দাঁড়িয়ে কিছু একটা বলেছিল। দেবজিত তখন নিজের কন্ট্রোলের সম্পূর্ন বাইরে চলে গেছে। সাথে সাথে তেড়ে গিয়ে সপাটে লাথি চালাল শুভঙ্করের হাঁটুতে। অমার্জনীয় অপরাধ। রেফারি সাথে সাথে ছুটে গেল। প্রথমে ওদের দুজনকে দূরে সরাল। তারপর পকেট থেকে লাল কার্ড বের করে দেবজিতক বেরিয়ে যেতে বলল। বজ্রাহতের মতো দাঁড়িয়ে রইল দেবজিত। বড় আঘাতে ব্যথার অনুভূতি তৈরি হতে সময় লাগে। ওই সময়টুকু দেবজিত ফ্যালফ্যাল করে রেফারির হাতে ধরা কার্ডটার দিকে তাকিয়ে রইল। তারপর মাথা নিচু করে ধীরে ধীরে সাইড লাইনের বাইরে বেরিয়ে গেল। মাঠের বাইরে বেরিয়ে কিন্তু থামল না। হাঁটতেই থাকল- স্খলিত মন্থর আরো মন্থর, কিন্তু হেঁটেই চলল। মাঠের উত্তর প্রান্তে মিড ডে মিলের ঘরটা পেরিয়ে তারও পেছনে অযত্নে বেড়ে ওঠা আকাশমনি গাছটার সামনে দাঁড়িয়ে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল। তারপর ধীরে ধীরে বসে পড়ল গাছে ঠেস দিয়ে। চোখ তার মাটিতে নিবদ্ধ। টিপটিপ করে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ভেজা মাটিতে মিঠে জল লোনা জল মিশে যাচ্ছে।

দেবজিত বেরিয়ে যেতেই খেলাটা তুল্য মূল্য হয়ে গেল। শেষ দশ মিনিটে নীল ভবনও কয়েকটা আক্রমণ করল। যদিও তেমন ঝাঁজ ছিল না। খেলা শেষ হওয়ার মিনিট দুয়েক আগে হলুদ ভবনের বক্সে একটা নিরীহ বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে রফিক মিস কিক করল। বলটা চলে গেল আড়াআড়ি ভাবে বক্সের অন্যপ্রান্তে। ওখানে নীল ভবনের ফরওয়ার্ড অরক্ষিত দাঁড়িয়ে ছিল। ও বলটা পেয়েই দুই পা এগিয়ে শট নিল। পোস্টের কোণা ঘেঁষে বলটা জালে জড়িয়ে গেল। গোলকিপারের কিছুই করার ছিল না। পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা গোল। গোলের উল্লাসের মধ্যেই নিতাই পড়ি মরি করে সব প্লেয়ারদের নীচে নামাতে লাগল। ওই দু’মিনিটে দুইবার প্লেয়ার বদল করা হল - স্রেফ টাইম কিলিং এর জন্য। নিতাই ঘড়ির দিকে চেয়ে আছে। অবশেষে বহু আকাঙ্খিত বাঁশি বাজলো। আর রেফারি খেলা শেষের বাঁশি দিতেই নিতাই যে লাফটা দিল- সেটা বাঁধিয়ে রাখার মত। বাঁশি পড়তেই নিতাই পা দুটো দুদিকে ছড়িয়ে জাম্প করল মাটি থেকে চার ফুট উপরে। পারফেক্ট স্প্লিট জাম্প! অবশ্য ল্যান্ডিংটা তেমন নিখুঁত হয়নি। পায়ের ভরে ল্যান্ড করার কথা, ও করেছিল পাছার ভরে। তাতে ও সামান্যও বিব্রত হয়নি। অবশ্য বিব্রত হওয়ার সময় বা কোথায় পেল। তার আগেই তো ছাত্ররা ওর ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল। তারপর ছাত্র নিতাই সব জড়াজড়ি করে দলা পাকিয়ে কুমড়ো গড়াগড়ি খেতে লাগল।

প্রাইজ ডিস্ট্রিবিউশন শুরু হয়েছে। জেতার আনন্দ, অভিনন্দন এসবের মাঝেও আমি শুধু দেবজিতকে খুঁজছিলাম। শুধু আমি না, দিলীপদাও ওকে খুঁজছে। কিন্তু মাঠের আশেপাশে কোথাও নেই। ছাত্রদের জিজ্ঞেস করলাম- কেউ বলতে পারল না। হায় রে নিয়তির চক্র- কাল পর্যন্ত যে সবার চোখের মণি ছিল, আজ তার খোঁজ কারো কাছে নাই। নিয়তির চক্রে গৌরাঙ্গ শুভঙ্করদের নক্ষত্র আজ বৃহস্পতিতে।

ম্যান অব দি টুর্নামেন্ট, হায়েস্ট স্কোরার দুটো প্রাইজই দেবজিত পেয়েছে। ম্যান অব দি ফাইনাল পেল গৌরাঙ্গ। দেবজিতের অবর্তমানে সুব্রত ওর হয়ে প্রাইজ নিল। ওই একটামাত্র ভুল এইসব প্রাপ্তিকে দেবজিতের কাছে মূল্যহীন করে দিয়েছে। সমস্ত আনন্দের মাঝেও থেকে থেকে গলার কাঁটার মতো মনটা ওর জন্য খচ খচ করছে।

অনুষ্ঠান শেষ। সবাই বাড়ি চলে গেছে। আমি, নিতাই, দিলীপদা, শুভাশিসদা- আরো দু’ একজন স্টাফরুমে বসে গল্প করছি। সুবীর খেলার জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখছে। হঠাৎ গৌরাঙ্গ হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বলল,-"স্যার, তাড়াতাড়ি আসুন। দেবজিত আর শুভঙ্কর মারপিট করছে।" সবাই ছুটে গেলাম। গিয়ে দেখি দু তিন জন ছেলে দেবজিৎকে ধরে রেখেছে। আর শাজাহান শুভঙ্করকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে। ওর নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। ব্যাপারটা যা বুঝলাম - সবাই চলে যাওয়ার পর দেবজিত মাঠে এসেছিল। বল নিয়ে একা একা প্র্যাকটিস করছিল।  শুভঙ্কররা কয়েকজন তখনও যায়নি। দেবজিত দেখে শুভঙ্কর কিছু একটা বলে। তারপর যা হয় আর কি - কথা কাটাকাটি থেকে মারামারি, শেষে রক্তারক্তি। সুবীর এমনিতেই দেবজিতের উপর ক্ষেপে ছিল- প্রাইজ ডিস্ট্রিবিউশন -এ না থাকার জন্য। ও খেলোয়াড়দের ডিসিপ্লিনের অভাব সহ্য করতে পারে না। এই ঘটনায় ওর মাথাতেও আগুন লাগল। দেবজিৎকে গিয়ে সপাটে একটা চড় কষাল। দিলীপদা তাড়াতাড়ি সুবীরকে সরিয়ে দেবজিতকে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মিড ডে মিলের ঘরটার দিকে চলে গেল। হয়ত বোঝাবে ওকে। আমরা শুভঙ্করকে নিয়ে স্টাফরুমে চলে এলাম। সুবীর ওর ফার্স্ট এইড করে দিয়ে ওদের বাড়ি পাঠিয়ে দিল।

আরো ঘন্টাখানেক স্কুলে কাটিয়ে পাঁচটা নাগাদ বাড়ির দিকে রওয়ানা হলাম। ঝুমুর হাট থেকে কিছুটা এগিয়ে রাস্তাটা বাঁক নিতেই মোতি পুকুর। জায়গাটা একেবারে নির্জন। বড় বড় গাছ পুকুরের চারপাশে। মোতি পুকুরের কাছে আসতেই দেবজিৎকে দেখতে পেলাম। পুকুরের এক কোণে মাথা নিচু করে বসে আছে। আমি সাইকেল থামালাম। ভাবলাম দুটো কথা বলি ওর সাথে। ওর মনটা হয়ত হালকা হবে। আমাকে ও দেখতে পায়নি। পুকুরের শান্ত জলে নিজের ছায়াটাই দেখে যাচ্ছে। নাঃ থাক - এই অন্ধকার জঙ্গল থেকে হাতড়ে হাতড়ে হোঁচট খেতে খেতে ওকে নিজেকেই বের হতে হবে। অন্ধকারের জঙ্গলটা সব্বাইকে একাই পার হতে হয়। মনে মনে বললাম - খেলোয়ারি জীবন বড় কঠিন রে দেবজিত। মাঠে লড়াই, মাঠের বাইরের লড়াই। বিপক্ষের সাথে লড়াই, নিজের সাথে লড়াই, অদৃষ্টের সাথে লড়াই............ আরো কত লড়াই আছে কে জানে। সব লড়াই তোকে জিততে হবে। খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হল- ও ঠিক জিতে যাবে। ওকে খুব ভালোবাসি বলেই হয়ত। প্যাডেলে চাপ দিলাম। আমার চোখেও বাষ্প ঘনাচ্ছে। মোতিপুকুর ঝাপসা হয়ে ক্রমে দূরে আরো দূরে দূরে চলে গেল।

আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাতে কমেন্ট করুন ↴
software development company in siliguri,best
                            software development company in siliguri,no 1 software
                            development company in siliguri,website designing company
                            in Siliguri, website designing in Siliguri, website design
                            in Siliguri website design company in Siliguri, web
                            development company in Siliguri